somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের মানবাধিকার গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের মানবাধিকার
গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন
মুহাম্মদ রেজাউল করিম

১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে রুশো আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘‘মানুষ স্বাধীন সত্তা হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেও সে তার সর্বত্র শৃংখলাবদ্ধ। এর প্রায় দুই শত বছর পর ১৯৪৭ সালে আমেরিকার হাভার্ড বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক ম্যাকলোয়েন চার্লস মানুষের দূর্দশার চিত্র আঁকতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমার মতে ইতিহাসের কোন যুগেই কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এত কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়নি, প্রশাসনের সামনে বিচার বিভাগ কখনো এতটা অসহায়ত্ব বোধ করেনি, এ বিপদ অনুভব করা এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্বে কখনো চিন্তা করার এতটা তীব্র প্রয়োজন দেখা দেয়নি-যতটা আজ দেখা দিয়েছে। কথা গুলো শুনে আপনার মনে হবে তারা দু;জনে হয়ত সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে আওয়মী দ;শাসনের চিত্র দেখে এমনি মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তা-না হলে হয়ত স্বপ্নযোগে আওয়মী দ;শাসনের চিত্র কল্পনা করেছেন। ‘ঋঁহফধসবহঃধষ জরমযঃং, ইধংরপ যঁসধহ জরমযঃং, ইরৎঃয জরমযঃং ড়ভ সধহ- প্রকৃতপক্ষে মানবিকতার উচ্চাকাংখা নিয়ে যার জন্ম তার চেয়ে অনেক বেশী ধ্বংসাত্মক, মনুষত্বহীনতা, অমানবিকতা ও পাশবিকতার গ্লানি এবং বিকৃত চেতনা নিয়ে এই অবৈধ সন্তানটি মানবসমাজে আজ জীবিত। এই মানব রুপি অক্টোপাসের জুলুম নির্যাতনের নিষ্পেষনে ক্ষত বিক্ষত আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণ করেছে আওয়ামী সরকার। ক্ষমতা লাভের মুহূর্ত থেকেই তাদের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেই সঙ্গে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি-বাণিজ্য, চুরি-ডাকাতি, দখল, লুণ্ঠন, হত্যা, খুন, রাহাজানি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করে। ফলে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় এক মারাত্মক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির। ভারতের সাথে কয়েকটি গোপন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে প্রিয় বাংলাদেশকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত প্রায় চূড়ান্ত। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী সরকারই পার্বত্য শান্তিচুক্তির নামে দেশের এক-দশমাংশ অঞ্চলকে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ওই অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মহাজোট সরকার। ভারতকে বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের অনুমতি প্রদান করে বাংলাদেশের এক বৃহৎ অংশ (সিলেট অঞ্চলকে) মরুভূমিতে পরিণত করার নীল নকশা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে দেশকে ধর্মহীন করার প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়নের কাজও সম্প্রতি শেষ করেছে সরকার। এখনোও পর্যন্ত নতুন পাস হওয়া শিক্ষানীতি জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য পেটুয়া সন্ত্রাস-বাহিনী দ্বারা বিনা বিচারে হত্যার সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হিসেবেই ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ১২ মাসে রাজধানীতেই ৩০৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে খুন হয়েছেন ২৫ জন। দেশের জননিরাপত্তা ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে সেটা স্বাধীনতা-পরবর্তী ৭২-৭৪ সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ক্ষমতার দাপট, সীমাহীন লোভ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, এলাকাপ্রীতি ইত্যাদি সরকারের সর্বত্র ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীদল ঘোষিত ও সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন জনসভা দলের অঙ্গসংগঠনের ক্যাডার ব্যবহার করে পণ্ড করে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা পাল্টা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিশ দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করিয়ে ‘শান্তিরক্ষা’র অজুহাতে বিরোধী দলের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে, যা তাদের পুরনো ফ্যাসিবাদী ধারারই অনুসরণ। বাংলাদেশ এখন যেন পুলিশী রাষ্ট্র। রিমান্ডের নির্যাতন ,হত্যা. গুম,মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এখন পুলিশের নিয়মিত কাজ পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি মির্জা আব্বাসের বাডিতে নারী-পুরুষের উপর নির্মম নির্য়াতন, ওয়ার্ড কমিশনার র্চোধুরী ও ছাত্রশিরিরের কেন্দীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক কে সাদা পোশাক দারীরা ধরে নেয়ার পর অদ্যবদি খুজে না পাওয়া তারই আলামত বহন করে। সরকার বলব এক মাঘে যেমনি শীত যায় না, তেমনি এই সরকার ও সম্ববত শেষ সরকার নয়।
