somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাস্ট পাফ - ২য় পর্ব ( দ্যা রানিং সোওল )

১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি কেন এভাবে দৌড়ে পালিয়েছিলাম জানিনা....

দিকভ্রান্তের মত ছুটছি। ঠান্ডা বাতাস এসে চোখেমুখে ঝাপটা দিচ্ছে। শুনেছিলাম ঘন কুয়াশা বাতাসের গতিকে বাধা দেয়। আমি খানিকটা বিরক্ত হলাম এই সূত্র কাজ করছেনা দেখে। অনেক আগে থেকেই আমি বিরক্তি সহ্য করতে পারিনা।
মানুষ বিরক্ত হয়। বিরক্তি সহ্য করে। আবার বিরক্ত হয়। আবার সহ্য করে। এভাবে চলতে চলতে একসময় রেগে উঠে। আমি প্রথমেই রেগে যাই। তারপর রাগের মাথায় কিছু একটা করে বসি। কি করলাম, কেন করলাম এটা চিন্তা করে একটু বিরক্ত হই। কিন্তু ঐ যে, আমি বিরক্ত হতে জানিনা। রেগে যাই মুহুর্তেই। আবার কিছু একটা করে বসি। আবার বিরক্ত হই। রেগে যাই।
অ্যা ফাকিং লুপ টু ইনফিনিটি
হা হা হা। আমাকে প্রথম বিরক্ত কে করেছিলো জানতে ইচ্ছা করে খুব। তার জন্যই আমি জীবনটা পার করছি মাথা গরম রেখেই। হি হ্যাড এ লিটলবিট মোর পাওয়ার দ্যান গড। গডের দেয়া লাইফে উত্থান পতন থাকে। আমার নেই। আমি গ্রাফের এক্স এক্সিস বরাবর একটা সরলরেখা। এক্স এক্সিসে টাইম আর ওয়াই এক্সিসে মাদারফাকিং লাইফটার কিছু ফাদারসাকিং ইভেন্টস। ওফ নো নো নো নো, দে আর কলড রাবিশ উত্থান পতন। বুলশিট। হা হা হা হা।

কুয়াশাটা আজ একটু বেশীই। চশমার কাচ বেয়ে পানি পড়ছে নাকের পাশে। পানি জিনিসটা গডের একটা অদ্ভুত ক্রিয়েশান। হি ইজ অ্যা রিয়েল জিনিয়াস। জীবনের একটা মরাল দিয়ে দিয়েছে।

বার্ন ইউরসেল্ফ ইন দ্যা ফায়ার অফ এঙ্গার। বার্ন এজ মাচ এজ ইউ ক্যান। আই হ্যাভ সাম কোল্ড ইউরিন ফর দ্যা ফায়ার।

জেনীকে একদিন ঠাট্টা করে বলেছিলাম যে পানি হল গডের মূত্র। সাবধানে খেয়ো। স্পার্ম থাকতে পারে ভেতরে। জেনী ধর্মভীরু মেয়ে। সহজে মেনে নিতে পারেনি কথাটা। ঝাঝালো গলায় তর্ক করে উঠেছিলো। অবশ্য আমার সাথে তর্ক করে কেউ কোন দিন সুবিধা করতে পারেনি। আমি একটা সহজ সূত্র মানি।
গরীবকে মারতে হয় গায়ের জোড়ে, ধনীকে মারতে হয় মাথার জোড়ে আর মেয়েদের মারতে হয় পুরুষত্বের জোড়ে। তিনটাই আমার আছে। জেনীকে মেরেছিলাম। জেনী হার মেনেছিলো। না না, মার খেয়ে হার মানেনি। সে হার মেনেছে কারণ আমি হার মানতে পারিনা। এটা আমার স্বভাবের বাইরে।

দুপা টনটন করে ব্যাথা করছে। একটু থেমে নিজের শরীরে দিকে তাকালাম। হাতে প্রচুর রক্ত লেগে আছে। পরিষ্কার করা দরকার। এতক্ষন নিজের জন্য কোন চিন্তা ছিলনা। কিন্তু এখন হঠাৎ করে ইন্দ্রিয় সচল হয়ে উঠছে। শুধু মনে হচ্ছে নিজেকে বাচানো দরকার। কার থেকে কেনো বাচাবো সেটা যদিও এখনো অস্পষ্ট, তবু্‌ও মনে হচ্ছে বাচানো দরকার। ইতিমধ্যে দুজন পুলিশের কাছ থেকে নিজেকে বাচিয়েছি।
সান অফ এ বিচ। এরা দুজনও এসেছিলো আমাকে হারাতে। পেট্রল পুলিশ। কোথা থেকে যে উদয় হলো হঠাৎ করে ওনলি গড নোওস। মাত্র গাড়ীতে উঠব এমন সময় শালারা এসে হাজির। গাড়ী থেকে নেমেই জেরা।
জীবনের শেষ সিগারেটের টান দিয়ে সব রাগ ঝেড়ে ফেলেছিলাম। এরা আবার বিরক্ত করে দিলো। কি আর করা। তড়িৎগতিতে নাইফটা ছুড়ে মারলাম একটার বুকের বামপাশ লক্ষ্য করে। সাথে সাথে স্লিপ করে আরেকটার তলপেটে লাথি মারলাম। তারপর মুখে দুটো হার্ড পাঞ্চ। ব্ল্যাক আউট। নাইফটা বুক থেকে খুলতে যাবো এমন সময় হঠাৎ কলেজের বায়োলজী বইটার কথা মনে হল।

