somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উবুন্তু ১১.০৪

০১ লা মে, ২০১১ ভোর ৬:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইন্সটল দিলাম। মাগার চালাইয়া শান্তি পাইতাছি না। এর মধ্যে হ্যাং খাইছে কয়েকবার। দিন যত যাইতাছে উবুন্তু তত সুন্দর হৈতাছে, মাগার হ্যাং খাওয়ার দিকেও ঝুকতাছে। আমি আছিলাম নিবেদিতপ্রাণ এক্সপি ব্যাবহারকারী। কত বিষ্ঠা মিষ্ঠা সাত আট আইল গেল মাগার এক্সপি ছাড়ি নাই। কোন কুক্ষণে জানি উবুন্তু এর একখান সিডি পাইছিলাম, মাগার ভোদাই হওনের কারনে আর হাড্ডির ডাটা হারানির ভয়ে ইন্সটল দিতে গিয়াও থাইমা আছিলাম। শেষ্মেষ দিয়াও ফালাইলাম, মাগার কিচ্ছুই বুঝতাম না। গান চালাইতে গিয়া দেহি গান চলে না। ছাগলের মত ডেক্সটপের দিকে তাকাইয়া থাকতাম। এরমধ্যে আমার রুমমেট ভোদাইয়ের মত একদিন মান্দ্রিভা ইন্সটল দিয়া পুরা হাড্ডির সব ডাটা লাউ কচু সব হারাইয়া পথের ভিখারী হৈয়া বৈয়া আছিল কিছুদিন। বেচারা আজও সেই ভয় থেকে মুক্তি পায় নাই। এর মধ্যে উইবি দিয়া শুরু করলাম। শুরু হৈল আমার লিনাক্স শিক্ষা। গুগল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হৈলাম। প্রথমে কয়েকদিন ভোদাইয়ের মত টার্মিনাল খুজছি। কি সব sudo apt-get install না কি কিছুই বুঝতাম না। একখান ম্যাকবুক পাইছিলাম ভার্সিটি থিকা প্রথম বর্ষে। এক্সপির উপর এতই নির্ভরশীল ছিলাম যে পবিত্রজ্ঞানে ঐটাতে এক্সপি ইন্সটল দিয়া খালি এক্সপিই চালাইতাম। আজও আমার ম্যাকের ওএস এক্স পুরা খালি পৈড়া আছে। ব্যাবহার করতে ভালা লাগে না। অথচ এই বদখত উবুন্তুর নেশায় পৈড়া বর্তমানে আমার কাছে কেজি তিনের মত বিভিন্ন ফেডোরা, সুজ, সেন্ট, আর্ক, মিন্ট, স্ল্যাকোয়ার, সায়েন্টিফিক থিকা পিনগাই পর্যন্ত সিডি ডিভিডি জমছে। বলা বাহুল্য বেশীরভাগই বেশীদিন টিকে নাই। এত কষ্ট কেন ভালবাসায় এর মত, এত কষ্ট কেন ভিপিএন কনফিগার করতে গিয়া ধরা খাইছি বেশীরভাগেই। আসলে মাগনা পাইলে যা হয় আর কি। সবগুলাই একটু চাইটা দেখতে মনে চায়। যাই হোক, কারমিক মানে ৯.১০ দিয়া মূলত সিরিয়াসলি শুরু করছিলাম। ৯.১০ তে আলাদা প্যাকেজ নামাইয়া ভিপিএন (ভিপিএন ছিল না কারমিকে) ইন্সটল দিয়া নেট কানেক্ট করতে সক্ষম হই। আসলে নেট না থাকলে উবুন্তু ব্যাবহার আর খালি পাতিলে চাইল ছাড়া পানি দিয়া ভাত রান্না একই কথা আমার কাছে। আস্তে আস্তে বুঝতে শিখলাম। একসময় টার্মিনালের মাজেজা বুঝলাম। আস্তে আস্তে এক্সপিডা চালানি কমতে লাগল। একসময় এক্সপির ধীরগতির উপরে মেজাজ খারাপ হওয়া শুরু করলে। হঠাত একদিন পুরা এক্সপি বাদ দিয়া হাড্ডি পুরা ফকফকা কৈরা দিয়া দিলাম উবুন্টু। খারাপ না, ভালই চলতে লাগল। মাগার ভেজালে পড়লাম কিছু সফটওয়ার নিয়া। উইন্ডোজ ছাড়া ঐগুলা