বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। লিখতে গিয়ে দেখলাম এই বাক্যগুলো ছাড়া আমি আর কোন বাক্য জানি না। প্রার্থণার উচ্চারিত শ্লোকের মত যে বৃষ্টি উড়ে আসছে আমাদের শহরে, মননে তা সম্ভবত একটা চিঠি, গূঢ় সংকেতময়, একই প্রত্যুষ থেকে নামহীন ফুলের পাপড়ির গায়ে প্রবল মায়ায় এঁকে দেওয়া বন্ধুত্বের গোপন নাম।
এই নিওলিথিক্যাল শহরে কোন বুড়ো ভবঘুরের জন্য এক টুকরো রুটির নিশ্চয়তা না থাকলেও জানি পেলব হাওয়া, গ্রাম্পি বিড়াল বৃষ্টিগন্ধী কার্নিশে ছড়িয়ে দেয় তোমার হাঁসিমুখ! না না তোমাকে অপরাধবোধপ্রবণ বানাতে চায়নি বরঙ বলছি হাসো, যে গান পৃথিবী, আকাশ, অথবা তোমার হৃদয় জুড়ে নেমে আসে তার কসম! থেমো না, তুমি তাকিয়ে আছো যে পথের পানে, তার ধুলিগ্রন্থে সহস্র কদম ফুল ফুটে আছে তোমার জন্য।
পরিহাস্যোজ্জ্বল তরুণী, তোমাকে বলি, তুমিই সেই ওয়েস্টার্ন আউট ল, নীতিপ্রবণ উন্মাদ! ঝড়ো বাতাসে যে শিষ দিতে দিতে ধুয়ে ফেলতে পারে সম্পর্কের দীনতা। তোমাকে দেখে মনে পড়ে অহং এর গ্রীবা ছুয়ে কিভাবে আঁকতে হয় বন্ধুত্বময় হৃদয়!
আমাদের সাম্প্রতিক স্মৃতি থেকে যে ফিসফাস, স্ল্যাং কিংবা কপট রাগ এসব অপার্থিব গল্প নিয়ে স্পিলবার্গ কোন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে না জেনেও আমি তার বিপরীতে অর্থহীন চিঠি লিখতে বসি, অথচ কে না জানে একদিন চিঠিই হয়ে উঠতে বেপোরোয়া স্মৃতি, অশ্রুর চেয়েও মায়াময়।
সূর্যমুখী হও অথবা সূর্যগন্ধী, হও স্বপ্ন-রাঙা সবুজ ফড়িং যার ডানায় আদিগন্ত আকাশ - ভ্রমণ প্রবণতা। ভায়ালো বাজাতে পারো, কেটে দাও গর্ভবতী বিষাদের জঠর, এমন হবে নিশ্চয় তোমার পায়ে পায়ে প্রজাপতির ন্যায় আনন্দ এসে চুমু খেয়ে যাবে।
প্রার্থণায়,
যার কোন বিনিময়যোগ্য অসাধারণ গল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২