বাংলাদেশে নিম্ন আদালতের আইনের শাসন এখন নাকি রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্তীত। মানুষ সুবিচারের জন্য ছুটে যায় সর্বো”্চ আদালতে। সেখানে অন্তত নিরাপত্তার আশা টুকু বুকে ধারন করে বেচ আছে সাধারণ মানুষ। কিন্ত শেষ আশ্রয়টুকুও এখন আর অবশিষ্ট থাকল না, জামায়াতের দ,জন শীর্ষ নেতা, সহকারী সেক্রেটারী ও প্রখ্যাত সাংবাদিক, বুদ্বিজীবি,কলামিষ্ট জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জান, ও জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে হাইকোটের নিষেধাঙা সত্বেও আদালত প্রাঙ্ন থেকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে। কিন্ত সরকার কি ভুলে গেছে বিগত ম.ইউ আহম্মদ গোটা দেশে আদালত তৈরী করে, মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে ও শেষ টার্গেটে পোছতে পারেন নাই। যার শিকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সহ আরো অনেকেই। তারা যতদ্রৃত সব কন্ট্রোল করতে চেয়েছে,ততদ্রৃত জনগন তাদের প্রত্যাখান করেছে। এ সরকারের ক্ষেত্রে ও তার ব্যাতিক্রম হবেনা ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশ বর্তমানে এক চরম সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। ক্ষমতাসীন সরকার নানাভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে। গ্যাস বিদ্যুৎ পানিসহ জনদূর্ভোগ , দ্রব্যমূল্যের উর্ধোগতি সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক নির্যাতন , বিরোধী দলের উপর দমন নিপিড়নের ও শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসের ফিরিস্তি অল্প কথায় শেষ করা কঠিনই বটে। ছাত্রলীগের অত্যাচারে গোটা জাতি যখন অতিষ্ট। প্রধানমন্্যী থেকে শুরু করে সবাই দিশেহারা। কখনও বলেন- ছাত্রলীগেকে তেজ্য করে দিলাম, কখনও বলেন- ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। সধারণ সম্পাদন বলছেন-ছাত্রলীগের দায়দায়িত্ব আওয়ামীলীগ নেবে না। সর্বশেষ আওয়ামীলগের র্কাযনির্বাহীর সভায় আবার সিদ্বান্ত ছাত্রলীগেকে শুধরাতে হবে। যারা নিজেদের একটা ছাত্রসংগঠন চালাতে পারেন না, তারা দেশ চালাবে কিভাবে? মাত্র ১৮ মাসের শাসনামলে অপশাসনের এক কালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা। দিন গণনার সাথে সাথে দিন বদলের আসল রূপে ফিরে আসছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ।
এদেশের মাটি ও ঐতিহ্যের সাথে ইসলাম মিশে আছে বিধায়, ইসলামী শক্তিই হচ্ছে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ। কারণ, জাগতিক কোনো শক্তির কাছে ইসলাম মাথা নত করে না। স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলোই মূলত এ দেশের বিভিন্ন সঙ্কটকালে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অভ’তপূর্ব বিজয়, জামায়াতের বিভাগীয় পর্যায়ে জনসভা,টিপাইমুখ বাধ ইস্যু, শিক্ষাব্যবস্ঞা , ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ এবং অতিসম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াত-শিবিরের সরব অংশগ্রহণ এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে সঠিক ভূমিকা রাখতে জাতিকে সহায়তা করেছে। ২৭ জুনের হরতাল তো ছিল জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জ্বলন্ত প্রমাণ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র সাথে রাজপথে জামায়াতের একাত্মতা ঘোষণাই এই সফলভাবে হরতাল পালনের নেপথ্য কারণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করে। যার কারণে জামায়াত-শিবির হয়ে ওঠে এই সরকারের সকল মাথা-ব্যথার কারণ। ফলে একটি ঠুনকো মিথ্যা ও জামিনযোগ্য মামলায় ২৯ জুন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করেছে সরকার। কথিত ইসলামী তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়েরকৃত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার একটি মিথ্যা মামলা যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উল্লেখ্য ওই আলোচনা সভায় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
অন্যায়ভাবে আটককৃত নেতৃবৃন্দের সকলেই প্রখ্যাত আলেম হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দেশের একজন বরেণ্য আলেম, তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্টিত একটি রাজনৈতিক দলের আমীর। দু’বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে ৫ বছর সফলভাবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাস্সিরে কুরআন। তিনি দু’বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে হাজার হাজার অন্য ধর্মাবলম্বী ইসলাম গ্রহণ করে শান্তির ছায়াতলে আসার সুযোগ পেয়ে আসছে। জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ দলের সেকেটারী জেনারেল ছাড়াও একটি ইংরেজী পত্রিকার সম্পাদক, গত ৫ বছর সৎ ও সফল মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা সকলেই জাতীয় নেতা। তাঁদের সকলের বয়স ৬২-৭০এর মধ্যে। তাঁদের মতো এমন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রবীণ নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো এ দেশের শুধু নয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এক নজীরবিহীন কলঙ্কজনক ঘটনা। যাঁরা তাঁদের জীবনটাই ইসলামের জন্য নিবেদন করে দিয়েছেন, তাঁরাই কি-না ইসলামকে হেয় করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)! আর তাঁদেরকে নাজেহাল করার জন্য আদালতের মাধ্যমে সমন জারি করে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হলো। অথচ সে মামলায় তাঁদেরকে জামিনও দেয়া হলো। সঙ্গে সঙ্গে আরও ৮টি মিথ্যা মামলা তাদের বিরুদ্ধে রুজু করা হলো এবং শোনা যাচ্ছে আরও কিছু মামলা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ৫টি মামলায় কথিত জিজ্ঞাসাবাদের নামে ১৬ দিনের নির্মম নির্যাতনের রিমান্ডে নেয়া হলো। আসলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় অনুভূতি নয়, জামায়াত-শিবির ও ইসলামকে বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎখাত করা।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া আওয়ামী লীগেরই স্বভাব
সচেতন দেশবাসী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগেরই স্বভাব। লক্ষ করুন, অতিসম্প্রতি ধর্মের ওপর তারা কিভাবে একের পর এক আঘাত হেনে চলেছেÑ
* যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর আল্লাহ যদি আমাদের বিচার করতে পারেন তবে আমরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারব না কেন?” এটা কি আল্লাহর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার সাথে তার অংশীদারিত্বের দাবি নয়?
* ভোলা-৩ উপ-নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে সিইসি এটিএম শামসুল হুদা তো স্বয়ং আল্লাহর বিরুদ্ধেই জিহাদ ঘোষণা করেছেন এভাবে, “সেনাবাহিনী ফেরেশতা নয় যে তারা এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেনাবাহিনী কেন, খোদ আল্লাহতায়ালা নেমে এলেও কিছু করতে পারবেন না।”
* কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী রাসূলের (সা) উম্মত সংক্রান্ত বিষয়ে পবিত্র ধর্ম ইসলামের ওপর আঘাত হেনেছেন এভাবে, “বিএনপি কর্মীরা জিয়ার উম্মত আর জামায়াত কর্মীরা নিজামীর উম্মত। আর আমরা যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি তারা নবীজীর উম্মত।”
* পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কয়েকটি অনুষ্ঠান কুরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে রবীন্দ্র সঙ্গীত দিয়ে শুরু করা হয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রতিষ্ঠিত রীতির ব্যতিক্রম। এটা ৯৫% মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা নয়?
ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনই মূল টার্গেট
ক্ষমতাসীন ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বেশি জিঘাংসার শিকার হয়েছে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে তারা শঙ্কিত হয়ে এর নেতা-কর্মী সর্বোপরি নিশ্চিহৃ করার পাঁয়তারা করেছে। কেননা, এদেরকেই তাদের অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথে প্রধান অন্তরায় বলে তারা মনে করছে। ফলে দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন এবং খুন-জখমের টার্গেটে পরিণত হয়েছে শিবিরের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাড়িতে থাকা মা বোনেরাও। গত বছর ১২ ফেব্র“য়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সেক্রেটারি এমবিএ’র মেধাবী ছাত্র শরীফুজ্জামান নোমানীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে কেটে নেয়া হয় তার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং উপর্যুপরি কোপে দ্বিখণ্ডিত করা হয় আল্লাহর সামনে নতকারী মস্তক। কিন্তু জঘন্য নির্লজ্জতার পরিচয় দিয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করা হয়। জামালপুরে হত্যা করা হয় হাফেজ রমজান আলীকে। দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া এই মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে দিখণ্ডিত করে দেয় নরপশুরা। এ বছর ৮ ফেব্র“য়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যক্কারজনক ঘটনাটি পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ দিয়েছেন গণিত শেষ বর্ষের দরিদ্র ছাত্র কথিত ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন। এটাকে তারা একঢিলে দুই পাখি মারার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে। ফলে পরিকল্পিতভাবে ফারুকের লাশকে ম্যানহোলে ফেলে দিয়ে মানবতার চরম লঙ্ঘন করেছে তারা। আর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীর নিকট প্রিয় সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বলির পাঠা বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদেরকে চিরতরে উৎখাত করার নীল নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ উস্কানিতে পুলিশ প্রশাসন শিবির নির্মূলের অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গণগ্রেফতার আর অত্যাচারের ভয়াল থাবা বিস্তার করে শিবিরের নিরীহ শির্ক্ষীদের ওপর। এই ঘটনাকে পুঁজি করে সারাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় চলে কথিত “চিরুনি অভিযান”-এর নামে। