
-
-
-
-
-
-
-
ডিজিটাল বাংলাদেশের ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দোয়েল ল্যাপটপ ছাড়ার ব্যাপারে দেশের ভিন্ন ভিন্ন মানুষজন বিভিন্ন মন্ত্যব্য দিয়েছেন।রিপোর্ট তৈরি করেছেন তন্ময় ফেরদৌস।
-----------------------------------------
সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষে বাজারে ছাড়া হলো বহু প্রতিক্ষিত দোয়েল ল্যাপটপ। এ নিয়ে দেশের সর্বসাধারনের মাঝে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ রাজনৈতিক অঙ্গনের এবং সাধারন মানুষজনের কাছে গিয়েছিলাম । তারা ব্যাক্ত করেছে তাদের আশা নিরাশার কথা।আসুন দেখে নেই তাদের মতামত।
শেখ হাসিনা বলেছেন, "আমার সরকার DELL কে DOEL এ রূপান্তর করে বাজারে বাংলাদেশের প্রথম ল্যাপটপ ছেড়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এই ল্যাপটপ দিয়ে আমি আমার ছেলের সাথে কথা বলি।"
খালেদা জিয়া বলেছেন, "সরকার এমপি ৪ চালিয়ে দিচ্ছে ল্যাপটপের নামে, জনগণ এই ল্যাপটপ ব্যবহার করবে না।"
সাহারা খাতুন বলেছেন, "এই ল্যাপটপ খুবই উপকারি, ফটোশপে এডিট করে ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আমার ছবি দেয়া মাত্রই ১০ টি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পেয়েছি !!"

এরশাদ বলেছেন, "এই ল্যাপটপে অনেক ফরম্যাটের ভিডিও সাপোর্ট করে না বলে আমার রাতে খুব সমস্যা হয় !!"

জামাতিরা বলছেন," ইসলাম কে ধংসের নামে এ এক নতুন পন্থা। সব ইহুদী নাসারেদের ষড়যন্ত্র। মানুষ কে ইসলাম ও শরিয়া আইনের বিপক্ষে বাধা দেয়া হলে দরকারে কোরান মিছিল করবো।"

অর্থনীতিবিদ গন," দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করলে দোয়েল নামক ল্যাপটপ ইকুইলিব্রিয়ামের বাহিরে প্রচন্ড শর্টেজ সৃস্টি করবে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত হবে রিসোর্সের ম্যাক্সিমাম ইউস নিশ্চিত করে প্রোডাকশন পসিবিলিটি ফ্রন্টিয়ার লাইনের উপর দোয়েলের প্রোডাকশন করা।নতুবা দেশের অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে"।

স্টুডেন্ট," নেট থেকে নোটস নামাতে পারবো তো, নাকি ইলেক্ট্রিসিটির মত এইটাও সারাদিন আসি যাই করবে ?"

পর্ন ব্যাবসায়ী," এইবার দশ হাজার টাকার কম্পু দিয়াই পর্ন নামামু, তিরিশ হাজার টাকার পেন্টিয়াম লাগবো না আর।"

টোকাই সমাজ বোলেছে," ল্যাপটপ আবার কি জিনিস? ইটা কি খায় না মাথায় দেয় ?"

সাধারণ জনগণ, "ভাগ্য ভাল ল্যাপটপের নাম বঙ্গবন্ধু রাখা হয় নাই।"

দোয়েলের সমস্যা হলে কি করনীয় এ ব্যাপারে আইটি দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন," ল্যাপ্টপে কোন সমস্যা হলে আমরা তা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।তিনি পাঠাবে তার উপদেস্টা মন্ডলির কাছে। উপদেস্টারা না পারলে পাঠাবে অর্থমন্ত্রির কাছে। তিনি বিল পাশ করে পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে চায়না পাঠানোর ব্যাবস্থা করবে। ফিরে আসলে কাস্টমসের ঝামেলা শেষ করে মোটামোটি বছর খানেকের মধ্যে আমরা ভোক্তার কাছে ফেরত পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে পারবো বলে আশা রাখি।"
তবে সমস্যা হলো এক বছর পর দোয়েল ৫ বের হইয়ে যাবে।এ ব্যাপারে সরকারের দৃস্টি আকর্শন করা যেতে পারে।
তবে সমস্ত কথার উপরে দেশের সর্বসাধারনের দাবি- তারা ডিজিটাল মিজিটাল বুঝেনা। তারা চায় শুধুমাত্র তিন বেলা ভাত আর জীবন ধারনের নিশ্চয়তা পেতে।
স্যামহ্যয়ার ইন ব্লগ থেকে - ব্লগার তন্ময় ফেরদৌস
(কিছু অংশ ফেসবুক থেকে নেয়া, বাকিটা আমার সংযোজন।)