ডুকড়ে ডুকড়ে কাঁদছে শাফিন। তার কান্না থামাতে পারছে না কেউ। তার বাবা-মা, খালা-মামা, নানা-নানী, দাদা-দাদী, সবাই আছে তার পাশে। কিন্তু কী জবাব দেবে তারা এই তীব্র মারমুখো অসহায় কান্নার?
শাফিন। বয়স দুই বছর সাত মাস। এখনও স্কুলে ভর্তি হয় নি। জীবনের চোরাবালিতে পথ হারায় নি। তবুও তার বুকে কান্নার সমুদ্র। যন্ত্রণার ছোবলে ক্ষতবিক্ষত। এইটুকু বয়সে মানুষের চাওয়ার কী থাকে? পাওয়ার কী থাকে? তার আত্মীয়-স্বজনেরা বুকভরা ভালোবাসা দিয়েও থামাতে পারছে না তার কান্না।
শাফিনের কান্না থামানোর কী কেউ নেই? আপনারা কেউ কি শুনতে পাচ্ছেন এক অবোধ শিশুর হৃদয় সেঁচা আহবান? যদি শিশুটির মুখে হাসি ফোটাতে চান, তাহলে দয়া করে প্লিজ তার সমস্যার বিবরণ শুনুন।
শাফিন, আমার ভাগ্নে- চঞ্চল, প্রাণবন্ত এক দেবশিশু। কিন্তু কেন তার বুকে এত কান্না? কেন এত অশ্রু? কেন সবার কিংকর্তব্যবিমুঢ়তা?
একটু উদ্যোগী হলেই আপনারা তার মুখে হাসি ফোটাতে পারেন। নিশ্পাপ এক শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে এইটুকু করার নেই কেউ?
সমস্যার বিবরণ: শাফিন বেড়ে উঠেছিলো আর দশটি শিশুর মতই। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, হাসি-কান্নায় মাতিয়ে রাখতো সবাইকে। সবার নয়নের মনি ছিলো সে। হঠাৎ একদিন সে তার বাবার ল্যাপটপ ভেঙে ফেলে আছাড় দিয়ে।
এরপর থেকে নতুন ল্যাপটপ কেনার পরে কেউ তাকে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না, নীরবে সয়ে যাচ্ছে তার বুকফাটা কান্না।
আপনাদের কারো কাছে পুরোনো অথবা নতুন অথবা খেলনা ল্যাপটপ থাকলে দিয়ে শাফিনকে ভাঙনকার্যে উদ্যোগী করে তার মুখে হাসি ফোটানোর ব্যবস্থা করেন দোহাই লাগে! তার এই কষ্ট আমার আর সহ্য হচ্ছে না।
যোগাযোগের ঠিকানা:


