১) ছুরির প্রখরতা মাপতে গিয়ে প্রথমে খুন হয় যাবতীয় বিহ্বল মানুষ আর ইদানিং মায়ার গল্প রাতের বেলা ভুলে যাচ্ছে আমাদের নিঃসন্তান মায়েরা ! পৃথিবীর গা থেকে বোধি চুরি করে নিয়ে , তুমিও আজ ক্যামোফ্লেজড আততায়ী !
জন্মক্ষণ হাতড়ে দেখি জন্ম আর মৃত্যুর সীমানা রেখা মুছে দিয়ে বাতাসে ভেসে যাচ্ছে কাফন পরিহিত কবুতর।
২) ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম! প্রার্থণার উচ্চারিত শ্লোকের মত যে বৃষ্টি উড়ে আসে আমাদের শহরে তা গূঢ় সংকেতময়, তাই এমনদিনে কেউ একজন হয়ত যাবতীয় ভ্রমণক্লান্তি, মনোটোনাস স্বপ্ন পিছনে ফেলে কোন বিষণ্ণ বাসের পেটে চড়ে বসবে, গন্তব্য না জেনেই।
এমন দিনেই হয়ত মনে পড়বে - অবশেষে জেনেছি মানুষ একা !জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা !
এমন দিনেই কেউ একজন লিখবে যাবতীয় বৃষ্টিসম্পর্কিত মনোমিথঃ বৃষ্টি আর মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ক্ষয় আছে! বৃষ্টিতে একাই ভিজতে হয়!
৩) কাজল রেখা আমার, মাথায় সোনার কাঠি রাখলে জেগে উঠো, আমি ভোরের বকুল গেঁথে সমার্থক করে দিই তোমার খোঁপা!
জন্মান্ধ চোখে তুমি চোখ হয়ে আসো, আক্ষেপের কালে তুমি একমাত্র অনিকেত সত্য - আনন্দ। যেখানে ভাসমান তোমার স্বপ্নে পাওয়া আঙ্গুল, সেখানে সারি সারি স্পর্শসুখ, জানো নিশ্চয় একদিন এখানেও বৃষ্টিতে ভেজার ঘন্টা বেজে যাবে।
একদিন কেউ একজন বাড়ি ছেড়ে পালাবে, হাতের রেখায় যুথঅন্ধকার নিয়ে, ও আমার ভুলজন্মের ফড়িঙডানায় আলতোরোদ, তোমার হাসিতে হাসিতে অজস্র কাঁটা! তবুও ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলছি ভুল পথের ঘ্রাণ, সৃজনবেদনা! ফিরে এসো, ঈশারায় ঈশরায় বেজে উঠুক পিয়ানো, শহরের রাস্তা প্রদক্ষিণ করুক নক্ষত্রের প্যারেড!
আর এখানে আমিই বিবিধ সন্ধ্যায় পৃথিবীর সমগ্র ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র প্রেমিক, মনে মনে জপবো ফুলের বায়োস্কোপ, পথ হারা পাখি - তোমার গোপন নাম !