পাব্লিক স্পিকিং কোর্সে খুব সিলেক্টিভ ব্যক্তিদের এডমিশন নেয়া হয় তাদের ব্যকগ্রাউন চেক করে। সেখানে ভর্তি হওয়া ইরানি মেয়ে আমিরার চোখে মুখে কি যেন এক বিদ্রোহের আগুন রয়েছে। এক নিমিষে এই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চায় আমিরা। সদম্ভে দাঁড়িয়ে থাকা শিলালিপির মত কঠিন ও পুরাতন আইনগুলোকে দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে ফেলে দিতে চায়। সে স্বল্পভাষী ও জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত। ঢেউ খেলানো ব্লন্ড চুলের রাশিয়ান মেয়ে এলিনা সবার দিকে অবজ্ঞার চোখে তাকায়। সে বেশ সম্পদশালী, তা ওকে দেখলেই বোঝা যায়।আর রাশিয়ানরা তাদের সম্পদশালী পরিচয়টি পোশাক আশাক এবং চলাফেরায় বুঝিয়ে দিতে ভুল করে না । আপাদমস্তক দামী দামী ব্রান্ডের জিনিসে মেয়েটিকে পণ্যের মডেলের মত লাগে।
এদিকে, এরাবিয়ান মেয়ে দাদ এলিনার মত মেটেরিয়ালিস্টিক নয়। অনেক বেশী ভোগ বিলাসিতা ওর পছন্দ নয়। তবে মনের এক কণে বিকিনি পরে সমুদ্র স্নান করার শখ ছোট বেলা থেকেই। সে কারণেই হয়তো পালিয়েছে নিজ দেশ ছেড়ে। সে একজন সোশ্যাল বাটারফ্লাই। প্রজাপতির মতই সে সবার মনে রং ছড়ায়। সবার সাথে যোগাযোগ রাখে।
আমিরা, এলিনা, দাদ সহ অনেক এলিট শ্রেণীর সহপাঠির ভিড়ে তনিমার নিজেকে দলছুট এক গুচ্ছ কচুরিপানার মত লক্ষ্যহীন মনে হয়। যা গন্তব্যহীন ভেসে চলে অচেনা কোন শক্তিবলে। তনিমার জীবন ঠিক সেরকমই - ইচ্ছা অনিচ্ছায় ভেসের চলে অজানার পথে। কিন্তু রাজনীতিবিদ এবং ব্যারিস্টার শামিমা শম্পার তনিমাকে নিয়ে অন্য প্ল্যান- তনিমার দলছুট কচুরিপানার জীবনে সঞ্চিত সকল বিভীষিকাময় অধ্যায়গুলো কাজে লাগিয়েই সে তনিমাকে একজন বিশেষ রোল মডেল হিসেবে গড়তে চায়। কি তার স্বার্থ? জানতে আজই রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘গন্দম’ প্রি-অর্ডার করতে পারেন অনলাইনে। তা ছাড়া বই মেলায় তো থাকছেই---
উপন্যাসটি প্রি অর্ডারে আছে। ২৬ জানুয়ারি প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
প্রি-অর্ডার করতে ক্লিক করুন রকমারি অনলাইন বুকশপে
বইপরী ফেসবুক পেইজে
উপন্যাসঃ গন্দম
লেখকঃ চারুলতা আরজু
ধারাঃ রোমান্টিক থ্রিলার
প্রচ্ছদঃ তানজিম সাইয়ারা
প্রকাশনাঃ পেন্সিল পাব্লিকেশন্স
কাভার ফ্ল্যাপ থেকে ---
জীবন যেন অজানা সুরঙ্গ পথ। সেই অজানা সুরঙ্গে কখনো কখনো যুক্ত হয় অপ্রত্যাশিত কিছু বাঁক, যেখান থেকে জীবনে নেমে আসে কল্পনাতীত দুর্ভোগ। সেই সংকটকাল কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ধীশক্তি সবার সমান নয়। ‘গন্দম’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র তনিমার সে শক্তি হয়তো ছিল, তাই জীবনের প্রতিটি জংশনে এসে সম্পূর্ণ ভিন্ন রাস্তায় চলেও পেয়েছে সঠিক পথের সন্ধান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তনিমা কি নিজ বিচার শক্তি ও প্রজ্ঞা দিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে সকল সংকট মুহূর্তগুলো? নাকি জীবনের অ্যালগোরিদম এলো মেলো ভাবে সাজিয়ে রাখা হয় যা পরিশেষে দুইয়ে দুইয়ে ঠিকি মিলে চার হয়, যেখানে ব্যক্তির কোন পছন্দ অপছন্দ নেই, শুধু জীবনের পথে হেঁটে চলা ছাড়া?
আসলে, মানুষের জীবন যাত্রা অপ্রত্যাশিত গন্তব্যের পথেই চলে যায়। মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনই মূল্য নেই এখানে। তনিমার জীবন হয়তো একটু বেশীই অপ্রত্যাশিত। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে তনিমার সেই জীবন যাত্রার গল্প, দেশ থেকে দেশান্তরে যা বহমান।
‘গন্দম’ উপন্যাসটি রোমান্টিক থ্রিলার ধারার বই।এখানে প্রেম, জীবনবোধ, বিশ্ববোধ, ইতিহাস এবং বিশ্ব রাজনীতি ঘটনা চক্রে উঠে এসেছে।উপন্যাসের নাম ‘গন্দম’ তথা বেহেশতি নিষিদ্ধ ফল হবার যথোপযুক্ত যুক্তি পাঠক উপন্যাসের একদম শেষে এসে উপলব্ধি করতে পারবে, আর এখানেই নিহিত রয়েছে রহস্য রোমাঞ্চ। উপন্যাসের ঘটনা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ অবধি বিস্তৃতি লাভ করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৬