যাই হোক ঘুমের পর আমরা রওয়ানা দেই বীচে..............হোটেল থেকে বীচ এক্কেবারে কাছেই,,,,,,,,,,,,,,,,,আমাদের গোসলের প্ল্যান ছিল রাতের বেলা তাই আমরা এক্কেবারে ক্যাজুয়াল ড্রেসে বের হয়ে পড়ি......................
বীচে ঢুকেই এক ধাক্কা.....................এত নিরিবিলি!!!!!!!!এত শান্ত!!!!!!!!!!
পুরা বীচে কতজন মানুষ যেন হাতে গুনে বলে দেয়া যেত............তখন পড়ন্ত বিকালবেলা..........................
একাকী.......
সূর্যাস্তের কিছু ছবি
আর একটা জিনিস আছে,,,সেটা হচ্ছে মোটরসাইকেল.........................যাদের বাইক প্যাশন আছে তাদের জন্য কুয়াকাটা একটা আদর্শ স্হান.....................প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসেবে তারা বাইক ভাড়া দেয়................যারা চালানো পারেনা তাদের শিখানোর ব্যবস্হা ও আছে........................আমাদের দলে আমি সহ ৩ জন বাইক পাগলা........................তাই বিকেল টা আমাদের কেটে গেল বীচে বাইক চালিয়ে সূর্যাস্ত দেখে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,তখনই বাইকের মালিকেরা আপনাদের কাছে তাদের ফোন নাম্বার টাম্বার দিয়ে দেবে..................তখনই পরেরদিন সূর্যোদয় দেখার জন্য কাউকে বুক করে রাখা ভাল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কারন সূর্যোদয় দেখার জন্য যেতে হয় প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে...............কুয়াকাটার আরেক প্রান্তে.............
কক্সবাজার রাতের বেলা গোসলের জন্য মোটেই আদর্শ নয়,,,,,,,,,,,,,,,,,কিন্তু ঠিক বিপরীত হচ্ছে কুয়াকাটা..................নিরিবিলি একটা বীচে তেমন বড় কোন ঢেউ নাই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অনেক দূর যাওয়া যায় নিশ্চিন্তে...................আমরা রাতে সমুদ্রে প্রায় ৩ ঘন্টা কাটাই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কুয়াকাটায় বড় বড় চাকার টিউব ভাড়া পাওয়া যায়................টিউবে শুয়ে ঢেউয়ের সাথে যত ইচ্ছা উপর নীচ করা যায়..............বা শুধুই শুয়ে থাকা..........!!!!!!অদ্ভুত লাগে তখন............উপরে লক্ষ কোটি তারা,,,,,,,,,,আপনি শুয়ে আছেন সমুদ্রের বুকে..................
সূর্যোদয়
সকালে সূর্যোদয়ের জন্য ফজরের আগেই ঘুম থেকে উঠতে হয়............ফজরের আজানের পর বাইকে করা তারা আমাদের নিয়ে রওয়ানা দেয়.......................আমদের দলের বেশীরভাগই সূর্যোদয় দেখার পক্ষপাতী ছিলনা,,,,,,,,,,,,,,,,,,ছুটিতে তারা আরামের ঘুম মাটি করতে চাচ্ছিলনা.............



সবাই অবশ্য আমাকে একটা ধন্যবাদও দেয়নি,,,,,,


যাইহোক,,,,,,,,,,,,,পৌছে ভরপেট নাস্তা,,,,,,,,তারপর আবার ঘুম,,,,,,,,,,,ওওওও............এরই মধ্যে আমরা এক বুড়া চাচা কে পেয়ে যাই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উনার দোকানে আমরা ৬ জন ২ দিনে মোট ৪৮ কাপ চা খেয়েছি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,



কুয়াকাটার বিখ্যা্ত রাখাইন বাজার দেখে আমরা হতাশ হয়েছি,,,,,,,,দামও বেশী,,,,,,,,,,,,,,,,,হতে পারে সিডর পরবর্তী ডিপ্রেশন সামাল দিয়ে এখোনো উঠতে পারেনি,,,,,,,,,,,
তারপর আবার গোসল,,,,,ফুটবল খেলা,,,,,,,,,,তারপর বিকেল বেলা পুরোটাই আমরা রেখে দিয়েছিলাম,,,,,,,,,,,,,,কুয়াকাটার আরেক প্রান্ত যেখানে কুয়াকাটা আর সুন্দরবন মিট করেছে সেই ফাতরার চর দেখার জন্য.........
মোট ১৩ কিলোমিটার রাস্তা,,,,,,,,,,,,,,সরাসরি নিয়ে যাবে ডাকাতিয়া নদী এবং সমুদ্রের মোহনায়...........................এই সেই মোহনা,,,,,,,,,,,যেদিক দিয়ে সিডর বাংলাদেশে ঢুকেছিল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,দূরে দেখা যায় সুন্দরবন

সিডরের কিছু চিহ্ন
এ জায়গার বেশী বিবরনে যাচ্ছিনা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এক কথায়,,,,,,,,,,,,এটিই কুয়াকাটার সেরা জায়গা...............হ্যা......সূর্যোদয় দেখার পরেও..............মোহনার বিরাট বিরাট ঢেউ,,,,,,,,,সাথে সুন্দরবন..........সাথে অস্ত যেতে থাকা সূর্য..........লাইফ ইজ বিউটিফুল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
,,,,,,,,,,,,,,,,শুধু রাত্তিরটা আমদের হাতে ছিল.................স্নান,,,,,,,,,গান,,,,,,,,,,স্নান,,,,গান,,,,,,,,,,,,,,এভাবেই চলছিল...............এর মধ্যে আমরা পাই এক বাউল এবং তার মেয়েকে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উনি বীচে সবাইকে গান শুনিয়ে থাকেন............তারপরের অংশটুকু পুরা কুয়াকাটা ভ্রমনের শেষ অংশটুকু সার্থকতায় পরিপূর্নতা পাওয়া.......................তিনি আমাদের ৬ টা গান শুনান,,,,,,,,,,,,,,,একটা তার নিজস্ব মনে হয়,,,,,,,কারন ঐ গান আমরা আগে কখনও শুনিনি,,,,,,,,,,,,বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কত অসাধারন সব মানুষ লুকিয়ে আছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হোম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সুইট হোম..............