আমি তোর চোখের মধ্যে বাস করি- এ কথা আমার সকল সৃষ্টিছাড়া অক্ষরের গায়ে লেখা থাকে , বুজে গেছি আশ্চর্য সন্ধ্যায় দৃষ্টি এবং দৃশ্যেকল্পের আঙুলে বকুল ফোটাতে গিয়ে ! কিন্তু পাশেই পড়ে থাকে ধুসর সন্ধ্যার উপাখ্যান, উপাখ্যানের ভিতর ভেঙ্গে পড়ে শীতঘুম। আশ্চর্য রোদ শীতঘুম ভেঙ্গে চোখের কাঁখে।
তোর চোখে কি আছে কোন হাওয়ামেঘের ডানা? বাচাল হাওয়ামেঘকে আদর করে কাছে টানব, গল্প হবে বৃষ্টি এবং কদমফুলের প্রেমের। খুনসুটি হবে বৃষ্টির চুলে মাখা আদরে।
অন্ধকার আঁকা কি তোর চোখের কালোয় ?নির্জন অন্ধকারে কি ডেকে যায় কোন ডাঁহুক, প্রাচীন কোন অতৃপ্ততা নিয়ে? ঐ চোখে আমার ঘর ,আমার বসন্তদিন, সুখপোকাদের মায়াবীচাদর। চোখের প্রান্তরের ঐ অন্ধকার চিনিনা।
সারাবেলার নৈ:শব্দ্যের অসুখ তোর চোখে। দীর্ঘশ্বাস বুনে যায় নিষ্পলক ,এক ঝাক রাজহাস বসে থাকে এখানে, সকল অসুখ ডানা মেলে উড়ে যায় চোখের গভীরে আরণ্যক নির্জনতায় ,শুণ্যতার পলেস্তার ভালোবাসায় খসে পড়ে!
মূলত আমার মাথায় ঘটে যায় এইসব-তোর কাজল চোখের মধ্যেই সমস্ত বিষাদ নিয়ে ডুবে যেতে চেয়েছি!