পর্ব ২
ইসলামী ব্যাংকঃ জামাতের অর্থভান্ডার । জামাত সমর্থকদের জীবন ধারনের অবলম্বন। আল-বদর নেতা আবদুজাহের এই ব্যাংকের চেয়ারমেন-যিনি আবার জামাতের সুরা মজলিশের ও সদস্য।তবুও বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে রাস্তায় রাস্তায় নৌকা দিয়ে ভরে ফেলে, শেখ হাসিনার ইয়া বড় বড় পোস্টারে ছেয়ে যায় ঢাকার রাজপথ। গোলাম আযমের বা মওদুদীর বড় বড় ফটো আর তলোয়ার হলে জামাতের চরিত্রের মানাসই হতো।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঃ আহ! দাদা, একেবারে হাতেনাতে কট এন্ড বোল্ড। বিএনপির নাজমুল হুদা যোগাযোগ মন্ত্রী থাকাকালে চ্যানেল আইর এক টক শোতে সুরঞ্জিত দা নাজমুল হুদাকে একেবার সরাসরি দুর্নীতিবাজ বলেছিলেন। টিআইবির জরিপে তখন যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ছিল দুর্নীতির শীর্ষে। সেই সুরঞ্জিত আজ নিজেই দুর্নীতির প্রতীক।
উপদেস্টা পরিষদ ঃ শেখ হাসিনা কিছু চোর বদমায়েস কে তার উপদেস্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।এর মাঝে বড় চোর হল শেয়ার বাজার লুন্ঠনকারী সালমান রহমান। তিনি তার বেসরকারীকরন উপদেস্টা।সে যে শেখ হাসিনাকে কী উপদেশ দেয় তা জানার ভীষন ইচ্ছা। বাকী গুলার কথা শুনলে মনে হয় তারা মনমোহনের উপদেস্টা-যা যথার্থই বলেছেন আওয়ামীলীগেরই কিছু এম পি।
বদরুদ্দৌজা ও অলি আহমেদঃ জন কন্ঠ পত্রিকা কখনোই বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর পুরা নাম লিখতো না।লিখতো বদ. চৌধুরী। সেই বদ সাহেব বিএনপি থেকে বিতাড়িত হয়ে বিকল্প ধারা করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি।এখন আবার বিএনপিমুখী ।আর অলির জন্য একটি গানই যথেষ্ট। “অলি বার বার ফিরে আসে”
ড. ইউনুস ঃ বাংলাদেশের বহু মানুষ একবাক্যে স্বীকার করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের পিছিয়ে যাওয়ার পিছনে ইউনুসের হাত আছে।গ্রামীন ফোন গ্রাস করতে চাইলে নরওয়ে নিখুঁতভাবে তার দুর্নীতি ফাঁস করে দেয় ।ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন নাগরিক যেন নোবেল পুরস্কার না পায় –এই কামনাই করি।
দাংগা বাজ বাংগালীঃ আপনাদের কারো মনে আছি কি না জানি না,১৯৪৬ সালে নোয়াখালীর রামগঞ্জকে কেন্দ্র করে ৮০ কিমি ব্যাসার্ধ ধরে বৃত্ত অংকন করলে যে এলাকা হবে সেই এলাকায় দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাংগা ছড়িয়ে পড়ে। এর শিকার সংখ্যালঘু বহু হিন্দু দেশত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায়।১৯৭১ সালের কথা বাদই দিলাম।এরপর ১৯৯০ সালে ভারতের বাবরী মসজিদ ভাংগার সময়, দেশব্যাপী সে কি তান্ডব, আমার বয়সী অনেকেই হয়ত নিজ চোখে দেখেছে।২০১২ সালে এসে মিয়ানমারে জাতি গত দাংগায় বহু রোহিংগা মুসলিমকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে না চাইলে সেই তাদেরই কি মায়াকান্না !তবে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু সম্প্রয়দায়ের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাদের পুর্ব পুরুষদের প্রতিশোধ নেয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। আর মাত্র ৪০ বছর ।জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে ভারতেরই সীমান্তবর্তী রাজ্যে আশ্রয় নিতে হবে।তাই নোয়াখালী,ফেনী,কুমিল্লা,চাঁদপুর,লক্ষীপুরের বাংগালিরা, সাবধান! সময় আসছে।
গ্রামীন ফোনঃ এককথায় হারামীর ফোন। বাইরে মানুষের গলা তো কাটছেই, ভেতরে নিজে কর্মীদেরও শান্তি দিচ্ছে না। জনকল্যানমুলক কত কাজ যে করে- তা শুধু বিজ্ঞাপনেই সীমাবদ্ধ।এখন আবার শুনা যাচ্ছে বেছে বেছে গর্ভবতিদেরই বিদায় করে দিচ্ছে। আমার কাছে এদের কাজ কর্ম ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীরই একটা আধুনিক ভার্সন বলে মনে হয়।
RAB:এতোদিন বিখ্যাত ছিলো ক্রসফায়ারের জন্য, এখন বিখ্যাত গুমের জন্য। বড় বড় সন্রাসীরা ক্রসফায়ারেমারা পড়লে RAB বিপুলভাবে প্রসংসিত হত। এখন আবার গুম শুরু করলে মানুষ আতংকিতবোধ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫৯