২৮তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশের পরপরই প্রথম আলো ও সমকাল পত্রিকায় বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ভুতুড়ে নম্বর পাওয়া নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পুলিশ ক্যাডার পাওয়া একজন প্রার্থী বাংলা ২য় পত্রে ৮৬ নম্বর পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ডঃ সৌমিত্র শেখরের মতে বাংলা ২য় পত্রে এত নম্বর পাওয়া অসম্ভব। দুটো রচনা(৪০*২=৮০) আর একটি পত্র(+২০=১০০) লিখনে একজন প্রার্থীর এত নম্বর পাওয়ার বিষয়টা ভুতুড়ে ছাড়া আর কিছু নয়।
যারা ২৮তম বিসিএসে পাশ করেছে তারা ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছে। সুবিধাভোগিরা(পাশ করা প্রার্থীরা) কখনোই ভুতুড়ে নম্বর পাওয়া নিয়ে কিছু বলবে না। কিন্তু যাদের কপাল পুড়েছে তাদের কি হবে?
নম্বর ফর্দ পাওয়ার পর যদি দেখা যায় একজন প্রার্থী কোন একটা বিষয়ে ২৬ নয় ৬২ পেয়েছে তখন কি হবে? ভুল স্বীকার করে মেধা তালিকায় ক্যাডার পদ পেলে সে প্রার্থীর চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে, নাকি পিএসসির চিরাচরিত নিয়মে বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়া হবে?
ইতিমধ্যে পিএসসি ২৯তম বিসিএসের নম্বর দেয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছে।আবার উর্তীর্ন প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগদানের কাজ এগিয়ে চলেছে।
এখানেও সেই একই প্রশ্ন, কপাল পোড়া কোন প্রার্থী যদি বেশি নম্বর পায় তাহলে কি তার কপালে ক্যাডার পদ জুটবে? আপাতত তেমন কোন আশা দেখা যাচ্ছে না।
আবার মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের এই নিয়ে পিএসসির এই বিজ্ঞাপনে অধমের মনে বিরাট সন্দেহ।
এত ভুলভাল কাগজ জমা দেয়ার পরও প্রার্থীরা এতগুলো ধাপ পেরুলো কিভাবে? লিখিত পরীক্ষার আগেই তো তাদের আটকে যাওয়ার কথা।
নম্বর পত্রে ভুল ধরা পড়া কোন ব্লগার-প্রার্থী কি আছেন? আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।