বুকের খাঁচায় লাগা কালশিটে দাগ,ডাঙ্গুলি না খেলা হাতে ঝিঁ ঝিঁ,
প্রথম যৌবনের প্রলয়ংকর কিশোরী বুকের ওম না নেয়া চোখের শীর্ণতায়
মায়ের স্বপ্ন, বোনের আব্দার, ভাইয়ের ইচ্ছে, উচ্চাভিলাষ মাটি।
হাতে হাত রেখে বদলের স্বপ্ন শ্লোগান দিয়ে সাজাই আমার ঘর
বন্দুকের গুলি বন্ধুকে করে হলাম একা, অসামাজিক, পর।
যুদ্ধে যেতে আমিও চেয়েছিলাম-
সুযোগ আর পৌরষের আশায় ক্লান্ত হলাম।
যৌবনবতী লাউডগা ঘাড়ে হয়ত রাখা হবেনা কর্কশ হাত,
ঢেউ খেলান চুলে প্রেমিক আঙ্গুলের এখনো উপোস রাত,
স্কুলের দিনে ধাউস ঘুড়িটা নিয়ে ভোঁ দৌড়
পাটক্ষেতে লুটোপুটি, কানামাছির স্বপ্ন উজাড়।
একি!
আমড়া কাঠের ঢেঁকি!
আমাকে সবাই একা করে দাড়, তুলে নেয় যত আব্দার।
স্বপ্ন, ইচ্ছে, লাটাই কত্ত কিছু নিয়ে
কিশোরী বুকের স্বাপ্নিক ঘ্র্রানে
কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমে (ঘুম কি আসে !) দেই ডুব।
আহা! ঘুমিয়ে পড়ে লাভ কি হল খুব?
ঘুনপোকারা খেয়ে ফেলে আস্ত কচি বাঁশ-
বুকের ভিতর যানযটে জান করে হাসফাস।
তবুও জীবন আঁকি,
বাসী কদম ফুলের মত পাপড়ী ঝরে ন্যাংটো হয়ে তাই
মাঝ সাগরে ডুব জাহাজীর মত চেয়ে থাকি।
আপনে, তুমি, তুই আছেন জান
মোলাকাত বিনা নিস্তার নাই মান
সেদিন থেকে আমি আর কখনও একা নাই
যেদিন মায়ের নাড়ী কেটে ফেলেছে গ্রামের দাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