আবহমান খিদের পিছ ঢালা শীৎকারে- রোদ আর আলকাতরা মিলিত হয়; যেমন করে সততার কানা গলির কংক্রিট ওঠানো রাস্তায় জল জমে থাকে আর চেপ্টে যাওয়া নাগরিক ভালোমানুষের সদ্য কেনা জামাটায়- ধুলো জল ছিটকে লাগে, তেমন করে ছিটকে লাগে পতাকায়, যার আবার অস্থিমজ্জায় ছিল একাত্তর।
রাতের অধরায় আলো, শব্দ, রং, তামাশায় অতিরিক্ত শূন্যতার ফাঁক গলে -অখণ্ড এক অত্রস্ত আবর্তে, রোবটিক্স মেরুকরণের মজ্জাগত রস চিবিয়ে বের করে, আহারে আহরে চিৎকারে বেদনার হুল ফোটানো হতাশায় সময়ের ব্যাপক জীর্ণতায় ডেকে ওঠে আঁশ ওঠা রোদ্দুর অস্তিত্ব।
ভুল করেও মেলাতে গিয়ে ব্যাপক সমীকরণের ফাঁদ পাতা ওভার ব্রিজের দাপটে হাওয়া লাগে নিচে থাকা অফিস ফেরত কিংকর্তব্যবিমূঢ় মানুষটার। ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত দুপুরের খাওয়াটা আজও হলনা।
হিসেবটা শক্ত থেকে শক্ত, হালখাতার হওয়া বদলের আদুরে গলা পেছন থেকে আর শোনা যায়না, যদিও এখন -হাতির ঝিলের কন্ট্রাক্ট নেওয়া বাস গুলোর পেট্রোল গন্ধ মুখে লাগে সেই নাগরিক ভালোমানুষটার।
একফোঁটা আকাশ দেখবে বলে যে যুবক উকি দিল আকাশে, সেখানে বিলাচ্ছে করুণা , চিলতেধরা ফাটল আড়াল করে সান্ডার তেলের পোষ্টারে লেপটে আছে শ্যওয়ালা ধরা ফ্লাইওভার..
অতপর মুখটা ধুতে ইচ্ছে করে হাতির ঝিলের জলে অথচ জলের ভেতর ঐতিহাসিক গন্ধ মাঝে মাঝে নাকে লাগে ভেসে ওঠে পুরান শোক, রাত মাতালের থুথু লাগা দিশি বিয়ারের ক্যান, কিংবা অবৈধ প্রেমের ধক ধকে অন্ধকার। আজ বড্ড ভালো থাকতে ইচ্ছে করে..
কিংকর্তব্যবিমূঢ় মানুষটা:
#বন্ধুতুহিন #কবিতা
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯। দুপুর রাত।