আমি গান গাইতে ছিলাম। আমি একাই গাতক, আমি একাই দর্শক।
"কষ্ট খাইপা, কষ্ট !!!!
সাদা কষ্ট, কালা কষ্ট !!!!
খালি নষ্ট কষ্ট খষ্ট !!! "
কিছুক্ষন পরে আমার রুমমেট এসে আমার নাডামি দেখে কিছু না বলে সুন্দর করে আমার শার্টের পকেটে হাত দিয়ে টাকা না পেয়ে পটেকটাই ছিঁড়ে ফেলল । সে আমারে আবদার করে তব্দা খাওয়াইলো। ঠিক আছে -পরে আমিও তারে পচা আদা দিয়ে আবদার খাওয়াপ । পকেট ছিঁড়ে সে গান ধরল-
পকেট খাইবা , পকেট !!!!!
কষ্ট পকেট , নষ্ট পকেট !!!!
খালি পকেট আর রকেট !!!!
কিছুদিন পরে সে খুব সুন্দর করে বান্দরটাইপ ২টা টি-শার্ট কিনে এনে একদিন পরার পরে আমি তার সামনেই টি-শার্টগুলা ৫তলা থেকে নিচতলায় ফেলে দিয়ে গান ধরলাম -
শার্ট খাইবা , শার্ট !!!!
কষ্ট শার্ট, নষ্ট শার্ট !!!!
খালি শার্ট আর খাট !!!!
এইরাম গান গান খেলা কিছুদিন চলার পরে দুইজনেই বুঝলাম এইরাম চললে কিছুপরে আমরাই কষ্ট খাইতে খাইতে ভ্রষ্ট হয়ে যাপ। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম ছিড়া-ছিড়ি, ছোড়া-ছুড়ি না খেলে ভাঙ্গা-ভাঙ্গি খেলি !!! পরেরদিন সকালে ঘুম ঊঠেই রুমের সামনে সাইনবোর্ড লাগাই দিলাম যে -
"শুভ ভাঙ্গা দিবস"
সাথে ফুটনোট "ভাঙ্গার মাঝেই প্রকৃত সুখোষ্ট (সুখ আর কষ্ট একসাথে)"
৩ থেকে ৪ ঘন্টা ধরে যা কিছু ভাঙ্গা যায় সেইগুলা ভাঙ্গার পরে আমার রুমমেট আমার গলা ধরছিলো ভাঙ্গার জন্য আফসুস, সেই সময়ে ঠক ঠক !!! কট কট !!!! করে দরজায় নক ।
নাডা রুমমেট আমার গলা ভাংতে না পেরে আফসুস খাইতে লাগল আর আমি দরজা না খুলে কে নক করল তা দেখেই বললাম -
- ওই হারামজাদা !!!! তোরে না কইছি সকালবেলা ঘুমের ডিস্টার্ব না করতে !!!! ময়লা বুয়া ফেলে দিবে ।
কিন্তু দরজা খুলে দেখি বাড়ীওয়ালা দাঁড়িয়ে আছে । আমার রুমমেট বাড়িওয়ালাকে দেখেই সালাম দিয়ে একেবারে ভদ্দরনোক হয়ে গেল ।
- চাচা !!! কেমন আছেন !!! আমি মনে করছিলাম ময়লাওয়ালা আসছে
চাচাজির কথা আর কমু না । তবে উনি আমাদের খুব বেশী আফসুস খাওয়ান নাই । কিন্তু আফসুস খাওয়াইছে বুয়া। রুমে এসে রুমের অবস্থা দেখে কিছু বলছে না দেখে আমি বললাম -
- বুয়া, ভাংচুরের কারনে সৃষ্টময়লাগুলা ফেলে দেন।
এইকথা বলার পরে একটা ময়লার থলি নিয়ে বুয়া যে বাসা থেকে বের গেল আর আসে নাই । আফসুস । তখন আমরা সিঙ্গেল থেকে ডুয়েট গান ধরলাম -
ভাঙ্গা খাইবা , ভাঙ্গা !
অল্প ভাঙ্গা, বেশী !!!!
ভাঙ্গা খালি ডাঙ্গায় !!!
এখন আস দেখি
মুপি শামছু পান্ডা !!!
মেলাদিন আগের কিছু স্মৃতিচারন !!! স্মৃতিপা আসলেই একটা বদ-বদনা।