চলে না কোনমতেই। ওয়াইন দিয়াও লাভ নাই। এর মধ্যে আশার আলো হিসাবে দেখা দিল ভার্চুয়াল বক্স। গুগল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর খাটনি গেছে এই লিনাক্সের ব্যাবহার শিখতে যাইয়া। এর মধ্যে একদিন অতিরিক্ত দুই গিগা র‍্যাম কিনলাম ঝোকের মাথায়। কিনা পড়লাম আবার বিপদে। ৩২-বিটে চাইর গিগা পায় না। লে হালুয়া। লাগা ৬৪-বিট। মাগার ৬৪-বিটে আবার কতগুলা সফটওয়ার ঝামেলা করে, চলবার চায় না। নেট ঘাটতে ঘাটতে ঘাটতে ঘাটতে ঘাটতে তামা তামা হইয়া গেল। প্রচুর সময় নষ্ট হৈল। অথচ ছাড়তেও পারিনা এই লিনাক্স। অনেকটা নেশার মত হৈয়া গেল। ওয়াইম্যাক্সের মডেম ব্যাবহার করতাম। উইন্ডোজের জন্য তাদের ড্রাইভার আছে, ম্যাকের জন্যও আছে মাগার ইউনিক্সের জন্য কোন ড্রাইভার নাই। এক রাত পুরাটা গেছে আমার এই মডেম লিনাক্সে চালু করার লাইগা। চালু করার পরে যে কি শান্তি পাইছিলাম বৈলা বুঝাইতে পারুম না। যাই হোক, অনেক গুতাগুতি কৈরা অনেক কিছু শিখছি। এক্সপির নিশ্চিন্দিপুরে থাকলে যেইটা হৈত না। আর সবচেয়ে ভাল লাগত যেইটা, ইচ্ছামত বাইড়াইয়া বুইড়াইয়া লিনাক্স ব্যাবহার করা যায়। খুবই স্থিতিশীল সিষ্টেম বৈলা মনে হয় লিনাক্সরে আমার কাছে। কম্পিউটার হ্যাং খাইলে আমার মেজাজ বিগড়াইয়া যায়। মনে চায় মনিটরের মধ্যে একটা বাড়ি মারি। উবুন্টুতে এই সুযোগটা পাই নাই। কোন কিছু শুরু করাইতে খুব কষ্ট হৈত, কিন্তু একবার ধরাইয়া দিলে আর কোন সমস্যা হৈত না। ম্যাকবুকে ট্রিপল বুট, মানে ম্যাক, এক্সপি আর উবুন্টু, তিনটা ওএস একসাথে চালাইতে গিয়া আমি পনেরবার ওএস এক্স ইন্সটল দিছিলাম। কিন্তু তারপরেও শান্তি। এহন এক্সপি চালাইলে আমার মেজাজ খারাপ হয়। টেকা দিয়া কম্পু কিনছি, অথচ কম্পু হারামী যদি ঠিকমত কাম করবার না চায়, ঢিলামী দিয়া দিয়া, গা ছাড়া ভাবে কাম করে মেজাজ তো খারাপ হইবই।

কিন্তু যেই আশায়, অর্থাত মেজাজ ঠিক রাখা এবং স্থিতিশীলতার জন্য এই উবুন্টু ব্যাবহার করলাম সেই উবুন্তু যদি ফাইজলামী করে কেমন লাগে? আজ পর্যন্ত একবারো লিনাক্সে আমার ফায়ারফক্স হ্যাং খায় নাই। আজকে কয়েকবার খাইছে। Num Lock টিপি মাগার জ্বলে নেভে না। হতাশ হৈলাম। হাড্ডি এক্সটার্নাল দুইখান লাগাই কপি পেষ্ট চলব, পিডিফ চাইরখান, ওয়ার্ড তিনখান, টরেন্টের দুইখান ডাউনলোড, ব্রাউজারে দুইখান ডাউনলোড, ভার্চুয়াল বক্সে এক্সপি, ম্যাথক্যাড, ম্যাথল্যাব শুদ্ধা আরো তিনখান প্রোগ্রাম, ফাইল প্রিন্ট সব একসাথে চলব, অথচ কম্পুর কিছু হৈবনা, এইডা হৈতাছে লিনাক্স। ভাবতাছি আবার সেই কারমিকে মানে ৯.১০তে ফিরা যামু নাকি। পুরান চাল ভাতে বাড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৮
১৫টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×