দৈনন্দিন জীবনে সচেতন বা অবচেতনভাবে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক কথা বলছি। কখনও উচ্চারিত স্বরে, কখনো অনুচ্চারিত স্বরে। কখনও নিজের সাথে, কখনও অন্যের সাথে। চিন্তা-ভাবনা-কথা-শব্দকে আমরা যতটা গুরুত্বহীন মনে করছি আসলে তা ততটা গুরুত্বহীন নয়। কারণ শব্দ বা কথা এক প্রচণ্ড শক্তি। শব্দ বা কথা শুধু বাস্তবতার বিবরণই দেয় না বরং বাস্তবতাও সৃষ্টি করে। উদাহরণ: টক জাতীয় দ্রব্যে বা তেঁতুলের কথা শুনলে মুখে পানি চলে আসে।
মানুষ নিজের সম্পর্কে যা ভাবে, যা বলে সেই ভাবনার প্রতিফলন দেখতে পায় চারপাশে। জীবনের এক কঠিন সত্য হচ্ছে, নিজেকে আপনি যে মূল্য দেবেন, দুনিয়া আপনাকে সে মূল্যই দেবে। কোয়ান্টামে বলি, আপনি নিজেকে যা পাওয়ার উপযুক্ত মনে করবেন, আপনি তা-ই পাবেন। আসলে কেন চিন্তা বা কথা, সাফল্য বা ব্যর্থতা ডেকে আনে? এর বৈজ্ঞানিক কারণটা কী? কারণ আপনার ব্রেন একই সাথে ট্রান্সমিটার ও রিসিভার। আপনি যা বলছেন বা যে চিন্তা করছেন প্রথমে আপনার ব্রেন তা রিসিভ করছে এবং তারপর সেই ভাবনা বা কথাটাকেই আবার বাইরে ট্রান্সমিট করছে। একারণেই ১৫ শত বছর আগে নবীজী বলেছেন, কারো সাথে দেখা হলে সালাম বিনিময়ের পরে কুশল জিজ্ঞেস করলে বলবে, শোকর আলহামদুলিল্লাহ! বেশ ভালো আছি।
ভাবনা, কথা, শব্দ বা চিন্তাকে বড় দু’টি শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি,
সুন্দর কথা বা ইতিবাচক কথা, যা আশাবাদী করে, আত্মবিশ্বাসী করে, কাজের প্রেরণা বা সাহস যোগায়, আনন্দিত করে। অর্থাৎ যে চিন্তা, কথা বা শব্দ সর্বোপরি নিজের এবং অন্যের জন্যে কল্যাণকর তা-ই ইতিবাচক কথা। অন্যটি হচ্ছে-
অসুন্দর বা নেতিবাচক কথা, যা দুঃখ বোধ বাড়িয়ে দেয়, আশা ভঙ্গ করে, মনে অস্থিরতা ও হতাশা তৈরি করে, হতোদ্যম করে, সর্বোপরি মানসিক অশান্তি বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ যে ভাবনা, চিন্তা বা কথা নিজের ও অন্যের জন্যে ক্ষতিকর বা অকল্যাণকর তা-ই নেতিবাচক কথা বা অসুন্দর কথা।
তাই সুন্দর কথা বলার অভ্যেস করুন। সুন্দরভাবে কথা বলা হতে পারে আপনার সেরা গুণ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনীষীরা সবাই সুভাষী ছিলেন। আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত আদর্শ প্রচারিত হয়েছে, তা হয়েছে সুন্দর কথা দিয়ে। কারণ প্রতিটি ভালো কাজই মানুষের মন জয় করে করতে হয়। আর মানুষের মন জয় করার একটি অব্যর্থ উপায় হলো সুন্দর কথা। যত সুন্দর কথা বলার অভ্যেস করবেন তত মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি যেতে পারবেন। আপনার প্রভাব বলয় ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। অনেকের পক্ষেই যে কাজ করা কঠিন আপনার পক্ষে সে কাজ অনায়াসে করা সম্ভব হবে।
একটি ভালো কথা এমন একটি ভালো গাছের মতো, যার শেকড় রয়েছে মাটির গভীরে আর শাখা-প্রশাখার বিস্তার দিগন্তব্যাপী, যা সারা বছর ফল দিয়ে যায়। [ সুরা ইব্রাহিম : ২৪ ] আপনার একটি সুন্দর কথা ঐ গাছটির মতো হতে পারে শান্তি, কল্যাণ ও সাফল্যের বাহন। একটু সচেতন প্রচেষ্টা চালালেই আমরা যে কেউ সুন্দর কথার বার্তাবাহক হতে পারি।
সুবচন/ সুন্দর কথা
১. সবাইকে আগে সালাম দেয়া : আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে যে, সালাম কেবল বড়দেরকেই দিতে হবে তা কিন্তু নয়। ছোট বড় নির্বিশেষে সবাইকে আগে সালাম দিতে হবে।
২. হাসিমুখে কথা বলা : প্রাণের প্রাবল্যে ছড়িয়ে দেয়া হাসি বা ব্যবহার একজন মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। একটু হাসি অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিকে সহজ করে দেয়। আপনি নিজেই চিন্তা করুন, হয়তো কাউকে অনুরোধ করতে গিয়েছেন, তখন- “আমি এটা করতে পারবোনা”,আর একটু হাসির সাথে “আমার জন্য এটা করা খুব কঠিন হয়ে যায়” -এমন দুটো উত্তরের ক্ষেত্রে কোনটিতে আপনার প্রতিক্রিয়া ভালো হবে?
