অনেকদিন রিক্সায় ঘোরা হয় না। আজকে ঘুরলাম কিছুটা সময়। ফাঁকা রাস্তা , আবহাওয়াও খুব সুন্দর-হালকা তেজী রোদ আর খুব সুন্দর বাতাস।

রিক্সাভ্রমণের সময় সাথে কোনও বন্ধু থাকলে খুব মজা করে ঘোরা হয়। সারা রাস্তা অর্থহীন বকর বকর করি, আর রাস্তা ধারে যত মজার মজার খাবার আছে - চটপটি , ঝাল-মুড়ি , ভেলপুরী , কাঁচা আম ,পেয়ারা, আমড়া - এগুলা চলতে থাকে সাথে সাথে। যদিও আম্মার ভাষায় এগুলা নাকি দুনিয়ার অখাদ্য! কিন্তু কে শোনে কার কথা!

আজকে অবশ্য কোনও বন্ধুকে পেলাম না ঘোরা-ঘুরির পার্টনার হিসাবে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট -এসব রাস্তায় একাই রিক্সায় করে ঘুরলাম অল্প কিছুক্ষণ। সেটাতেও অবশ্য কম মজা হয়নি । এটা অন্যরকম একটা আনন্দ ছিল।

রিক্সায় ঘুরতে ঘুরতে আকাশ, মানুষ, গাড়ি- এসব দেখছিলাম। টি,এস,সি-র সামনে অনেকগুলা কাপল দেখলাম। রাস্তার ধারে বসে থাকা এরকম কাপল দেখলে মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি জাগে। কি দুষ্টু বুদ্ধি , সেটা অন্য আরেকদিন বলবো।

আজকে ঘুরতে ঘুরতে অনেকরকম মজার মজার কথা মনে পড়ছিলো, বন্ধুদের সাথে রিক্সাভ্রমণের সময়কার অনেক মজার স্মৃতি। তো এগুলা মনে করতে করতেই আপনা-আপনিই হাসছিলাম। শাহবাগ মোড়ে সিগন্যালে বসে আছি, রিক্সায়। হঠাৎ খেয়াল করলাম , পাশের রিক্সায় বসা একটা ছেলে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।


আমি তো তখন ভাবনায় পড়ে গেলাম, একি হলো রে বাবা!




এরপর সিগন্যাল ছেড়ে দিলে বাকিটা রাস্তা হাওয়া খেতে খেতে বাসায় ফিরলাম ।

আমার ভ্রমণকাহিনী এখানেই শেষ।