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে লাশে পরিণত হন দুই জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্র পিতামাতার একমাত্র সন্তান হাফিজুর রহমান শাহীনকে। এলাকার প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে যখন সবাই শোকে কাতর, সেখানে জানাযায় পর্যন্ত বাধা দেয়া হয়, কবর জিয়ারত থেকে বিরত রাখতে র‌্যাব পুলিশ দিয়ে পাহারা দেয়া হয় কবর। কত জঘন্য ও নিষ্ঠুর হলে মানুষ এমনটি করতে পারে! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র মহিউদ্দিন মাসুমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক মেধাবী ছাত্র শিবির নেতা হারুনুর রশীদ কায়সারকে শাটল ট্রেন থেকে অপহরণ করে জবাই করে ফেলে দেয়া হয়। এ সকল ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা নেয়া তো দূরের কথা উল্টো কয়েকশ’ মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হয় আমাদের নেতা ও কর্মীদেরকে। আক্রমণ-জখম, মামলা আর জেলে ভরে চলে মানবতার বিরুদ্ধে চরম অবমাননা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটিকে ছড়িয়ে দেয়া হয় সারা বাংলাদেশে। দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডাদের নির্মম আক্রমণের শিকার হন ছাত্রশিবিরের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা। অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক ছাত্রের শিক্ষাজীবনকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাইজুল ও ইকরামের কাছ থেকে মিথ্যা বক্তব্য আদায় করতে রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দেয়া হয় তাদেরকে। রিমান্ডের নামে নির্যাতনে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে আরও অনেককে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও কায়েম করা হয় সন্ত্রাসের রাজত্ব। ফলে শুধু রাজশাহী অঞ্চলেরই প্রায় ২০০টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে বন্ধ হয়ে যায়। ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি ওই অঞ্চলের শিক্ষার পরিবেশ।
মিছিল, সমাবেশ এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় প্রতিটি নাগরিকের অন্যতম সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। অথচ গণতন্ত্রের নিরঙ্কুশ দাবিদার বর্তমান আওয়ামী সরকারের উপরোক্ত অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করার জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে সরকার তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এমনকি খোদ নিজেরাই তা বানচালের ঘৃণ্য পদ্ধতি অবলম্বন করে। পুলিশ প্রশাসনকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয় তারা। এখন যেন ছাত্রলীগের কাছে অসহায় পুলিশ। পুলিশের সামনেই মেরে আহত করে পুলিশে সোপর্দ আর কোন্ মামলায় গ্রেফতার এবং আরো কী করা যায় তার সব নির্দেশ আসে আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে। অথচ পুলিশের দায়িত্ব ছিল চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিংসহ অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ বন্ধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা তা না করে উল্টো শিবিরের নেতা-কর্মী যারা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে এ সকল অন্যায়, অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ থেকে দূরে থাকছে এবং অন্যকে দূরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, গড়তে চাচ্ছে মদিনার মত একটি সুন্দর সমাজ- তাদের দমন করাই প্রধান কাজ বানিয়েছে। মেসে-বাসাবাড়িতে হামলা, ভাঙ্চুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, মিছিলে বাধা দান ও খুনের নেশায় আক্রমণ, চোরাগুপ্তা হামলা, অপহরণ প্রভৃতি নিকৃষ্ট পন্থায় ইসলামপ্রিয় শিবিরকর্মীদের ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতার এক কালো দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে চলেছে। এ দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের প্রাণের সম্পদ পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করতেও পিছপা হয়নি নরপশুরা। আল্লাহপ্রদত্ত জীবনবিধান ইসলামকে জানা ও বোঝার জন্য আলেমদের সুচিন্তিত মতের আলোকে রচিত বিভিন্ন ইসলামী বইপুস্তককে তথাকথিত “জিহাদী বই” বলে প্রচারণা চালায় এবং তা সংরক্ষণ করার অজুহাত এনে গ্রেফতার করা হয় ১৩-১৪ বছরের বালক থেকে শুরু করে জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত হওয়া বৃদ্ধদেরকেও। জেলের অন্ধকারে আটকে রেখে, রিমান্ডের নামে নির্মম অত্যাচার চালিয়ে অসংখ্য মা আর বাবার চোখের পানির ধারাকে প্রবাহমান রেখেছে জালেম নরপশুরা। ইসলামের ধারক ও বাহক এইসব নিরীহ যুবকদের ওপরে শাসকদলের জিঘাংসার স্বরূপ দেখে আপনিও চোখের পানি আটকে রাখতে পারবেন কি? । আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেমে দীন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, প্রখ্যাত মুফাস্সিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে অন্যায়ভাবে আটকের ঘটনায় যখন ছাত্রশিবির ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে তাদের মুক্তির জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে, তখনও পাশবিকতার স্টিম রোলার চালানো হয় তাদের ওপর। