’৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় দেশের তরুন প্রজম্ন আওয়ামীলিগকে ভোট দিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেখতে পাবে বলে ।
কিন্তু হচ্ছে না , কিছুই হচ্ছে না ।
আওয়ামী সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের সাথে বৈঠকের পর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সত্তেও অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও ধনকুবের মীর কাসিম আলি সৌদি গমন করেন ।
অপ্রাসংগিক হবে না তবুও উল্লেখ করা যায় , নিকট অতীতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি বাবরবসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলেকে খুনের মামলা থেকে রেহাই দিতে ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিমানবন্দর পার করে দিতে সহায়তা করেন ।মীরকাসিম আলীর ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে দেশের বাইরে যেতে সহায়তা করার জন্য কে কত পেয়েছে তা কি আমরা কখনো জানতে পারবো ?
অতপর বহু কাঠখড় পোড়ানো শেষে মীরকাসিম দেশে ফেরত আসলে (নিশ্চয়ই কোন না কোন সমঝোতার ভিত্তিতে) আইনপ্রতিমন্ত্রী তাকে নিরপারাধ বলে ঘোষনা দেন ।এর পরই পত্রপত্রিকা ও ব্লগে আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের মীরকাসিম আলীর ইসলামি ব্যাংক থেকে
ঋন নিয়ে বাড়ি তৈরি করার খবর প্রকাশিত হয় ।ঋনের বাইরেও কি পরিমান অর্থ লেনেদেনের কারনেআইনপ্রতিমন্ত্রীর এই স্ববিরোধী অবস্থান তা হয়তো আমরা আর কখনোই জানতে পারবো না ।
তবে এটা বুঝতে পারি উন্নত দেশ হলে পরে সর্বোপরি সরকারের নীতি নির্ধারকদের বিবেচনাবোধ থাকলে পরে আইনপ্রতিমন্ত্রীকে এ পদে আর দেখা যেত না ।
মনে আছে বিএনপি সরকারের শেষ সময়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ নাইকো থেকে গাড়ি উপহার নেয়ার কারনে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ।কিছুদিন আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে নিযুক্ত প্রধান তদন্ত কর্মকর্তাকে অতীতের জামাত সংশ্রবের কারনেসম্পুর্ন নৈতিকতার দিক বিবেচনা করে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ।অথচ বর্তমানের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা জামাত সংশ্লিষ্টতা সত্তেও বহাল তবিয়তে আছেন ।
এখন ডঃ আলাউদ্দিন কি বলবেন ?এখন আপনার নৈতিকতা বোধ কথায় ?
সরকারের উপর মহলের সাথে অপরাধীদের এ ধরনের সখ্য কেবল অশুভ ইংগিতই বহন করে ।
আজ যুবলীগ পল্টনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সমাবেশ করেছে ।
Click This Link
আমার প্রশ্ন হল- কার কাছে তারা এ দাবি জানাচ্ছে ?কে তাদের এই দাবি পুরন করবে ?তারা নিজেরাই তো ক্ষমতায় ।এই সমাবেশ কি সরকারের অপারগতা প্রকাশের লক্ষন ?
নাকি তাদের শীর্ষ দুই পদে অধিষ্টিত মির্জা আজম ও জাহাংগীর কবির নানক যে খুনি-তাদের দিয়ে যে অন্য খুনিদের বিচার হবে না –তার মর্মবানী জনগনকে জানানো । আমরা তাদেরকে ভোট দিয়ে মাঠে নামিয়েছি কি উল্টো দাবী জানানোর জন্য না কাজ দেখানোর জন্য ?