: আচ্ছা তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালবাসো?
ঘুমের ঘোর তখনও কাটে নি। রুনার মোবাইলের রিংয়েই ঘুম ভাঙল। সুন্দর ঘুম নষ্ট করে মোবাইল ধরবো না ভেবেছিলাম। কিন্তু সে সাহস করতে পারি নি। মোবাইল না ধরলে ও কঠিন কাণ্ড করে বসে।কখনো যদি রিসিভ করতে না পারি পরে হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।তার ওপর উত্তর যদি ওর মনমত না হয় তাহলে যোগাযোগ বন্ধ। শুধু যে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে তা নয়। ওর মোবাইলটিই অফ করে রাখে কয়েকদিন। কি যে পাগল মেয়ে।
আমার চুপ থাকা দেখে বলে উঠে, এই কি হয়েছে? উত্তর দিচ্ছো না কেন?
আমি আগের প্রশ্নটি শুনি নাই ভান করে বলি, কি উত্তর দিবো?
-তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালবাসো?
-এটা কোন প্রশ্ন হলো! আমি আমার জানকে ভালবাসবো না তো কাকে ভালবাসবো?
-পাল্টা প্রশ্ন করবে না। তোমাকে আমি প্রশ্ন করছি যা তার সরাসরি উত্তর দিবে।
মাথায় ঢুকছে না হঠাৎ করে ও এত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কেন? মনে মনে ভয় পাই। ওর কথাবার্তা অনেক বেশি গম্ভীর। এটা আরে বেশি ভয়ের।
পরিবেশ হালকা করতে বলি, এ মূল্যবান প্রশ্ন মোবাইলের কৃত্রিম গলায় করার কি দরকার? তার চেয়ে সামনা-সামনি কথা বললেই তো ভাল । চলো দেখা করি। কোথায় আসা যায় বলো তো।
: কোথাও আসতে হবে না। তোমার সাথে আমি আর কক্ষনো দেখা করবো না। তুমি তোমার মত থাকো।
এতক্ষণ তাও একটু অল্প অল্প ঘুমের আবেশ ছিল। এ কথা শুনে আমার ঘুম পুরোটাই ছুটে যায়।গতকাল ওর অপছন্দের কি করেছি তা স্মরণ করার চেষ্টা করি।নাহ মনে পড়ে না।
: আমি কি করলাম? দোষ কি আমার?
রুনা বলে, তোমার কোন দোষ নাই। দোষ তো সব আমার। একজনকে ভালোবাসাটাই অনেক দোষের।
: মানুষতো একজনকে ভালবাসে। একাধিক ভালবাসে কেমনে?
: নিজেকেই প্রশ্ন করো। আমি তো একজনকেই ভালবাসি তাই এ প্রশ্নটার উত্তর আমি জানি না। তুমি যেহেতু করো তাই তুমিই বলো।
:আমি করি। এসব কি বলছো রুনু! তোমার মাথা কি ঠিক আছে?
: আমার মাথা ঠিকই আছে। আর তোমার সাথে এটা বলছি হঠাত করে না। কাল সারারাত আমি ঘুমাইনি। ব্যাপারটা চিন্তা করছি। ইচ্ছা ছিল রাতে তোমার ঘুম ভাঙিয়ে জিঙ্গেস করবো। কিন্তু আমার নিজের কাছে মনে হচ্ছে রাতে তোমার ঘুম ভাঙানোর অধিকার এখন আর আমার নেই…………………..