রং বেচতে গিয়েছিলাম একদিন ফিনফিনে শহরতলিতে
গিয়ে দেখি অট্টালিকার ফাঁকে ফাঁকে ধূলিঝড় ডিসটেম্পার,
গন্ধবতি লাগোয়া নালায় অনুভূতিহীন মূল্যবোধ,
রাজনৈতিক তামাকখেতে অসমাপ্ত কবিতার দুয়ার।
আজ না ফেরার দিন, আজ না দেখার দিন, টানছি ইতি!
প্রেমিকার উষ্ণ হাতে পোস্টার ওঠা আঠার দাগ,
প্রাণের প্রসাদ- যদিওবা আসুরিক, আবাহন করাঘাত;
উঘারি স্মৃতির রোমন্থন জনিত অসুখে বিব্রত বিবেক।
আমাদের পথচলায় সীমাবদ্ধতার নভোযান আলিঙ্গন
মুক্তা ঝরা বিকেল বেলায় এ কোন আফিম চাষ
পারস্যের দেশ ঘুরে তুলে আনা সভ্যতায় নৃমুণ্ডের হাড়
পাতা ঝরা ঘিঞ্জি সময় একলা ড্রেনের পাড়।
আমাদের কষ্ট হয় নষ্ট হতে, নোনতা লাগে বোধের গর্জন,
ইচ্ছে করে বন্য হয়ে রুগ্ন দুয়ার ভাঙ্গি আপন মনে ,
কিন্তু এ দেখি- পরতের পর পরত মাখা পাথর দরজা;
দরজার পর দরজা দেয়ালে পর দেয়াল..
বৈষয়িক দাবানলের তৈরি হাতুড়িটা অসহায়,
ভাঙ্গেনা দেয়াল, ভাঙ্গেনা দরজা- করাঘাতে প্রতিসাম্য হাত।
অতঃপর বসে থাকা শুঁয়োপোকা চোখ বেমালুম ভুলে যায় অতীত বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ...............
বন্ধূ তুহিন..
হাতির ঝিলের পাড়
১লা চৈত্র ১৪২৯ বাংলা