
সামুপিডিয়া......(পর্ব ১)
২০০৯ এর কথা। ব্লগার উন্মোচক রাস্তায় এক মেয়েকে সিগারেট হাতে দেখে একটা পোস্ট দিয়ে দিলেন এই নিয়ে।নীলক্ষেত মোড়ে ধূমপায়ী তরুণী; এটাই কি ওভারস্মার্টনেসের নমুনা? ,যতদুর মনে পড়ে একশ এর বেশি মাইনাস ছিলো সেই পোস্টে। পোস্টের ১২৮ নম্বর মন্তব্যে প্রিয় ব্লগার মেঘ আপুর একটা মন্তব্যে হটাৎ করে দৃষ্টি আটকে যায়। খুব অদ্ভুত ভাবে কিছু কথা তুলে ধরেছেন। এমন প্রকাশভঙ্গী অবাক করা হলেও আমার বেশ ভালো লেগেছে কথাগুলি। মাঝখান দিয়ে ব্লগার নাফিস ইফতেখার ও বেশ মজা করেছেন।
আসুন দেখি মেঘ আপু কি মন্তব্য দিয়েছিলেন।
মেঘ বলেছেন:"সিগারেট খাইছি....যা যা আছে সব খাইছি...জাত যায় নাই। এখন বয়স হইছে প্রকাশ্যে খাই না। আপনারে কি বিড়ি মুখে স্মার্টলাগে?? লাগে না তো!! তাইলে ঐ মেয়েকে ওভারস্মার্ট বলার ও কোন কারণ নাই। নারী জাতিকে ৭১ এ ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন নাই। এখনো পারেন না। সো তাদের সামাজিক রক্ষাকর্তা সাজার, বা তারা কোনটা করবে বা করবে না সে সিদ্ধান্তদাতা সাজবার চেষ্টা করবেন না।
শাহবাগের মোড়ে ৯৭তে যখন ব্যাটা পিটাইছি কানের কাছে এসে বাজে মন্তব্য করার জন্য সেদিনও আপনারা আমাকে বলেছেন ওভারস্মার্ট। টাকার অভাবে যখন পাবলিক বাসে ঝুলে বাসায় ফিরছি ব্যাটাদের সাথে টেক্বা দিয়ে সেদিনও বলছেন ওভারস্মার্ট। আপনাদের এসব সমাজপতি সাজার ব্যর্থ চেষ্টার উপর আমি বরাবরই ছুঁড়ে দিয়েছি একমুখ ধোঁয়া। এখনো দেই। আল্লাহ আমাকে সব সময় দেখে রাখছে। আমার রক্ষাকর্তা আমি ই। পাবলিক বাসে ভীড়ের মাঝে গায়ে হাত দিছিলো। আমিও ভীড়ের মাঝে ক্ষুর ধরছি পেটের কোণায় সবার অজান্তেই। কানের কাছে মুখ নিয়া বলছি হাত সরা, জন্মের মতো খোজা কইরা দিমু। তারপর ক্ষুর দিয়া হাল্কা চাপ দিছি। এভাবে নিজেরে বাঁচাইছি। কেউ আগলায় নাই। আমি ওভারস্মার্ট হইলে তাই - আমি টাইফুন, আমি সিডর, আমারে রুখতে চায়, সে কোন কারিগর??"
অনেক মিস করি এইসব সাহসী কন্ঠ।