"এ দেশে একটি দারুণ ক্লাব-সংস্কৃতি ছিল। আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্স, বিমান, সূর্য তরুণের মতো ক্লাবগুলো এ দেশের ক্রিকেটের এই পর্যায়ে আসার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈরি করেছে। বিসিবির উচিত ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক না করে ক্লাবভিত্তিক প্রতিযোগিতা হিসেবে বিপিএলের আয়োজন করা।"
-- প্রাক্তন জাতীয় দলের অধিনায়ক, আমিনুল ইসলাম বুলবুল
বিদেশী এন্ডোর্সমেন্ট ব্যাপারটা আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমার এক বন্ধু বিভিন্ন আড্ডায় যুক্তি দিতে গিয়ে প্রায়ই বলতেন - "নিজের মা দেখতে সুন্দরী না হলে তো আপনি অন্য সুন্দরী মহিলাকে মা ডাকতে যাবেন না"। কেন জানি ইদানিং মনে হয় - বাংলাদেশিদের ব্যাপারে কথাটা একদমই খাটে না। যত সুন্দরীই হোক না কেন দেশী মা আমাদের একদমই পছন্দ না। বিদেশটা যদি ভারতও হয়, আর মা যদি সানি লিওনও হয় তাও বোধ করি আমাদের বিদেশি মা চাই।
বাংলাদেশের ক্রিকেট আজকে এগিয়েছে অনেক। এর মধ্যে বিপিএল বা বানিজ্যিক ক্রিকেটের ভুমিকা কতটুকু আর ঘরোয়া এবং প্রাতিষ্ঠিনিক ক্রিকেটের ভুমিকা কতটুকু তা নিয়ে তর্কে যাওয়া অর্থহীন। অসম্ভব ট্যালেন্টেড ছাত্র এস.এস.সি তে মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে পরবর্তি জীবনে বখে গেছে এমন নজীর অনেক। ছাত্রর ব্যাক্তিগত দায়ভার কোনভাবেই অস্বিকার করা যাবে না, কিন্তু পারিপার্শ্বিক দায়িত্বহীন আচরন বিশেষত গাইডেন্সের অভাব যে এই ক্ষেত্রে অনেক বড় ভুমিকা রাখে তা নিশ্চিত।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি হলো - আমরা এখন মাত্র এস.এস.সি পর্যায়ে আছি। এখনও কর্মজীবনে প্রবেশের অনেক বাকি। এখন কন্ট্রোল্ড এক্সপোজার ছাড়া ক্রিকেট অনেকটা বখে যাওয়ে মেধাবি ছাত্রের মতই হবে।