সাম্প্রতিক কিছু খবরে সবার মত আমারও কিছু চিন্তা-ভাবনার উদ্রেক হয়েছে। প্রথম খবর হলো শুল্ক-মুক্ত গাড়ি আর দ্বিতীয় খবর হলো আইনপ্রণেতারাই আইন করে নিজেদের আয়করমুক্ত করা ।
আমাদের মহামান্য সাংসদগন যথারীতি শুল্কমুক্ত গাড়ি আনার অনুমোদন পেয়েছেন। এবং এসব ক্ষেত্রে যথারীতি সব দলের সাংসদদের ঐক্যমত দেখা যাচ্ছে যদিও তারা সারাদিন একে অপরের সাথে সারাদিনই কুত্তার মত কামড়া-কামড়ি তে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এই ব্যাপারে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে গেছেন । সব নির্লজ্জ-বেহায়া-কুলাঙ্গার এক সুরে রব তুলেছেন । লাইন লেগে গেছে আবেদন পত্রের। যেখানে জ্যামের কারনে ঢাকা শহরে চলা আজ দুরুহ একটা ব্যপার, ১৫/২০ মিনিটের রাস্তা যেতে যেখানে ১/২ঘন্টা লাগে সেইখানে এমন সিদ্ধান্ত কতটা জরুরী ও যৌক্তিক ছিলো? তোরা জনগনের জন্য, জনগনের দ্বারা নির্বাচিত কিন্তু ৩কোটি টাকার গাড়ি ৫০লাখ টাকায় পেলে জনগনের কি লাভ হবে এটা বোধগম্য না । যেখানে তোরা কথায় কথায় জনগনের নাম নিস যেমনঃ জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে, জনগন সমুচিত জবাব দিবে, জনগন ক্ষমতায় বসাবে, জনগন ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে এই টাইপের কথা বলতে বলতে তোদের মুখে থুথু এসে যায় । ভাবসাব এমন যে জনগন তাদের পশ্চাদদেশের চুল যে এরা সবসময় এদের সাথেই থাকে। অবশ্য এদেরকে সাথ দেবার জন্য কিছু চুচিল আর ছাত্র নামধারী কিছু কুকুরছানা, শুয়োরছানার অভাব নাই। সমস্যা এটাই যে এইসব শুয়োরগুলা ডাক দিলে ওইসব ছাত্র নাম ধারী ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, শিবির নামে অনেক কুত্তারবাচ্চা রাস্তায় নেমে আসে ।
আর দ্বিতীয় প্রসঙ্গ হলো দেশের প্রত্যেক যোগ্য নাগরিকের আয়কর দেওয়া
বাধ্যতামূলক হলেও আইনপ্রণেতারাই আইন করে নিজেদের আয়করমুক্ত রেখেছেন। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিকের বার্ষিক আয় এক লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেশি হলে তাঁকে আয়কর দিতে হয়। একজন সাংসদের মাসিক আয় বেতন-ভাতা মিলে ৯৯ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় দাঁড়ায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। তারপরও তাঁর আয় করমুক্ত রাখার কী যুক্তি থাকতে পারে? যেখানে এই সব শুয়োরের বাচ্চা জনগনের টাকায় খায়, জনগনের টাকায় চলে সেখানে কোন হিসাবে তারা নিজেদেরকে আয়কর মুক্ত রাখে? তোরাই যেখানে গলা ফাটিয়ে বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলিস যে আইন সবার জন্য সমান তাহলে কেন তোরা নিজেদের জন্য আলাদা আইন পাস করিস?