৩. সম্মান বা শ্রদ্ধাপূর্ণ কথা বলা : প্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, পারিপার্শ্বিক পরিমণ্ডলে ছোট বড়-ঊর্ধ্বতন-অধস্তন নির্বিশেষে আপনি সম্বোধন করা। আমাদের ভুল ধারণা, আপনি বললে সম্পর্কের গভীরতা কমে যায়। আপনি সম্বোধন পারস্পরিক সম্পর্ক, যোগাযোগ অনেক সহজ করে দেয়। অফিসের একজন কর্মচারী বা রিকসা চালককে আপনি সম্বোধন করলে সে সম্মান বোধ করবে এবং আপনার কাজ সহজে করে দেবে। কোরআনে বলা আছে, তাদের সাথে দয়া সহানুভূতি ও নম্রভাবে কথা বলো।
৪. বিনয় ও মমতা পূর্ণ কথা : আন্তরিক বিনয় সকল সৎগুণের উৎস। যত বিনীত হবেন তত মানুষের কাছে যেতে পারবেন। বিপদের কথা, দুঃখের কথা বলতে মানুষ আপনার কাছে আসবে। আর যত “আমিই সব জানি-” এমন ভাব করবেন বা নিজের ভুলকে স্বীকার না করে অন্যায় সিদ্ধান্তকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেন -তত মানুষ আপনাকে এড়িয়ে চলবে। মমতার ভাষা সবাই বোঝে। মমতা অপরপক্ষকে বিচার করে না বরং বোঝার চেষ্টা করে। যে কারণে মমতাপূর্ণ কথায় সবাই প্রভাবিত হয়। উদাহরণ : নবীজী এবং বৃদ্ধার কাটা বিছানোর ঘটনা।
৫. শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতার কথা : (মানুষের কাছে, স্রষ্টার কাছে) কৃতজ্ঞ মানুষকে সবাই ভালোবাসে। আসলে যে মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারে না সে আসলে স্রষ্টার প্রতিও কৃতজ্ঞ নন। কারো দুঃখের সংবাদে সমব্যথী হওয়া সহজ কিন্তু আনন্দের সংবাদে আনন্দিত হওয়া কঠিন। তাই প্রথম সুযোগেই অন্যের যেকোনো শুভ সংবাদে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাবেন।
৬. ইতিবাচক কথা : দৈনন্দিন কথায় নেতিবাচক কথা ব্যবহার না করা। কারণ নেতিবাচক কথা হতাশা সৃষ্টি করে এবং শূন্যতা তৈরি করে। একবার এক ম্যারেজ কাউন্সিলর এর কাছে এক দম্পতি গিয়েছেন পারিবারিক সমস্যা নিয়ে। ম্যারেজ কাউন্সিলরের তাদের সাথে কথা বলে জানলেন, প্রতিদিন মহিলা তার স্বামীকে বাজার প্রসঙ্গে বলে চাল নেই, চিনি নেই, সবজি নেই, মাছ নেই। এই নাই নাই শুনতে শুনতে ভদ্রলোক একটি শূন্যতা অনুভব করে। তখন ম্যারেজ কাউন্সিলর পরামর্শ দিলেন এখন থেকে কথাগুলো একটু ঘুরিয়ে বলতে। ’নাই’ এর জায়গায় বলবেন ’লাগবে’। কিন্তু এই কথাগুলোই যদি মহিলা এভাবে বলতেন, চাল লাগবে, চিনি লাগবে, সবজি লাগবে তাহলে সংসারের অশান্তি অনেক কমে যেত। কারণ নেই শব্দটির চেয়ে লাগবে শব্দটি ইতিবাচক এবং এটি ভালো অনুরণন সৃষ্টি করে।
৭. বিতর্ক পরিহার করুন : বিতর্ক মানেই আরেক পক্ষকে হেয় করা। হেয় বা অসম্মান করে আসলে কখনও কারো হৃদয়কে জয় করা যায় না। বুদ্ধিমান মানুষ কখনও বিতর্কে লিপ্ত হয় না বরং তারা বুদ্ধিকে ব্যবহার করে বিতর্ক এড়ানোর জন্যে। আমরা মনে করি একটু রাগ না দেখালে কেউ পাত্তা দেবে না। অথবা অহেতুক চিৎকার-চেঁচামেচি না করলে আমার দাম কমে যাবে। ইতিহাস কিন্তু উল্টোটাই সাক্ষ্য দেয়। তাই বিতর্ক সবসময় এড়িয়ে চলবেন।
