রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রচন্ড এক দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ব্লগ, সংবাদপত্র দেখে মনে হয়েছে এই ইস্যুতে দুই ধরনের মতামত দেয়া হচ্ছে।
একটি দল বলছে, সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যুটি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ও আমেরিকার দেশ সমূহ অর্থনৈতিক দূর্বল হওয়া ও সাথে সাথে এশীয় অঞ্চল সমূহে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হওয়াকে কোন ভাবেই ভাল চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। এই ভাল চোখে না দেখার একটি অংশ হিসেবে এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সুষ্টি। তাই একটি দুর্বল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হবে এই ব্যাপারে বেশী উৎসাহী না হয়ে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করা এবং রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে ব্ন্ধ করা।
আবার আরেকটি দল এর বক্তব্য হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নতুন কিছু নয়। আর মুসলমানদের উপর নির্যাতন এই সময়ে নতুন কিছু নয়। নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়ানো, তাদের কে আশ্রয় দেয়া সভ্যতার আদর্শ । ন্যায় ও বীরত্বের আদর্শ। তাছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে যখন পাকিস্তানীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জীবন বাঁচাতে লক্ষ লক্ষ বাঙালী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তখন তারা যদি বাঙালীকে আশ্রয় না দিত তাহলে এই লক্ষ বাঙালীর কি দশা হত তা কি চিন্তা করা যায়? এই ক'দিন ধরে ফেসবুক, বল্গ ও পত্রিকা গুলোতে আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের ছবি দেখলে তো পাষান মানুষদের চোখও ভিজে উঠবে। শিশু দের কান্না জড়ানো চোখ, মায়েদের হাহাজারী মাখানো মুখ দেখলে মনে হয় সব তর্ক যুক্তি কে লাথি মেরে সেই সব অসহায় মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেই যাতে করে তারা বাঁচতে পারে।
তো এই হল অবস্থা। একেদিকে আন্তর্জাতিক দাবা খেলায় অতি দুর্বল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থাকা আরএকদিকে মুসলিম রোহিঙ্গাদের কান্না জড়ানো চোখের দিকে তাকিয়ে তাদের আশ্রয় প্রদানের জন্য সরকারকে অনুপ্রানিত করা, এই দুইয়ের মধ্যেই আটকে আছে আমাদের কর্তব্য।
আসিফ