বিড়াল, কুকুর, বাঘ, সিংহ এই সব চতুস্পদ প্রানীদের মধ্যে একটা মিল আছে। এরা খাবার খাওয়ার পর এদের থাবা চেটে খায়। খুব একটা প্রশান্তি নিয়ে গা এলিয়ে দিয়ে এই সব প্রানী গুলা এদের থাবা চেটে খায়। আমাদের তথাকথিত রাজনীতিবিদদের সাথে আমি কেন জানি এই সব প্রানীগুলার খুব মিল পাই। এরা খুবলে খুবলে আমাদের জাতীয় সম্পদ, আমার দেশ, আমার মানচিত্র খায় এবং খাওয়ার পর খুব আয়েশি ভঙ্গিতে শুয়ে থাকে। আর এইসব শুয়োরের বাচ্চাগুলা যা খেলো তার স্বাদ পাবার জন্য এদের চেলা-চামুন্ডা হিসাবে কিছু চুচিল সমাজ, ছাত্র রাজনীতি নামধারী কুত্তার বাচ্চা এদের থাবা গুলা চেটে দেয় । প্রশান্তিতে শুয়োরগুলো চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে । আর চামচাগুলো এদের থাবা চেটে যায়।
আমার কাছে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা সকলেই শুয়োর সম। এরা সবসময় কাদার মধ্যেই থাকবে আর গু খাবে । আমরা যতই এদের মাথায় তুলিনা কেন এদের কোন পরিবির্তর হবার নয় । আওয়ামীলিগ আর বিএনপি একি শুয়োরের ২ রুপ। আওয়ামীলিগ শুয়োররা কি করেছে তা তো এখন দেখতেছি, আর বিএনপি কি করে গেছে সেটাও মনে আছে । আওয়ামীলীগ এ শুয়োর সহ এর বাচ্চা, শুয়োরছানা, কুকুরছানা সবাই খাইখাই করে। আর বিএনপি তে ২/৩টা শুয়োর খাইখাই করে, কুকুরছানা গুলো একটু কম খেতে পায়। ওরা শুধু থাবা চেটেই শান্ত থাকে (উদাহরনঃ ত্রানের জন্য বিতরনের বিস্কুট নিজের পোষা ঘোড়া কে খাওয়ানো, ত্রানের টিন দিয়ে নিজের বাগানবাড়ি বানানো আরও অনেক)। আর জামাত-শিবিরের কথা বললাম না কারন ওদের আমি শুয়োরের চাইতেও অধম মনে করি কারন ওরা ইসলাম কে ব্যবহার করে ব্যবসা করে, রাজনীতি না। এরা শুধু শুয়োরের পা ই চাটে ।
যদিও জানি এদের গালাগালি করে মুখের থুথু শুকিয়ে যাবে তাও কিছু হবেনা কারন এদের পা চাটার জন্য অনেক চুচীল, অনেক ছাত্র-সমাজ আছে । রাস্তায় নেমে ডাক দিলে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, শিবির নামে অনেক কুত্তারবাচ্চা রাস্তায় নেমে আসবে । আর আমরা হলাম মেরুদন্ডহীন নেড়ী কুকুর টাইপ মানুষ...চুপচাপ সব সহ্য করি বা সহ্য হয়ে যায় বা যাবে । কেউ ঘেউঘেউ পরলে আমরা লেজ নেড়ে পালাই । কোন রকমে ডাষ্টবিনের কোনায় একটু খেয়ে-পড়ে বেচে থাকতে পারলেই আমরা খুশী। আশে-পাশে কি হলো তার দেখার সময় বা ইচ্ছা আমাদের নেই । সো আমাদের মত নেড়ী কুকুরদের নেতা তো শুয়োররাই হবে যারা আমাদের টাকা দিয়ে খাবে, আমার টাকা দিয়ে কাপড় পড়বে, ট্যাক্স ছাড়া গাড়িতে চড়বে, আমরা ট্যাক্স দিলেও তারা আয়কর দিবেনা, ফ্রী ন্যাম ভবনের ফ্ল্যাটে থাকবে, ওইসব ফ্ল্যাটে উঠার জন্য কুত্তার মত কামড়া-কামড়ি করবে ।