৮. কোমল কথা : রাজার ভৃত্য পলায়ন করেছে। রাজা তাকে প্রাণদণ্ডের আদেশ দিলেন। নিয়ে যাওয়া হলো জল্লাদের কাছে। জল্লাদ খড়গ তুলতে উদ্যত। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেচারা কাতর স্বরে প্রার্থনা করলো, হে করুণাময় যারা আমাকে হত্যা করতে চাইছে তাদেরকে তুমি ক্ষমা কর। কারণ আমি তাদের ক্ষমা করেছি। বাদশা আমাকে প্রাণদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন এতে আমার কোনো দুঃখ নেই কারণ এই বাদশাহ আমাকে প্রতিপালন করেছে। তুমি এদের সবার পাপ ক্ষমা করো। বাদশাহ ভৃত্যের ফাসির মঞ্চেই ছিলেন। ভৃত্যের মৃত্যুকালীন প্রার্থনা শুনে তার চিত্ত বিগলিত হলো। তার সমস্ত রাগ পানি হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আদেশ দিলেন, ওকে মুক্ত করে দেও।
৯. বিদ্রূপের জবাব দিন বিনয়ে :
রবীন্দ্রনাথ তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্যে নোবেল পুরষ্কার পান ১৯১৩ সালে। পশ্চিমাদের অনেকেই এটা সহ্য হচ্ছিলো না বরং গাত্রদাহ হচ্ছিলো। একবার এক পশ্চিমা সাহেব রবীন্দ্রনাথকে বলেই বসলেন,গীতাঞ্জলি বইটি দারুন হয়েছে। কে আসলে ওটা লিখে দিয়েছিলো তোমার হয়ে। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এলো কবিগুরুর বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর, তার আগে বলো দেখি, কে আসলে তোমাকে পড়ে দিয়েছিলো, গীতাঞ্জলির মতো কাব্য।
১০. স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে কথা বলা :
জজ বার্নাড’শ একবার আমেরিকায় লেকচার প্রদানকালে শ্রোতাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, ফিফটি পারসেন্ট আমেরিকানস আর ইডিয়েট। বলতেই সভাস্থলে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। এটা লক্ষ্য করেই বার্নাড,শ বললেন, ফিফটি পারসেন্ট আমেরিকান আর ওয়াইজ। অর্থাৎ শতকরা পঞ্চাশ জন আমেরিকান হচ্ছে বিজ্ঞ ব্যক্তি। বলতেই সভাস্থলে গুঞ্জন কমে এলো।
একরাতে বাদশা স্বপ্নে দেখলেন এক লোক রাজপ্রাসাদে তুলে তার সব দাঁত তুলে নিয়ে গেছে। বাদশা উজীরকে ডেকে স্বপ্নের অর্থ জানতে চাইলেন। উজীর বললেন, আপনার স্বপ্নের অর্থ হচ্ছে, আপনার আগে বেগম ও শাহজাদার ইন্তেকাল হবে। বাদশা ক্ষেপে উজীরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে মোল্লা নাসিরউদ্দিনকে ডেকে পাঠালেন, হোজা বললেন, আপনার স্বপ্নের অর্থ খুবই গভীর, বাদশা ও শাহজাদার চেয়ে আপনি দীর্ঘায়ু হবে।
১১. অনুমান করে কথা না বলা : কোরআনে আছে, তোমরা অনুমান করে কথা বলো না। কারণ অনুমান করে কথা বলা হচ্ছে জঘন্য মিথ্যাচার।
