সবাই যখন ক্রিকেট খেলার জন্যে অস্ট্রেলিয়ার দিকে চোখ দিয়ে রেখেছে ঠিক তখনই পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান টেরিরটরীতে এক জেলের জালে ধরা পড়লো সবচেয়ে অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক একটি জিনিস আর তা হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ১০০ বছরের পুরনো একটি অবিস্ফরিত গ্রেনেড। প্রতিদিনের মতোই সোয়ান নদীর এপল ক্রস জেটিতে মাছ ধরতে বেড়িয়েছিলো সেই জেলে। এবার মাছের বদলে ধরা পড়লো এই অস্বাভাবিক বস্তুটি। এরপর সাথে সাথেই সেই ব্যাক্তি নৌবাহিনীকে খবর দিলে তারা পুলিশ নিয়ে এসে গ্রেনেডটি অকেজো করার চেষ্টা করে।কিন্তু ফিউজ না থাকায় এটিকে অকেজো করা যায় নি। পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই গ্রেনেডটি জার্মানরা আবিস্কার করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। এই গ্রেনেডের নাম জার্মান ভাষায় রাখা হয় গ্রানাটেনওয়ারফেয়ার।১৯১৬ সালে এটি ব্যবহার করা হয়েছিলো।
ছবিঃ গ্রেনেড লাঞ্চার।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের গ্রেনেড কিভাবে অস্ট্রেলিয়ান জেটিতে আসলো, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানায়, সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান কোন সৈন্য স্মৃতিস্মারক হিসেবে এটা সাথে করে নিয়ে আসে যদিও এটা সম্পূর্নভাবে অবৈধ।
ছবিঃ এই গ্রেনেডের আধুনিক সংস্করন
পুলিশ আরো জানায়, এই গ্রেনেড অনেক শক্তিশালী, প্রায় ১০০০ ফিট দূর পর্যন্ত এটিকে নিক্ষেপ করা যেতো। পুলিশ জানায়, যেহেতু এটার কোন ফিউজ ছিলোনা, তাই এটিকে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অবিস্ফরিত গোলাবারুদ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুযায়ী সংরক্ষন করতে হয়েছে। যেটাতে বলা হয়েছিলো, “ সাধারনত অবিস্ফরিত গোলাবারুদ বিপজ্জনক এবং গ্রেনেডটিকে অকেজো করতে সকল ব্যবস্থা পরাস্ত হয়েছে সুতরাং এটাকে কিছু সাবধানতা নীতি অবলম্বন পূর্বক বহন করতে হবে। একটু অসাবধানতা কিংবা নাড়াচাড়া করলে এটি বিস্ফোরিত হতে পারে।’’
ছবিঃ অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ ডিপার্টমেন্টের জারিকৃত সতর্কবার্তা।
পৃথিবীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং জাতিগত পট পরিবর্তনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এই যুদ্ধে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান অনেক বেশী ছিলো। এখনো অনেক স্থানে এর ধ্বংসাবশেষ কিংবা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
ভিডিওঃ
১০০ বছর পুরনো গ্রেনেড উদ্ধার!
সুত্রঃ ডেইলি মেইল, গ্রিন্ড টিভি, পার্থ নিউজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