প্রায় দেড় বছর ধরে জীবন ও জীবিকার তাগিদে জার্মানীর ব্ল্যাক ফরেস্টের মাঝামাঝি অবস্থিত সেঙ্কট রোমার নামক ছোট এক গ্রামে আমার বসবাস । চারদিকে সবুজের সমারোহ আর উচুনিচু পাহাড়ে ঘেরা ছোট এ গ্রামকে আসলে পছন্দ না করে থাকতে পারে এমন মানুষ খুব কমই আছে। মজার ব্যাপার হল, এই গ্রামের মোট জনসংখ্যা ২০০ এর মত মাত্র । সমতল ভুমি থেকে প্রায় ৫৫০ মিটার উচ্চতায় আমাদের বসবাস। সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা থাকলেও অনেকেই যখন বলি আমার কোন মোবাইল নাম্বার নেই , বিশ্বাস করতে চায় না। কারন আমাদের ল্যান্ডফোন থাকলেও আমাদের গ্রামে মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই, ব্ল্যাক ফরেস্টের মাঝামাঝি আর কম জনসংখ্যার জন। আর এ নিয়ে কারো কোন আফসোস নেই। বরং আমাদের চার তারা হোটেল এর গেস্টদের জন্য এটা একদিক দিয়ে ভাল দিক । যারা তাদের কর্ম ব্যাস্ত লাইফ থেকে একটু নিরিবিরি ঝামেলাবিহীন ছুটি কাটাতে চায় তাদের জন্য মোবাইল ফোনবিহীন কয়েকটা দিন আসলেই ভাল কাটে। তা ছাড়া ইন্টারনেট, ল্যান্ড লাইন সবই আছে। অনেকতো কথা চল এবার চলুন ছবিতে দেখে নেই সেই ছোট গ্রামটি ।
উপর থেকে আমাদের হোটেল আর একই পাশে বাসায় আমার বসবাস ।
পাহাড়ের উপর থেকে
আমাদের আউটডোর সুইমিংপুল শুধুমাত্র সামারের জন্য
এবার চলুন উইন্টারের কিছু ছবি দেখি
তুষারে ঢাকা আমার কর্মস্থল
ছবি দুটো গত শীতে এক সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি এই অবস্তা। দুঃখজনক হলেও সত্য এ বছর এখন ও তুষারের দেখা পাই নি।
কিছুদিন আগেই গেল ফুল মুন। আমার জানালায়ও এসেছিল ফুল মুন। চাদের আলোয় ব্র্যাক ফরেস্ট ।
ভাগ্যবশত একদিন এক ঝলক বৃস্টির পরে রংধনুর এসেছিল আমার জানালায়। রংধনুর রংগে ব্র্যাক ফরেস্ট ।
আমাদের হোটেলের নিজেদের হরিনের খামার ও গরুর খামার রয়েছে। হোটেলের হরিনের মাংস ও গরুর মাংশ আসে সরাসরি আমাদের খামার থেকে। চলুন দেখে নেই কিছু ছবি।
মাঝে মাঝেই আশে পাশের পাহাড়ে উঠতে ঘুরতে যাই। অন্য আর একদিন না হয় আপনাদের পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে যাব। আজকে না হয় পাহাড়ের উপর থেকে তোলা একটা ছবি দেখেন।
আজকে এ পর্যন্তই , উপরের সব কয়টা ছবিই আমার তোলা না। কিছু কিছু ছবি আমাদের হোটেলের ওয়েব থেকে নেয়া। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