সিনেমায় যেমনটি হয়
“নাচ আমার ময়না তুই পয়সা পাবি-রে”
এই বলে রঘুনাথ ছুঁড়ে দেয় টাকার বান্ডিল ফিল্মি কায়দায়
একটানা নেচে চলে অজানা উর্মিলা রমনী
তার সাথে সাথে নেচে উঠে ঘরের অর্ধ-উলঙ্গ দেয়াল
পাশের টেবিলে বসে পাপের ক্রয়-বিক্রয় চলে রাতভর।
এখানে মদের ঢেউ নদীর মতোন,
নদীর চেয়েও তার অনেক যতন।
রঘু যত্নভরা চোখ নিয়ে মদের মতো-
তরল হয়ে গলে পড়ে অজানা রমনীর গায়,
তার সাথে সাথে কেঁপে উঠে ঘরের অর্ধ উলঙ্গ দেয়াল।
পাপে ভরা টাকার বান্ডেল ছুড়ে দিয়ে রঘু
প্রতিদিন চেয়ে থাকে উর্মিলা রমনীর চোখে।
মদ স্রোতে রাত ফুরিয়ে বসন্ত আসে,
মদের বসন্ত আসে পাপের সুবাসে।
পার্ক ক্যাফেটেরিয়া
কোন এক আগমনী বসন্তের রোদহলুদ দুপুরের পা’য়ে
পা’ রেখে আমরাও হেঁটেছিলাম অনেক দূরের পথ।
রোদ্রদাহে তৃষ্ণা মেটাতে গলা ভেজাতে,
পথের ধারের ক্যাফেতে বসেছিলাম দু’জন।
দু’জনার জন্য একটা ‘কোল্ড ড্রিংসে’র অর্ডার করেছিলাম
অথচ, দু’টো কেনার পয়সা পকেটে ছিলো
তবুও ভাগ করে নিয়েছিলাম দু’জনে।
জলশাপলা ঢাকা পুকুরধারে বসে উড়িয়েছিলাম শেষ বিকেল
হাজারটা মানুষ মুখের সঙ দেখে দেখে-
ডুবন্ত সূর্যের দিকে চোখ রাঙিয়ে তুমি বলেছিলে,
দেখো, সূর্য ডুবে যাচ্ছে...।
আমি বলেছিলাম সূর্য কখনো ডুবে যায়না,
পৃথিবীর একটা অংশ ডুবে যায় সূর্যের কাছে।
যেমন, তুমি আমার পৃথিবী হলে, আমি হবো সূর্য।
সূর্যের কোন মরণ নেই, সে অমর।
প্রেমের মতো জ্বলে থাকে সারাক্ষণ।
এরপর আগমনী বসন্তের সন্ধ্যা নেমে এলে-
তুমি উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিলে এবার ঘরে ফিরি, রাত আসছে...
রিকসা-সাইকেলের টুংটাং ধ্বনি ছড়িয়ে ছিলো রাস্তায়
ব্যস্ত নগরীর উঞ্চ ছোঁয়া দিয়ে বলেছিলাম-
রাতের মতো সকাল এলেই ভূলে যাবেনা তো আমায়
তুমি বলেছিলে, সূর্য বিহীন আঁধারে কি জীবন বাঁচানো যায়?
_________________________
রচনাকাল-২০১৭
ফেব্রুয়ারী।