somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেক্রেট সোসাইটির নীতিমালা

১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ আমরা জানবো ইলুমিনাতি এর ২৫ টা নিয়ম সম্পর্কে। আমার এ লেখাট পড়লেই অনেকের ধারনা পরিষ্কার হয়ে যাবে আশা করি।
ইউরোপ এবং আমেরিকায় একই দিনে গঠিত হয় ইলুমিনাতি।



রাশচাইল্ড পরিবারের অনুরোধে এডাম হুইশাপ্ট মে ১৭৭৬ সালের মে মাসে এটার ঘোষনা দেন।


রশচাইল্ড ফ্যামিলি ইউরোপের ব্যাংক সহ বিভিন্ন কোম্পানী নিয়ন্ত্রন করছে, সবচেয়ে ধনী সেক্রেট সোসাইটি বলা হয় এদেরকে। এদের সোসাইটি এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যাদের সদস্যরা এখন বিশ্ব শাসন করছে। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে বাভারিয়ান। ইলুমিনাতিদের জার্মান শাখার নাম হচ্ছে থুলু সোসাইটি যার সদস্য ছিলেন এডলফ হিটলার।



স্কাল এন্ড বোনস সোসাইটির গ্রুপ ছবি।
আমেরিকা শাখার নাম হচ্ছে স্কাল এন্ড বোন্স এবং সোসাইটি অফ ইয়েল যার সদস্য বুশ ১ ও ২।
আলেক্স জোনসের ভিডিও
২০০৬ সালে এরা একবার বাতসরিক প্রার্থনায় মিলিত হয়েছিলো ক্যালিফোর্নিয়ার রেড উড নামক জঙ্গলে , যেটা ভিডিও করেছিলেন এলেক্স জোনস নামক একজন ভদ্রলোক দূর থেকে , গোপনে। সেখানে এদের খুব বিচিত্র রকমের প্রার্থনা করতে দেখা যায়। শিশু বলিদান, প্রতিমা পূজা ইত্যাদি। তাছাড়া এরা আগুনের দেবীকেও পূজা দিয়ে থাকে, করে শয়তানের পূজাও। ক্যালিফোর্নিয়া




আমনিক দেবতার পূজা করে থাক বাচ্চা উতসর্গ করে। প্রতিবছর জুলাই তে তারা এটা র আয়োজন করে। রোমান দেবী মিনেরভার



পূজাও কর থাকে।

এলেক্স জোনসের ভিডিও তে দেখা যায় তাদের গোপনে করা সেসব নিকৃষ্ট কাজ গুলো।
Click This Link target='_blank' >ক্যালিফোর্নিয়া তারা সেখানে দুই সপ্তাহ ধরে থাকে, পূজা ছাড়াও তারা তাদের কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করে, পরিকল্পনা করে, সেই সাথে লিপ্ত হয় যৌন কর্মে। পুরুষ –পুরুষ , নারী-নারী কিংবা নারী ও পুরুষ। ধারনা করা হয় ম্যানহাটন প্রজেক্ট সেখানেই করা হয়েছিলো, এই ম্যানহাটন প্রজেক্ট ছিলো ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপান ধ্বংসের পরিকল্পনা যেখানে পারমানবিক বোমা ফেলার ডিসিশন নেয়া হয়েছিলো।

এই সব কিছুই করা হয় একটা ধর্মীয় পরিবেশের কিংবা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে। এর সব কিছুই একটা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে করা হয় যাকে বলে ক্রিমেশন অব কেয়ার।



এলেক্স জোন্স [img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/16093/small/?token_id=3741098b9424b1183dc85a8db9413b4c
এলেক্স জোনসের ভিডিও এলেক্সের ভিডিও
রশচাইল্ড ফ্যামিলি


সেক্রেট সোসাইটি গঠনের পর এরা কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো, আসুন দেখি কি ছিলো সেগুলোঃ

