মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম ৫ দিনে শুধু ঢাকা শহরেই ১৩ জন খুন হয়েছে। আজ আবার পত্রিকায় দেখলাম খোদ রাজধানিতে সরকারদলীয় সাংসদের বাসায় ডাকাতি হয়েছে। দেশের অন্যত্র মানুষ চুরি-ডাকাতির ভয়ে নিরাপদে ঘুমাতে পারছে না। সারা দেশেইচলছে হত্যা, লুন্ঠন, দখলবাজি।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সরকার দলীয় সমর্থকেরা জড়িত। পুলিশ সাক্ষী-গোপাল মাত্র।RAB বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত হওয়ার কারনে তারাও নিষ্ক্রিয়। অভিযোগ পেলেও আগের মতো আর Rapid গতিতে ছুটে আসে না। Rapid Action Battalion এখন No Action Battalion হয়ে গেছে। নির্যাতিত মানুষের কোন আশ্রয় নেই।কোন বাহিনীই তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নয় বা নিরাপত্তার কাজে আসছে না। নির্যাতিত মানুষদের কেউ কেউ ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে আবার কেউবা নীরবে নিভৃতে চোখের পানি ফেলছে।
বিগত জোটসরকারের আমলে একবার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।বহু বিতর্ক হলেও সে সময় দেশের মানুষ কিছুটা হলেও কয়েকদিন শান্তিতে ছিল।বড় বড় রাঘব বোয়াল সন্ত্রাসী পালিয়ে ছিল।যদিও সেনা প্রত্যাহারের পর তারা পুনরায় ফিরে আসে,যে কয়দিন পালিয়ে ছিল সে কয়দিনের বকেয়া চাঁদাও উসুল করে।
সংখ্যাগরিষ্টতা পাওয়া আর প্রতিটি আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার কারনে আপনার দলের কর্মীরা অতিমাত্রায় আত্নবিশ্বাসী।তারাধরাকে সরা জ্ঞান করছে। তারাই মুলত এই আইনশৃংখলার অবনতির জন্য দায়ী।এবার সন্ত্রাসী সাংসদ তেমন একটা নেই।তবে ভালো ভদ্র সাংসদরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মীদের পক্ষেই অবস্থান নেয়।তাদের লালন করে।
ফলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তায় আজ আর কেউ নেই।
যেহেতু সরকারী সাংসদদের অপরাধিদের পক্ষে অবস্থান আর RAB এর নিষ্ক্রিয়তার কারনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেহেতু এই মুহুর্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন।
অতএব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন এই যে, অতি শীগ্রই সেনা মতায়েন করে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪১