somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দোষ না করেও সবার চোখে দোষী? কী করবেন তাহলে ????

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতিটি মানুষের জীবনেই কখনো না কখনো খারাপ সময় আসে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দাঁড়ায় তখনই, যখন মানুষ ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়, দোষ না করেও হতে হয় দোষী। তখন না যায় কাউকে বোঝানো, না যায় নিজের অবস্থান ঠিকমতো পরিষ্কার করা। মোটকথা জীবন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে তার পথ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেকেই। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যখন ভুল না করেও ভুলের শাস্তি পেতে হয়, দোষ না করেও দোষী হতে হয়, তখন ভেঙে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এমনটা যদি ঘটে আপনার সাথে, কী করবেন তখন?
কেন এমন হচ্ছে? :
আপনাকেই সবাই দোষ দিচ্ছে কেন, তা খুঁজে করুন। আসলেই কি আপনি কোনো দোষ করেছেন, নাকি সকলে আপনাকে ভুল বুঝছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। যে কাজের জন্য আপনাকে বারবার দোষী বলা হচ্ছে, সেটা নিয়ে গোড়া থেকে আবার ভাবুন।
সমস্যাটি ঠিক আসলে কোথায়, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ এমনও হতে পারে যে ভুলটা হয়তো আপনারই, কিন্তু তা আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। এমনটা হলে ক্ষমা চেয়ে নিন। আর যদি আপনার কোনো দোষই না থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার নেয়ার রয়েছে বেশ ক’টি পদক্ষেপ।
নিজেকে সামলান :
প্রথমেই নিজেকে সামলাম। অযথা ভেঙে পড়বেন না। ঝোঁকে মাথায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বা কাজ করবেন না যাতে আপনাকে পরে পস্তাতে হয়। অনেকে দোষী না হয়েও পরিস্থিতির চাপে পড়ে নিজেকে দোষী ভাবতে শুরু করেন। নিজেকে অহেতুক দোষারোপ করবেন না। যা হবার তা হয়ে গেছে। বেশি আক্ষেপ করলে তা আপনাকে মানসিকভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন। নিজের মধ্যে যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তা শান্ত হবার জন্য নিজেকে সময় দিন।
প্রমাণ করতে বলুন :
যে বা যাঁরা আপনাকে ভুল বুঝে দোষী সাব্যস্ত করছেন, সম্ভব হলে তাঁর বা তাঁদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন। কথা বলে কোনো সমাধান না হলে বলুন আপনার দোষ প্রমাণ করতে। আপনি যদি আদতেই দোষী না হয়ে থাকেন তাহলে আর আপনার ভয় কী? তবে হ্যা, মিথ্যা প্রমাণাদি দিয়ে যদি আপনাকে ফাঁসানো হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রমাণ করার কথা বলার চেয়ে না বলাই ভালো।
আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন :
আপনি দোষী হন আর না হন, মিথ্যা অপবাদে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে যে কেউ। নিজের প্রতি নিজের হারানো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন। এটা আপনার জন্য খুবই জরুরি। কারণ নিজের উপর ভরসা না থাকলে একজন মানুষের বেঁচে থাকাটা দায় হয়ে পড়ে। আপনি যে দোষী নন, নিজেই নিজেকে বারবার সেটা বোঝাতে থাকুন। নিজের ভালো দিকগুলোর কথা ভাবুন। লোকজনের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখবেন না। বরং মানুষজনের সাথে মিশুন এবং মন খুলে কথা বলুন। নির্ভয় হয়ে কোনো নতুন কাজ শুরু করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস দ্রুত ফিরে আসবে।
আত্মোন্নয়ন করুন :
নিজেক একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আত্মোন্নয়ন করা সবচেয়ে জরুরি। আপনার সাথে যেটাই ঘটে থাকুক না কেন, নিজের আত্মিক উন্নয়ন করুন। নিজের দোষ-গুণ নিয়ে ভাবুন, নিজের আত্মসমালোচনা করুন। নিজের গুণাবলিকে বিকশিত করতে সচেষ্ট হোন। নিজের ভুলগুলো শুধরে নিন। নিজেকে নিয়ে কখনোই নেতিবাচক কিছু ভাববেন না। বরং নিজের প্রতি এবং নিজের কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন।
লোকের কথায় কান দেবেন না :
যারা আপনাকে বিনা করাণেই দোষী হিসেবে চিহ্নিত করছে, তারা স্বভাবতই আপনাকে বোঝে না। যারা আপনাকে বোঝে না, বিপদে আপনার পাশে দাঁড়ায় না, তাদের কথায় কান দেয়া কি উচিত হবে? মোটেও না! আপনার নামে তারা কুত্সা রটাবে, কটু কথা বলবে, এসব আমলে নিলে আপনি নিজেই কষ্ট পাবেন। তাই এসব মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকুন এবং তাদের কথা কানে তুলবেন না মোটেও!
হয়ে উঠুন সুদক্ষ :
আপনি যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, কাজে নিজের দক্ষতা আরো বাড়ান। একজন দক্ষ মানুষের প্রয়োজন থাকে সব জায়গাতেই। তাই আপনার কাছের অভাব হবে না মোটেও। আর একজন দক্ষ মানুষের কাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না সহজে। ফলে তাঁকে হঠাত্ করে দোষী বলতেও দ্বিধা করবে লোকে। তাই নিজেকে কাজ-কর্মে করে তুলুন সুদক্ষ। এর পাশাপাশি আপনার কাজে লাগবে এমন বাড়তি কিছু বিষয়েও নিজের স্কিল বাড়ান। এতে বাড়তি সুবিধা পাবেন আপনি নিজেই।
নিজেই হয়ে উঠুন নিজের অনুপ্রেরণা :
নতুন কাজ করতে, নতুন দায়িত্ব নিতে নিজেকে উত্সাহিত করুন। যা হবে তা ভালোর জন্যেই হবে – এমনটা ভাবলে দেখবেন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবোধ করছেন না। আনন্দ বোধ করেন এমন কাজের সাথে জড়িত থাকুন। মহান ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে জানুন, এতে আপনি অনুপ্রেরিত হবেন। আপনার পাশে যদি কেউ নাও থাকে, নিজের ওপর আস্থা রাখুন যে আপনি একাই সব সামলে নিতে পারবেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নীলপরী আর বাঁশিওয়ালা

লিখেছেন নিথর শ্রাবণ শিহাব, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮

আষাঢ়ের গল্পের আসর

সন্ধার পর থেকেই ঝুম বৃষ্টি। থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে দিনের মত আলো করে। কান ফাটিয়ে দেয়া আওয়াজ। কারেন্ট নেই প্রায় তিন ঘণ্টার ওপর। চার্জারের আলো থাকতে থাকতে রাতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে ক্ষমার অফারের সাথে শর্তগুলো প্রচার হয়না কেন?

লিখেছেন আফনান আব্দুল্লাহ্, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫১

ইসলামে পাহাড়সম পাপও ক্ষমা পাওয়ার যে সব শর্টকাট অফার আছে, সেগুলোতে ব্ল্যাক হোলের মতো কিছু গভীর, বিশাল এবং ভয়ঙ্কর নোকতা যুক্ত আছে। কোনো এক অজানা, অদ্ভুত কারণে হাজার বছরের ইবাদত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা যদি পুড়ি, তবে তোমরাও আমাদের সঙ্গে পুড়বে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:০১


২২ বছর ধরে একচ্ছত্র ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দখল, বিরোধীদের দমন—এরদোয়ানের শাসনযন্ত্র এতদিন অপ্রতিরোধ্য মনে হতো। কিন্তু এবার রাজপথের তরুণরা সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তুরস্ক এখন বিদ্রোহের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চেংগিস খান: ব্লগের এক আত্মম্ভরী, অহংকারী জঞ্জাল

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

ব্লগ জগতে অনেক ধরনের মানুষের দেখা মেলে—কেউ লেখে আনন্দের জন্য, কেউ লেখে ভাবনা শেয়ার করতে, আর কেউ লেখে শুধু নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে। কিন্তু তারপর আছে চেংগিস খানের মতো একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া নষ্ট প্রজন্ম

লিখেছেন Sujon Mahmud, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩৬

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্ষিতা বাঙালি নারীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে, তারা কীভাবে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×