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সারাদেশে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৩৫০০ নেতাকর্মী, মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক। এ কেমন গণতন্ত্র! কেমন সভ্যতা! যাঁরা নিজেদের জীবনটাই উৎসর্গ করেছেন মানবতার ধর্ম ইসলামকে সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে, সেই তাঁদের বিরুদ্ধেই যখন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কল্পিত অভিযোগে মিথ্যা মামলা হতে দেখা যায় এবং তার কারণে কারান্তরীণ হতে হয়, তখন বাংলাদেশে ইসলামের ভবিষ্যৎ আসলে কোন দিকে এগুচ্ছে।আপনিও নিশ্চয়ই শঙ্কিত। কথিত ওই মামলায় তাঁদের জামিন হলেও রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে আরোও কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডের নামে চরম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
রাজপথে আওয়ামী ঘরানার পুলিশ আর মানবরূপী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হায়েনাদের তাণ্ডব দেখে আপনার চোখের কোণা কি চিকচিক করে ওঠেনি? অঝোর ধারায় নেমে আসেনি কষ্টের অশ্রুরা? ব্যথায় কি বুকের কোণটায় সামন্যতমও চিনচিন করে ওঠেনি? ওরাও তো কোনো না কোনো স্নেহময়ী মায়ের নাড়ীছেরা ধন, প্রশস্ত দীলের কোনো পিতার বুকের মানিক, ভাই ও বোনের ভালোবাসা ও আদরে সিক্ত আপনার অনুভূতি, একসাথে পথ চলার কোনো সাথী! সহ্য করতে পারছেন কি এসব নির্মমতা? প্রকাশ্য দিবালোকে শরীর থেকে পাঞ্জাবী খুলে নেয়ার দৃশ্য দেখে আপনার ঈমানে কি সামান্যতমও দোলা লাগেনি? আপনার প্রিয় সন্তানও তো রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছে না, গ্রেফতার আতঙ্কে পথে পথে ঘুরে কাটিয়ে দিচ্ছে।, এই সকল বিষয়গুলোই সকলকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের সাথে আপনিও দেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন নিয়ে ঘোর শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। আর বিনিদ্র রজনী পার করছেন এসব থেকে পরিত্রাণ চেয়ে মহান রবের দরবারে আকুল আবেদন জানিয়ে।
সরকারের দেশ, জাতি, স্বাধীনতা ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কোনো আওয়াজ তুলতে না পারে সেজন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে আটক রেখে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নির্মূল করতে চায়। এভাবে একে একে সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে নির্মূল করে আওয়ামী সরকার একদলীয় বাকশাল কায়েম করে বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করবে। সরকারের এ অভিযান শুধু জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নয়- এ অভিযান দেশ-জাতি, গনতন্ত্র ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সকল মানুষের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই জালেম সরকার ঈমান ও আকীদার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাই আসুন, অবিলম্বে আটককৃত জামায়াত-শিবির নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ১৬ কোটি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ও আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশ, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, ঈমান ও আকীদাকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলি। আজকের লেখাটি ফ্রাস্কেনষ্টাইন এর গলপটির মধ্যে দিয়ে ইতিটানতে চাই, গলপটি হলো - উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ মহিলা সাহিত্যিক মিসেস মেরী শেলী (১৭৯৭-১৮৫১) তার উপন্যাসে এই চরিত্রটি সূষ্টি করেন। এক বৈঙ্গানিক গবেষনার মাধ্যমে ডা: ফ্রাস্কেনষ্টাইন এক মানবরূপী দানববের সূষ্টি করেন, যে-দানব পরিনামে তার স্রষ্টাকেই হত্যা করে। সামাজিক ও রাজনৈতিকক্ষেত্রে ফ্রাস্কেনষ্টানের দানব বলতে এমন কোনো ব্যাক্তিকে প্রতিষ্ঠা করা কিংবা এমন কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরী করা কিংবা এমন কোনো কর্মসূচী গ্রহন করা বা কর্মকান্ড শুরু করাকে বোঝায়-যা পরিনামে তার স্রষ্টা বা উদ্যোক্তার জন্যেই ধ্বংস কিংবা মহাবিপদ ডেকে আনে। বাংলাদেশ এখন যেন পুলিশী রাষ্ট্র। রিমান্ডে নির্যাতন ,হত্যা. গুম,মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এখন পুলিশের নিয়মিত কাজে পরিণত হয়েছে। সম্ভবত খুব বেশী দুরে যেতে হবে-না বিগত সরকারের মহা-ফ্রাস্কেনষ্টাইন ও এ-সরকারের হাতেই কাবু হয়ে আছেন। ইতিহাসের নির্মম শিক্ষাতো এখানেই!
লেখক-পিএইচডি গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
mrkarim¬_80@yahoo.com
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওয়াক্ফ সম্পত্তি আইন ২০২৫: ভারতের মুসলিম নিধন নীতির আইনগত চাবিকাঠি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৪


