আস্তিকতার ভিত্তি কি? ধর্ম। ধর্মই আমাদের আস্তিক হতে বাধ্য করে। সৃষ্টিকর্তা কনসেপ্টটির ভিত্তিই হচ্ছে ধর্ম।
তাই যারা বাস্তবিক জীবনে ধর্মকর্ম করেন না, তারা সকলেই নাস্তিক। নাস্তিকতা অর্থ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অস্বীকার করা। আর সৃষ্টিকর্তা তার লিখিত সকল ধর্মগ্রন্থগুলোতেই তার উপাসনা করার নির্দেষ দিয়েছেন। তাই মুসলিমরা মসজিদে যান, খ্রীষ্টানেরা গীর্জায় যান, হিন্দুরা মন্দিরে যান। একমাত্র তাদের নিজ নিজ ধর্মের ইশ্বরকে খুশী করার জন্য।
অধার্মিক বলতে আমরা বুঝি তাদের, যারা বাস্তব জীবনে খুব একটা ধর্মানুরাগী নন। তার অর্থ তারা সরাসরি সৃষ্টিকর্তার নির্দেষ অমান্য করছেন এবং তাকে অস্বীকার করছেন। শুধু মুসলিমদের কথা ধরলে বলি, যদি তুমি আল্লাহর আদেশটাই ঠিকমতো না মানলে তবে তুমি কেন নিজেকে আস্তিক আস্তিক বলে চিতকার করো?
ইসলামের ৫ টি ভিত্তির মাঝে সালাতকে যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আর কোন কিছুতে এতো গুরুত্ব নেই। সৃষ্টিকর্তা/আল্লাহ নিজেও সালাতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কোরানে বার বার সালাতের কথা আল্লাহ নির্দেষ দিয়েছেন। নিজেকে যিনি একজন আস্তিক তথা মুসলমান দাবী করবেন, স্বভাবতই ধরে নেয়া যেতে পারে যে তিনি ইসলামের সকল কাজ ঠিকভাবেই প্রতিদিন সম্পাদন করছেন, এবং আল্লাহকে মান্য করছেন।
তেমনি আমরা ভাবতে পারি একজন খ্রীষ্টান বা হিন্দু সম্পর্কেও। এখন কেউ যদি নিজেকে আস্তিক দাবী করেন, কিন্তু কোন ধর্মের রীতিনীতিকেই তিনি তার দৈনন্দিন জীবনে গ্রহন না করেন, তবে তিনি অধার্মিক তথাপি নাস্তিক। কারন তিনি নিজেকে আস্তিক বলে দাবী করলেও কোন ধর্ম অনুসরন করছেন না, কিন্তু ধর্মই হচ্ছে সৃষ্টিকর্ত তথা আল্লাহ, ভগবান, গড, এসবের ভিত্তি।
তাই যারা প্রকৃতই অধার্মিক এবং নিজের জীবনে কোন ধর্মকেই অনুসরন করেন না, কিন্তু মুখে বলেন মুসলিম অথবা খ্রীষ্টান অথবা হিন্দু, তারা বাস্তবিকই সৃষ্টিকর্তাকে অমান্য করছেন, অস্বীকার করছেন। তাই তারা কিসের ভিত্তিতে নিজেদের আস্তিক বলে দাবী করেন?
সকল অধার্মিকেরাই তাই নাস্তিক। নিজেকে যদি আস্তিক আস্তিক বলে দাবী করে গলা ফাটান তবে যে ধর্মে ভিত্তিতে আস্তিকতার প্রলেপ লাগিয়েছেন নিজের দেহে, সেই ধর্মের প্রতিদিনকার ধর্মীয় রীতিনীতিগুলো যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন করেন। তারপর গলা ছেড়ে বলুন, আমি আস্তিক।