গতকাল ছিলো বিশ্ব বাবা দিবস.........আমি খুব খুশি, যে একজন বাবা হিসাবে দিনটি আমারও প্রাপ্য ছিলো। কিন্তু এমন আরো অনেক দিবস থাকা উচিৎ যাগুলো বিভিন্ন মহলের মানুষদের এই বোরিং জীবনকে রঙিন করতে সাহায্য করবে। এমন দশটা দিবস .........যেগুলো পালনের জাতিসংঘে উপস্হাপন করা হবে:
২০ মার্চ.....বিশ্ব শ্যালীকা দিবস
এই দিবসের আগে দুলাভাইরা বেশ চনমনে মেজেজের থাকবেন। এই দিনে শ্যালীকারা দুলাভাইকে উদ্দেশ্য করে গ্রিটিংস পাঠাবে। দুলাভাইকে আদর করে দাওয়াত করবে। দুলাভাইএর মাথার পাঁকাচুল বেছে দেবে। সারাদিনের ক্লান্তিতে দুলাভাইএর মাথা ধরবে, শ্যালিকা মাথা টিপে দিবে। সবশেষে দুলাভাই শ্যালীকাকে চোখ বন্ধ করতে বলবে। শ্যালীকা চোখ বন্ধ করলে ওর হাতে ১০০০টাকার নোট গুঁজে দেওয়া হবে। (নোট বিশর্জনের সময় চোখ বন্ধ থাকায় দুলাভাইএর বিমর্ষ মুখমন্ডল শ্যালিকা দেখতে পারবে না

১৮ এপ্রিল....বিশ্ব ভাবী দিবস
এই দিবসটা ভাবীদের জন্য যতটা গুরুত্ব পুর্ন, ঠিক এমনই গুরুত্বপুর্ন ভাইদের জন্যও। কারন এই দিবস উপলক্ষে ভাইদের বিভিন্ন অফিশিয়াল ট্যুরে বিদেশে পাঠানো হবে। ভাইরা এই দিবসটির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করবে। বউকে যেনো একা একা বাসায় বোরিং হতে না হয়, এজন্য ছোটো ভাইকে হোস্টেল থাকে ভাবীর সংঘ দেবার জন্য ডেকে পাঠানো হবে......বিশেষ দিনটিতে দেবর তার প্রিয় ভাবীকে শুভেচ্ছা জানাবেন

২৫ জানুয়ারী.....বিশ্ব ছ্যাকা দিবস
এই দিনে তামাম ছ্যাকা খাওয়া প্রেমিক প্রেমিকারা চন্দ্রীমাউদ্দানে একত্রিত হয়ে একে অন্যকে সমবেদনা দেবে। এই চান্সে নতুন কারো সাথে পরিচিত হয়েও যেতে পারেন। যেহেতু সবাই এখানে চ্যাকা খাওয়া পাবলিক.....তাই সবার জন্যই উইন উইন সিচুয়েশন......এই চান্সে প্রেম হয়ে গেলে ১৪ ফেব্রায়ারীর জন্য আর কোনো চিন্তা থাকলো না।
১৮ অক্টবর.......বিশ্ব শালা দিবস
শালা শব্দটা অস্লিল। মানুষ হিসাবেও বেশ যন্ত্রনাদায়ক ওরা। এই দিনে প্রতিটা দুালভাই ওদের গাললি দিয়ে মন্ডুপাত করবে।
নভেম্বরের দ্বিতীয় রবি বার........বিশ্ব ফাঁকিবাজী দিবস
এই দিবসটা খুবই তাৎপর্যপুর্ন.....সবার জন্য। এই দিনে ছাত্র পড়ায় ফাঁকি দিবে, মাস্টার মশাই স্কুলে আসবে না। মডুরা কোনো মডারেশন করবে না। ব্লগার রাও আলসেমি করে কোনো অস্লিল পোস্ট দিবে না। চোর চুরি করবে না। পুলিশরা ঘুষ খাবে না...........এ যেনো বেহেস্ত!!
২৩ এপ্রিল......বিশ্ব সন্তান দিবস
এই দিনে বাবা মায়েরা সন্তানকে কোনো শাষন করবে না। সন্তানের দুষ্টামীর মাত্রা শয়তানকে ও ছাড়িয়ে যাবে। বাবামায়েরা সন্তানের হাতে সিগারেটের প্যাকেট তুলে দিবেন। গুলশান বনানী ওয়ালারা কোকের বদলে দিবেন স্যাম্পেন.......লেবু, বিট লবন ঠিক মতো মিশাতে না পারলে সন্তানেরা খুব রাগ করবে। এজন্য একমাস ধরে মায়েরা বিভিন্ন রেসিপিতে সন্তানের সেবা দানের ব্রত নিয়ে চেস্টা চালিয়ে যাবেন।
৭ জুন.........বিশ্ব চাটুকারীতা দিবস
চাটুকারীতা উন্নতি উত্তম এবং সটকাট পথ। ....এই ব্রত নিয়েই বিশ্ব ব্যাপী এই দিবস টা পালিত হবে। কিন্তু অনেকেই চক্ষুলজ্জার কারনে চাটুকারীতা করতে পারেন না। এই দিনে কিভাবে সবাই যার যার চক্ষুলজ্জা ভুলে চাটুকারীতায় লিপ্ত হবে। প্রয়োজনে নিজের দেখা স্বপ্নকে বংগবন্ধুর স্বপ্ন হিসাবে চালিয়ে দিবে।
৯ জুলাই.........বিশ্ব হাতের টিপ ঠিক করা দিবস
হাতের টিপ (সই) ঠিক করা খুবই উপকারী কাজ। অনেক সময় আত্ন রক্ষার জন্য ঢিল ছুড়তে হয়। এই দিনে সবাই ঢাকার অকেজো ট্রাফীক সিগনালগুলো ঢিল মেরে ভেংগে ফেলার চেস্টা করবে।
২৯ ফেব্রুয়ারী......বিশ্ব মিথ্যা দিবস
এই দিনটা আমাদের রাজনীতি বীদ দের জন্য খুবই তাৎপর্যপুর্ন। চার বছর পরপর এই দিন আসে। এই দিনে সংসদে দাঁরিয়ে যেকোনো বিল বিনা বাধায় পাশ করিয়া নেওয়া যাবে।
৩০ ফেব্রুয়ারী.....বিশ্ব হিন্দী সিরিয়াল বর্জন দিবস
এইটা কোনোদিনও হবে না।
এছাড়াও বিশ্ব পরকীয় দিবস হিসাবে একটা দিন ধার্য করার জন্য বিভিন্ণ মহলের রিকুয়েস্ট থাকা স্বত্তেও উনাদের কে ১৪ ফেব্রুয়ারীতে বিষয়টা ম্যানেজ করে নেওয়ার অনুরোধ করা হইলো।