ভারত আজ আর গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়—আজকের ভারত এক হিন্দুত্ববাদী নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক প্রকল্প, যেখানে সংবিধানকে অস্ত্র বানিয়ে একের পর এক সংখ্যালঘু নিধন চালানো হচ্ছে। 'ওয়াক্ফ সম্পত্তি আইন ২০২৫' তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ওরিয়ানা ফাল্লাচির সাক্ষাৎকার - Sheikh Mujibur Rahman's interview with Oriana Fallaci

লিখেছেন জনাব রায়হান, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৫

(Interview with History বই থেকে, পৃষ্ঠা ১২২-১৩৫, বাংলায় ভাবানুবাদ)

"১৯৭২ সালে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফাল্লাচি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একটি তীব্র ও বিতর্কিত সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তার বই Interview... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোদির সাথে ডঃ ইউনূসের সাক্ষাৎ এবং.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫০

মোদির সাথে ডঃ ইউনূসের সাক্ষাৎ এবং.....

'সাইড লাইনে সাক্ষাৎ" দেখে যারা উল্লাসে উচ্ছ্বসিত, আনন্দে উদ্ববেলিত....কেউ কেউ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গলাবাজি করছেন- ভারত ভুল বুঝতে পেরেছে, ডক্টর ইউনুস স্যারের কাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনূস বিদেশে দেশকে করছেন অপমান-অপদস্থ

লিখেছেন sabbir2cool, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬


দুর্নীতির কারণে তার যাওয়ার কথা ছিল জেলে, গেছেন তিনি বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টার শপথ নিতে। এটা খোদ মুহাম্মদ ইউনূসের স্বীকারোক্তি ছিল। তার দেশশাসনের আট মাসে বিদেশে যখন গেছেন তিনি, তখন স্বীকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এখানে আর নিরাপত্তা কই!=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩


কোন সে উন্নয়নের পথে হাঁটছি বলো
এই গিঞ্জি শহর কি বাসের অযোগ্য নয়?
শূন্যে ভাসমান রাস্তা-নিচে রাজপথ
তবু কি থেমে আছে যানজট কিংবা দুর্ঘটনা?

দৌঁড়ের জীবন-
টেক্কা দিতে গিয়ে ওরা কেড়ে নেয় রোজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×