পুলিশটার শরীরের সব কাপড় খুলে ফেললাম। নাইফটা দিয়ে গলায় ধারালো একটা পোচ দিলাম। এমনিতেই। ইচ্ছা হলো তাই। শরীরের চামড়া গুলোকে আলুর খোসার মত ছিলতে লাগলাম সন্তপর্নে। ইশ একটু লবণ থাকলে আর লোকটা জীবিত থাকলে মজা পেতাম। রক্তাক্ত ছেড়া চামড়ায় লবণ। উফফ। অস্থির।

হার্ট সবসময়ই আমার অনেক আগ্রহের বস্তু ছিলো। ছোট নাইফটা দিয়ে পাজড় কাটা গেলনা। গাড়ীর ভেতর থেকে শাবলটা বের করে বুকে বাড়ি মেরে পাজড়ের হাড় ভাঙতে শুরু করলাম। মট করে ভেঙে গেল দুটা হাড়। আমি মুচকি একটা হাসি দিলাম। আস্তে আস্তে হার্টটা বের করে আনলাম। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম একটু আগেও শরীরটা উত্তেজনায় গরম ছিলো। এখন ঠান্ডা। এই হার্টটাই দায়ী। এটার জোরেই এসেছিলো আমাকে জেরা করতে। এটা না থাকলে আমি আর জেনী এখন একসাথে আগুনের খেলা দেখতাম। নাহ, এত সহজে এটাকে ছাড়া যায়না। পেটের খিদেটা চনমন করে উঠল হঠাৎ। গাড়ী থেকে অ্যালকোহলের বোতল টা বের করে হার্টটা ভিজালাম। লাইটার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলাম। জেনীতো একবারেই ঘুমিয়ে গেছে। তা না হলে এটা দিয়ে জম্পেশ একটা মুনলাইট ডিনার হয়ে যেত। একা কি খেতে পারবো সবটা? নোপ, চিন্তা করার সময় নেই। কামড় বসালাম পোড়া হৃৎপিন্ডতে।

আবার দৌড় শুরু। বাচতে হবে। কিন্তু জেনীতো মরে গেছে। আমি বেচে থেকে কি করবো? ফাক!!!! এত চিন্তা করছি কেন আমি? দৌড়াতে হবে। অনেক দুরে আলো দেখা যাচ্ছে শহরের। ঘাপটি মারতে হবে কোথাও। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই মনে হচ্ছে কেউ আমাকে ফলো করছে। আসলেই কি? পেছনে তাকালে দেখি কেউ নেই। তাহলে হেলুসিনেশন হচ্ছে। তলপেটটা ব্লাডারের চাপে ভারী লাগছে বেশ। হালকা করা দরকার।

রাস্তার পাশে দাড়িয়ে প্যান্টের জীপার খুললাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রশান্তি অনুভব করলাম। পেছনে কিসের যেন শব্দ। থাক। কিছুনা। হালকা হচ্ছি ক্রমাগত। আরো হালকা। উফফ শব্দটা জোরালো হচ্ছে আরো। দেখবো নাকি ঘুরে তাকিয়ে? মাথায় একটা শক্ত কিছুর শীতল আঘাত অনুভব করলাম.............

লাস্ট পাফ (১ম পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩১
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্বেতশুভ্র সোর্ড লিলি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪



সোর্ড লিলি বা মেক্সিকান সোর্ড লিলির নামের সাথে লিলি থাকলেও এটি আসলে লিলি বা লিলি পরিবারের কোনো ফুল নয়। কিভাবে কিভাবে যেনো এর নামের সাথে লিলি জুড়ে গেছে। এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদশে কেন আমেরিকার পকেটে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩






সামু ব্লগের কতজন ব্লগার দেশের বর্তমান অবস্হা সঠিকভাবে অনুধাবন করে রাজনৈতিক পোষ্ট লিখছেন? এই দেশের ১৯ কোটীর মাঝে শতকরা কতভাগ মানুষ জানেন, আধুনিক বিশ্ব্বের দেশগুলো কিভাবে চলে?

ড: ইউনুস কেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ কেন দাবী করলো না এনসিপি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩৫


বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে আওয়ামী লীগ দলটি এখন ফুটবলের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ না পুনর্বাসন ইস্যুতে বড়ো ছোটো সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। নবগঠিত রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

"মিস্টার মাওলা"

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০৯


বিটিভিতে খুব সম্ভবত আগে একটি বাংলা ছবি প্রচার করা হতো , নাম 'মিস্টার মাওলা'। নায়ক রাজ রাজ্জাক, অভিনিত ছবির সার-সংক্ষেপ কিছুটা এমন: গ্রামের বোকাসোকা, নির্বোধ ছেলে মাওলা‌। মাকে হারিয়ে শহরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সুনিতা উইলিয়ামস: মহাকাশ অনুসন্ধানে অনুপ্রেরণার যাত্রা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২৪





সুনিতা উইলিয়ামস কে? যদিও তুমি তোমার পাঠ্যপুস্তকে সুনিতা উইলিয়ামসের কথা শুনেছো, তবুও তুমি হয়তো ভাবছো যে সে কে ?

বিখ্যাত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামসের ক্যারিয়ার ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেরা, এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×