somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের বক্তব্যে ঘানায় তীব্র প্রতিক্রিয়া।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশী ফিল্ম দ্যা চলচ্চিত্র তারকা অনন্ত জলিলের একটি মন্তব্য নিয়ে ঘানায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘানা নিউজ এজেন্সি (জিএনএ) তাদের ওয়েবসাইটের খবরটি প্রকাশ করলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়। উল্লেখ্য, অনন্ত জলিল উক্ত টেলিভিশন অনুষ্ঠানটিতে একজন তরুণকে দেয়া তার লেসন দ্যা সবক বিবৃত করার সময় বিস্ফোরক কথাটি প্রকাশ পায় এবং ঘানার ধীরগতির অন্তর্জালিক প্রক্রিয়ার কারণে তারা পরে এ সম্পর্কে অবগত হয়। যে কথাটি নিয়ে এত আলোড়ন তা হল, "“আর ইউ পোম গানা?”, “ইউ থিং বাংলা ছবি হিরো মিনস দে আর আনএডুকেটেড?”"।

এই উক্তির মাধ্যমে ঘানার মানুষকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করেন তাদের তাদের প্রেসিডেন্ট জন দ্রামানি মাহামা। তার ভাষ্যমতে "জলিল অশিক্ষার সাথে ঘানাকে যুক্ত করে যে বাক্যটি বলেছেন তাতে ঘানার সংগ্রামী মানুষকে কটাক্ষ করা হয়েছে।"

ঘানার পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্বী মুহাম্মাদ মুমুনির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এটা দুঃখজনক। তিনি ঘানা সম্পর্কে এমন কথা বলার অধিকার রাখেন না। এ ব্যাপারটার একটা সুরাহা হতে হবে। জলিল আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চাইলে দু দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দিক সম্পর্ক লোপ পেতে পারে"।

এদিকে ঘানার সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে একশত একজন বুদ্ধিজীবী একটি বিবৃতিতে অনন্ত জলিলকে তিরস্কার করে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে ঘানার ইতিহাস মুখস্থ করার আহবান জানান। সাতদিন পরে একটি বিশেষ দল তার মুখস্থ পরখ করতে যাবেন, এবং ব্যর্থ হলে তাকে উঠিয়ে নিয়ে ঘানার জঙ্গলে ছেড়ে দেবার জন্যে জনমত গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন তারা।

সাধারণ জনগণের মাঝেও ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে। তারা জলিলের কুশপূত্তলিকা দাহ করার প্রাক্কালে সেটি মোটরসাইকেলে করে হেলিকপ্টার ধাওয়া করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা হলিউডের চাক নরিস এবং তামিলুডের রজনীকান্তর এ্যাকশনধর্মী পোস্টার প্রদর্শন করলে জলিলের উড়ন্ত কুশপূত্তলিকা অবশেষে মাটিতে অবতরণ করলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘানাতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৪
৪৩টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বডি সোহেলের মন ভালো নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫


আমাদের জাতীয় নেতাদের বংশধরেরা বড়ই অদ্ভুত জীবন যাপন করছেন। তাদের বাপ চাচাদের মধ্যে মত-বিরোধ থাকিলেও একে অপর কে জনসম্মুখে অপমান করেন নাই। এক্ষেত্রে নেতাদের প্রজন্ম পূর্বপুরুষ দের ট্রাডিশন ধরে রাখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ই-মেইল ঠিকানা

লিখেছেন মি. বিকেল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৩



যারা গল্প, কবিতা, সাহিত্য, ফিচার বা কলাম লিখতে আগ্রহী, তাদের জন্য এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, সাহিত্য পাতা ইত্যাদির ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হলো। পত্রিকায় ছাপা হলে আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার দায়ভার কি সেনাবাহিনী নেবে? তাদের সমালোচনাকে অনেকে সেনাবাহিনীর সমালোচনা মনে করছে কেন?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৯

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখনও আমাদের জন্য গর্ব এবং আস্থার জায়গা। কারণ দুর্নীতির এই দেশে একমাত্র সেনাবাহিনীই সেই প্রতিষ্ঠান যার আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় সুনাম এখনও আছে। কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,- ”মরার আবার জাত কি”!

মৃতদেহ সৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর (পর্ব ২)

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

রাফি সাহেবের পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। সকালের মিষ্টি রোদ গাজীপুরের এই ছোট্ট গ্রামে যখন পড়ছে, তখনই কাজের লোক রহিমা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। সিঁড়ির নিচে রাফি সাহেব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×