সন্ধ্যার কাছ থেকে কিছুটা মায়া কিনে নিয়ে;
আকাশের আঁচলে ফাঁদ পাতে স্বপ্নতিথি,
বেঁচে থাকার ভিন্ন কোন অর্থ আছে;
সেতো পেন্সিলে আঁকা কাদাপরীর মতো নয়।
পাহাড়ের অশ্রুতে হৃদয়ের শব্দরা,
রক্তফেনা হয়ে ঝরে পরে অনন্তের গহীনে;
চোখেতে মৌন মুখর রাত্রির দহনে,
ডানা মেলে খুঁজে ফিরে কালো মেঘকেশ।
আমাকে তোমার ওই স্নিগ্ধ নীল অধর থেকে
এক চিলতে জল কুড়াতে দাও,
বিনিময়ে তোমাকে দেব-
সাত সমুদ্র পরিমান রক্তকরবীর নির্ঘুম নিঃশ্বাস।
মনে পড়ে আলোকলতার হলুদে;
সাজিয়েছিলে সবুজ ফার্ন এক প্রস্থ সন্ধ্যায়,
কবিগানের সমরে জেগে থেকে বেঁধেছিলে স্বাধীনতা,
নির্লিপ্ত নির্জনতায়;
তুমি যাকে সুখ ভেবে তৃষ্ণার্ত হও;
আমি তাকে যত্ন করে লালন করি মাটিতে,
যেখানে এসে শেষ হয় সকল হিসাব নিকাশ।
শুন্য করে রেখে যায় কুয়াশার সকল ঘাত।
মৃত্যুর কপালে বসন্ত চুমে দিয়ে;
বেহুলার মতো করে তুমিও নাচতে যদি,
আমার বুকের 'পর আপন করে পেতে;
মেঠোফুলের কোমল পরশ।
উৎসর্গঃ ব্লগার ডি মুন