আইন- বিচার/অবিচার
আইন দেখে না সে কোন ধর্মের লোক, আইন দেখে না তার বংশ পরিচয় কি, আইন দেখে না সমাজে তার প্রভাব কতটুকু। আইন সবার কাছেই সমান। যে অপরাধ করবে তাকে আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে। এখানে কোন অবকাশ নেই। যারা এখানে অপরাধীর পক্ষে থাকবে তারাও তার সাথে সমান দোষী। আইন চাই প্রমাণ। প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই অপরাধীর শাস্তি হবে। যদি প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তার বিচার না হয় অথবা বানোয়াট প্রমাণের উপর ভিত্তি করে কোন নির্দোষের বিচার হয়, তাহলে তা হোল অবিচার। আর যেখানে অবিচার থাকে সেখানে আইনের প্রতিষ্ঠা হয়েছে বা হবে এটা হোল সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার। আইনকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে ন্যায় বিচার থাকা আবশ্যক। অপরাধীর অপরাধ প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও যারা তাকে বাঁচাতে চায় এবং যারা তার অপরাধকে সমর্থন জানায়, তাদের মাঝে আর ঐ অপরাধীর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বরং তারা ঐ অপরাধীর চেয়েও বড় অপরাধী। তারা সেই অপরাধের উস্কানি দাতা এবং সেই অপরাধকে আইনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা চায় সেই অপরাধ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। এটা কোন দেশের জন্য মঙ্গলজনক বিষয় নয়। এদিক দিয়ে দেখতে গেলে তারা দেশের বিরুদ্ধেই কাজ করতেছে। যারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, দেশের অকল্যাণ যাদের কাম্য তাদের যদি দেশ দ্রোহী বলি, আমি মনে করি আমার কোন অপরাধ এখানে হবে না। তাদের শাস্তি দাবি করা আমার মত প্রতিটি দেশবাসীর অধিকার। ন্যায় বিচারকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের শাস্তি হওয়া আবশ্যক বিষয় এবং বর্তমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি এটি। অন্যায়, অন্যায়কারী ও অন্যায়কে সমর্থনকারী এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে এবং এদেরকে বিচারের আওতায় আনা হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