১)
[একটি বিমর্ষ ফটোগ্রাফ - শিশু জিরাফকে]
সে দেখছে
বিনম্র রোদচিঠির
ভেতরে
আলো-ছায়ার চঞ্চলতা নিয়ে
শহরের নীলরঙ; বুক কাঁপানো প্রজাপতির ওড়াওড়ি।
সে আঁকছে
নিঃসঙ্গ ক্যামেরার পিনহোলের চোখে
লালের বিভ্রম
বিজ্ঞাপনী মারমেইডের সামনে নতজানু
তিন জন নাবিক; নরোম রিদম অফ কালার।
দৃশ্যান্তরে
সময় ভেঙ্গে গেলে
সে এবং আমরা পথচারী হয়ে উঠি
পৃথিবীর আদর জুড়ে
জমে উঠে দ্বিধা ও ঘুড়ির দহন
একটি বিমর্ষ ফটোগ্রাফ
রেইনবোর অভিমান নিয়ে একা হতে থাকে।
২)
[করিডোর]
লম্বা করিডোরে হাঁটতেই মনে হয় আমার দিকে ভয় গড়িয়ে দেওয়া হলো। আঁকাবাকা লম্বাটে ছায়া জড়িয়ে যাচ্ছে দেয়ালে, ফেলে যাচ্ছে স্তব্ধতার প্রিল্যুড। সেবার রাতে পায়ের সামনে এক গর্ভবতী বিড়াল ছুড়ে দিলো ডুয়েলের আহবান। বিশ্বাস করুন লম্বা রাইফেল ছিলো না বলে লম্বা পা'তেই ভরসা রেখেছিলাম। কে না জানে বিড়ালের গর্ভবেদনায় ফুটে উঠে পরিচয় - সঙ্কট।
আর
আমি তাই হুইসেল বাজাই, সোরগোল করি, ঘাত - প্রতিঘাতের গায়ে এঁকে দেই পলায়নপ্রবণ দিনলিপি।
৩)
ভুলে যাওয়া দরজা মুখরিত হচ্ছে যৌনহাসিতে। আর এদিকে সরল ভানে আমরা প্রচার করছি শারিরীক সম্পর্ক বিষয়ক ট্যাবু। স্যাটায়ার বটে!
৪)
এই যে সম্পর্ক, ঐ যে চোখে চোখ রেখে পৃথিবীর আয়ু আর সম্পর্কের আয়ুর ম্যাথ কষতে বসছি - পুরো ব্যাপারটাই মনে হয় মিছেমিছি । এই যে তুমি আমি বিচার করছি - কোন কিশোরের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া কোন মিথ নারীর গ্ল্যামার - এর তেমন কোন মানে নেই।
যে দিন ছিটকে পড়েছি মায়ের আঁচল থেকে; সেই থেকে ব্যক্তিগত কোন হারানো নেই।
৫)______! তোমার স্মৃতি থেকে একটা পদচিহ্নও প্রত্যাহার করছি না।