১২. বলুন কম, শুনুন : স্রষ্টা মানুষকে দুটো কান দিয়েছেন এবং একটি মুখ দিয়েছেন। অতএব শুনতে হবে বেশি এবং বলতে হবে কম। তাই বলার আগে সচেতন হোন কখন, কাকে কী বলে ফেলেছেন। কথা বলার চেয়ে শোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হোন। কারণ ভালো বক্তার চেয়ে ভালো শ্রোতা অন্যকে বেশি আকৃষ্ট করে। মনে রাখবেন জ্ঞানী কথা বলেন, প্রজ্ঞাবান শোনেন। হযরত আলী ( রা.) এক উক্তি - যতক্ষণ না তুমি বলে ফেলেছে ততক্ষণ তোমার নিয়ন্ত্রণ থাকছে, যখন তুমি বলে ফেলেছো তখন তোমার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। অতএব তুমি তোমার জিহ্বাকে পাহারা দাও যেভাবে পাহাড়া দাও স্বর্ণ ও রোপ্যকে।
১৩. গীবত বা পরচর্চা না করা : কারো অনুপস্থিতিতে তার বিরূপ সমালোচনা করা বা নেতিবাচক সমালোচনা করা থেকে সচেতন ভাবে বিরত থাকা। আসলে নিজেকে জাহির করার জন্য আমরা অন্যের দোষ ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করি। যদি আপনি যদি সমালোচনা না-ও করেন, কিন্তু অপরে বলছে এবং আপনার শুনতে ভালো লাগছে তবে ভাববেন এটিও গীবত।
১৪. মাত্রাতিরিক্ত কৌতুহলী না হওয়া : আমরা কৌতূহলী হবো কিন্তু কৌতূহল যেন অভদ্রতার পর্যায়ে না পড়ে। কোন বিষয় বা জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের কৌতূহল থাকবে। কিন্তু কারো কোন ব্যক্তিগত ব্যাপারে কৌতূহল দেখাবো না। অর্থাৎ যে জিনিস জানা অথবা না জানার ওপর কোন কিছু নির্ভর করছে না, সেটা জিজ্ঞেস করা থেকে বিরত থাকবো। যেমন: অনেকের সামনে পরীক্ষার রেজাল্ট কী বা দেখতে ভালো লাগছে না বা বয়স - বেতন জিজ্ঞেস করা এগুলো শিষ্টাচারের পরিপন্থী।
১৫. উপকার করে খোঁটা না দেয়া:
একবার নাসিরউদ্দিন হোজার কাছে এক লোক এসে প্রশ্ন করছেন যে, জীবনে সুখী হওয়ার জন্যে আমাদের কোন ব্যাপারটা মনে রাখা উচিত আর কোনটা ভুলে যাওয়া উচিত। হোজা বললেন, আপনি যদি কারো কাছ থেকে উপকার পান তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন আর যদি কারো উপকার করেন তাহলে সেটা ভুলে যাবেন।
আপনি যদি শেষ বয়সে আমাকে দেখবে -এই আশায় ছেলেমেয়েকে লালন পালন করেন, এক্ষেত্রে আপনি আসলে মায়ের ভূমিকা পালন করছেন না। বরং আপনি ব্যবসায়ীর মত ইনভেস্ট করছেন। নিজের সন্তানের সাথে যদি এমন আচরণ করেন তাহলে সে-ও ভালবাসার সম্পর্ক না গড়ে আপনার সাথে টাকা-পয়সা-লেনদেনের সম্পর্ক করবে। আপনি যদি বারবার আপনার ত্যাগের কথা বলতে থাকেন- “তোমার জন্যে আমি এটা করেছি-ওটা করেছি; এটা ছেড়েছি- ওটা ছেড়েছি; সারাদিন খাটনি করছি” -তাহলে একটা সময় আসবে সন্তান আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে।
আসলে সুন্দর কথার জন্যে চাই সুন্দর মন। মন অসুন্দর রেখে কৃত্রিম আবরণ দিয়ে ঢেকে রাখলে সুন্দর কথা বলা যায় না। তাই মনকে বড় করুন। রাগ- ক্ষোভ, ঘৃণা, ঈর্ষা থেকে মনকে মুক্ত করুন। দেখবেন আপনার কথায় লোকজন স্বস্তি পাচ্ছে, আপনার সাহচর্য প্রত্যাশা করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