আজকাল বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ বুদ্ধিজীবী
কিনবে নাকি একটা?
অখাদ্য পোষ্টারে শিল্প এখন পাচাটা বহি-মিয়ান,
তোমরা পাহারা দাও কার চেতনা?
ঘুমের ঘোরে ওরা চাপায় নানা অজুহাত ভুলভাল,
শুয়োর অথবা শেয়াল গিলে ফেলে আস্ত আস্ত মানুষ,
শুনেছেন নিশ্চয়ই।
বিচারপতির অট্ট হাসি
হাততালি দেয় শহরতলি ,
অন্ধকারের জঙ্গলি হাতি
বিধ্বস্ত রাজ বন্দি;
রুক্ষ চুলে অবাধ্য চিৎকার পাখিরা আর ডাকেনা -
আস্ত খেয়ালি বাক্যর ডানায় ঘুণ পোকা ,
হুশের আকাল মগজে, হাসতে পারছেনা মুখ ,
বাসা বেঁধেছে উইপোকা দিনে দুপুরে।
বেহিসেবি চৈতন্য , অবচেতন টেবিলে গোপন শর্ত,
হিসেবের পাল্লায় পাথর চাপা পা টেপা বিপ্লব,
চেতনারা বড় ব্যস্ত।
এদিকে বেপরোয়া গাড়ি চালক থেঁতলে দেয় স্বাধীনতা
বোবা কালা হলে জানি আর শুনবো না -
গান্ধির তিন বাঁদর কে এঁকেছিল?
আমি বলতে পারিনা চেপে ধরে মুখ.
বন্ধুহীন ঘর.
আমি লিখতে পারিনা বদভ্যাস ছল .
ক্ষত তর্জনী নড়বর.
গুটি বাজির এ খেলায় হেঁটে দেখা মহাসড়ক অপরিচিত।
আর কত বুকের ভেতর দাবিয়ে রাখব আর্তনাদ?
শিকল ভাঙ্গার কবি নেশা তুর কসাইয়ের দোকানে বসে,
চেয়ারের নিচে সিলেবাস শেষ , হাত তালি দাও,
সংবিধান এলোমেলো,
প্রগতির কথা বলা চেনা ঠিকানা অচেনা হল অনেক আগে;
শহীদ মিনারে পানের পিচকিরির দাগ,
যারা যখন ঝড়ের কথা বলত তারাই বিজ্ঞাপন বিক্রেতা।
আজকাল রাজু মাইকে দেশের গান বাজেনা!!
স্যাটেলাইটের ইথারে বন্দি বনেদি পালস,
সব শালা ঝুটা,
বিটের তালে তালে নাচে রাত উন্মাদ,
তারারা কই?
আমি জানি ভেসে যাব একদিন ওদিকে
কোন দিকে?
শুনেছি চালের দাম আরো একবার বাড়ল।।
অতপরঃ মানুষগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল. ২৮শে পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, কাথা গায়ে আলসে দুপুর। হাতিরঝিল