১।
মনোবিকারের চুপচাপ ঢেউ
জানে না হয়ত কেউ, হঠাৎ
হৃদয়ে যে ভালবাসাময় টান
ছিঁড়ুক, অসময়ে হতাশার বান
কেউ মানুক বা দেখেও ফিরে যাক
বিষাদের ঘরে; খিল লাগিয়ে আনমনে
আমার স্বপ্নাভ সুখ এখন অন্যের
দরোজার, জানালার পর্দা হয়ে কাঁপে
কষ্টে!
হয়ত; অথবা মৃত্যুকে দেখার অভিজ্ঞানে!
২।
কবিতা কি আসলে ভাবায়, নাকি
কবিতার ভাবনা কখনও একতাল কাঁদামাটি নিয়ে
ছুঁড়ে মারে বাস্তবের বিভৎস মুখোসে;
সময়ের আদলে যার নিজস্ব প্রতিরুপ
সারারাত কথা বলা পাখিদের সাথে মৃদ্যুআলাপ
ঘুম ছুটানো টানাগাড়ী ফেরি করে পাতালের শাসন
বিবশ মুখে যা ইচ্ছে বলবার স্বাধীনতা
আসলেই ভাবনায় ফেলে
আমাকে, কবিতাকে
কবি, তোমাকেও!
৩।
অতঃপর নিভে যাওয়া জীবনের স্বাদ
শেষ হওয়া লেনদেন কুড়ায় অন্য জীবনের রুহ্
ফিরে ফিরে পাওয়া জীবনচক্রের মাথায়
জোছনা ঢেলে মিছিমিছি স্বপ্ন বানায়
লাল নীল মাছ
কৃত্রিম সরোবরে
তাদের কোনো আত্মা নেই।
৪।
শোকের বিশদ সন্তারণ
শীতের লেপের মত তুলে রাখি মাচায়
স্বপনবাজের দাওয়ায় স্বপনবুড়ো হয় নিয়োগী মশাই
যখন বেভুল মানুষজন চাষাবাদ করে শব্দঢালে
আমার হতাশা পুঁতে রাখবো আজ তুলোর বালিশে
ব্যবহৃত কাঁথায়!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১