১)
যে আত্মা তোমাকে মনে করে ; সেই আত্মা আজও গোপনে ঢুকে পড়ে সান্তিয়াগোর ব্যক্তিগত তরুণীদের জলদলে ; মন উদাস হলে আজও নদীর পাড়ে দাঁড়াই ; বহুদিন গেলো হাওয়ায় খুজি নদীর নিঃশ্বাস, ভাবি কি নামে ডাকলে বন্ধু; হতো মেঘেদের সাথে গোপন আতাঁত ; সঙ্গ দিতো হলুদপাখি । যে আত্মা তোমাকে মনে করে ; তার আঙুল কেটে লিখেছি স্বরচিত যতসব পঙতি ; আমি তো সব পড়ে ফেলেছি অন্ধকারে অনন্ত দেয়াল অথবা অন্ধ হেঁয়ালি !
যার আত্মা তোমাকে মনে করে ; তার বুকের বাম পাশে কদম ফুলের গাছ ; এইসব সাত পাঁচ বুঝি না ; জানে মর্ম কারিগর; যে আত্মা তোমাকে মনে করে তার নিঃশ্বাস খুলে খুলে দেখে নিও তার সমস্ত ভাঙ্গণে তোমার ব্যক্তিগত মহলের দাগ খতিয়ান !
২)
দুপুরের মৃদুরোদের পাশে শুয়ে অপেক্ষা করছি সাইকো থেরাপির জন্য ! ভুলো না কেউ; তোমাদের পায়ে চলা পথেই ; নিভে যাচ্ছে প্রলুব্ধ জাগরণ !
পূর্বজন্মের সকল গানের ভিতর দিয়ে এই জন্মে মুখস্ত করছি সব জাদু টোনা ; হাত সাফাই এর কৌশল শিখতেই শিখতেই আমি উচ্চারণ করছি- জীবনের চেয়ে আর্তনাদই ভালো ; নারীতে উপগত হওয়ার চেয়ে শহরের যাবতীয় চিত্রল হরিণের ছায়ার ভিতর ঘুমানো ভালো ।
বন্ধুরা আমার; আমিই অস্পষ্ট স্মৃতির জলছাপ ; ছাই ভস্মের কাপালিক !
৩)
ঘর থেকে বেড়োতেই দেখা হয়ে গেলো ডাউস চাঁদের সাথে ; এ চাঁদ মানে গোপনীয় জ্যামিতিক কন্যা; সুন্দর সব মিথ্যে !
আজ যে গান গাইবে ;তার কন্ঠে শতদল! মুছে যাচ্ছে মানুষ আর স্মৃতির সীমানা ! এখানে তুমি বলবে ; আমার আগুনের ভিতর আগুনরঙা দ্রোহের কথা বলো ; প্রেমের কথা বলো ! আমি তো আজ জানালা খুলে ছিড়ে ফেলি ঘুম; চাঁদকে চুমু খেতে খেতে অনির্ধারিত পৃথিবীর বিষণ্ণ মানুষ হয়ে লিখে ফেলি আপন নগরীর গুপ্ত ধারাপাত !
জানো নিশ্চয়; আজ তোমার ঘুঙুর থেকে বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ছে চাঁদ; প্রিয় অসুখ !