 সকলকে ভালোর থেকে খারাপের দিকে ধাবিত করা।
 উদারনীতির শিক্ষা দেয়া।
 স্বাধীনতার কথা বলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কিংবা গৃহ যুদ্ধের অবতারনা করা।
 ইলুমিনাতিদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যত রকমের পথ খোলা আছে তা ব্যবহার করা।
 মিথ্যার আশ্রয় নেয়া কিংবা মিথ্যাকে জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠা করা।
 নিজস্ব শক্তি , সম্পদ ক্ষমতাকে গোপন করে রাখা, শুধুমাত্র যখন সময় আসবে তখন প্রকাশ করা।
 মানুষের মন , চিন্তা নিয়ন্ত্রন করে জনগনকে বশে আনা।
 মদ, জুয়া, মাদক, ঘুষ, ছিনতাই, রাহাজানি,যৌনতা ব্যবহার করে তরুন প্রজন্মকে নষ্ট করে ফেলা।
 সম্পত্তি দখলে নেয়া, যেভাবেই হোক।
 সাম্যতা, স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তা,দলীয়করন সৃষ্টির মাধ্যমে মনস্তাত্বিক যুদ্ধ সৃষ্টিকরা।
 দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগানো, যেনো দুই দেশই একসময় নিঃস্ব হয়ে ঋনের নীচে চাপা পড়ে যায়, এবং শান্তিচুক্তির ব্যাবস্থা করে তাদের যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করা।
 প্রতিনিধি নির্বাচন করা, এবং তাদের বিভিন্ন সরকারী কিংবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া, টাকার মাধ্যমে অন্তত তাদের বশে আনা। এবং তাদের উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া, এধরনের মানুষকে সাধারনত অনেক ছোট থেকে পালন করতে হয়, ব্রেইন ওয়াশ করে দেয়া হয় যেনো তারা তাদের নিয়ম অনুসারে চলে।
 মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করা।
 জনগনের মধ্যে যখন হয়রানি, মারামারি তৈরী হবে তখন ইলুমিনাতিদের এজেন্ট রা তাদের রক্ষক হিসেবে তাদের উদ্ধার কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে।
 কল কারখানায় শ্রমিক অসোন্তোষ, অর্থনৈতিক মন্দা, কর্মী ছাটাই, চাকরী মন্দা, খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষের অবতারনা করে কোন এলাকার মানুষকে নিজেদের দলে আনা, এবং ইলুমিনাতিদের পথের কাটা যে হয়ে থাকবে টাকে এই জনগনের মাধ্যমে অপসারন করা। এটা সাধারনত আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যে প্রকট।
 ফ্রিমেসনদের কাওকে নিজেদের দলে আনা। সাধারনত ফ্রিমেসনে অনেক কবি সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী রয়েছেন।
 সত্যকে আড়াল করা এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনকে বশে আনা। বিভিন্ন স্লোগান, বানী ব্যবহার করা।
 নীতিমালা, বা পরিকল্পনা করা, এমনভাবে যেটাতে উদ্ভুদ্ধ হয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। হানাহানি করবে এবং এর মাধ্যমে একটা এলাকার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করবে সেক্রেট সোসাইটির এজেন্ট্রা।
 এগুলোর পেছনে কল কাঠি নাড়বে একজন প্রতিনিধি এবং কূটনৈতিক ভাবে তা নিয়ন্ত্রন করবে। যেটা আমেরিকা করে থাকে অনেক দেশে।
 ব্যবসা বানিজ্যে মনোপলি নবা একছত্র আধিপত্য সৃষ্টি করা যেনো তারা একসময় সরকারকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

 উচ্চহারে কর বসিয়ে, সিন্ডিকেট করে, কাচামাল নিয়ন্ত্রন করে বাজারে দূর্নীতি করে অস্থিতিশীলতা তৈরী করা। সেই সাথে শ্রমিক অসোন্তোষ সৃষ্টি করা, তার সাথে এদের কম্পিটিটরদের কে লেলিয়ে দেয়া।
 আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা যেনো এদেরকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করা যায়।
 এক বিশ্ব ব্যবস্থার সদস্য দের সেক্রেট সোসাইটির পরিচালনাকারীরা নিয়োগ দেবে।
 প্রত্যেক দেশের সরকার সহ , সমাজের প্রতিটা স্তরে এদের বিচরন থাকবে যেনো তারা, দুর্নীতির মাধ্যমে,ঠকবাজি করে সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে সে দেশের তরুন সমাজকে ধ্বংস করে দেবে। সেই সাথে প্রত্যেকটা ইস্যুর তাত্ত্বিক ও নৈতিক শিক্ষা দেবে যার বেশীর ভাগই মিথ্যা, কোন কাজে আসবেনা শিখে।
 জাতীয় ও আন্ত্ররজাতিক আইন এর মাধ্যমে জনগনকে নিজেদের দাস বানিয়ে রাখবে, তাদের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করবে।
এছাড়াও অন্যান্য গুপ্ত সংঘ গুলোর আরোও কিছু আইন রয়েছে, তবে বেসিক নিয়ম গুলো ছিলো এগুলোই।



সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৪
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×