চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের স্বঘোষিত কমান্ডার এম.এ.ওয়াদুদ এর জীবন বৃত্তান্ত।
১. পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত করপোরাল যিনি নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন।
২. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি কোথায় কিভাবে আহত হয়েছেন তা কোন মুক্তিযোদ্ধাই জানেন না।
৩. তার পিতা ছিল একজন চা দোকানদার। সন্ত্রাসী করে তার পিতাকে ১৯৭৩ সালে চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন, ১৯৭৪ সালে লবন চুরির অপরাধে তিনি চেয়ারম্যান পদ হতে অপসারিত হন।
৪. ১৯৭৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার ব্রিফকেসে থাকা অবৈধ অস্ত্র সহ তাকে গ্রেফতার করে এবং ঐ অস্ত্র মামলায় তার ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড হয়। মামলা নং ১৬, তারিখ ২৩/০৮/১৯৭৫ ইং।
৫. ১৯৭৭ সালে কৌশলে জেল থেকে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সাথে ফ্রিডম পার্টিতে যোগ দেন এবং কুড়াল মার্কায় মনোনয়ন পান।
৬. ১৯৮২ সালে মতলব ঋষিকান্তিতে নিরীহ হিন্দুদের বাড়িঘর পোড়ান ও লুটপাট করেন যার কারনে তার যাবৎজীবন কারাদন্ড হয়, মামলা নং ৬১/৮২, তারিখ ২৬/০৬/১৯৮২ ইং, স্পেশাল মার্শাল ল কোর্ট নং- ৪, কুমিল্লা। জেল খাটা অবস্থায় জাতীয় পার্টিতে যোগদানের শর্তে মেজর জেনারেল সামছুল হকের প্রচেষ্টায় ১৯৮৬ সালে সাধারন ক্ষমা পান।
৭. ১৯৮৮ সালে মেজর বাশারের লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনতাইয়ের অপরাধে হাজতে যান এবং মেজর সাহেবের সাথে আপোষ করে ছাড়া পান, মামলা নং জি আর ৫৮৮, মতলব থানা, তারিখ ১২/০৬/১৯৮৬।
৮. ১৯৮৮ সালের শেষের দিকে মেঘনা ধনাগোদা বেড়ীবাধ ভাঙ্গার কারনে বিশেষ আইনে ৩ মাস ডিটেনশন খাটেন, অতঃপর তদবির করে ছাড়া পান।
৯. জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মরহুম ফজলুল হক তালুকদারকে জোরপূর্বক সরিয়ে জামায়াত বিএনপির সাথে যোগ দিয়ে ১৯৯৩ সালে স্বঘোষিত কমান্ডার হয়ে বহু অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং ভুয়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বহু অনিয়ম করে অনেক টাকা কামিয়েছেন।
১০. ২০০১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া(বীর বিক্রম) এর বিরুদ্ধে জামায়াত বিএনপির সাথে জোগ দিয়ে অবৈধ আর্থিক সুবিধা ভোগ করেছেন।
আজ সেই লোক প্রজন্ম চত্বর চাঁদপুরে জামায়াত রাজাকার বিরোধী ভাষন দেয়!!