somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত যুগে) সৃষ্টি হয়, তখন মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। এবং যে বা যারা ধর্ম তৈরি করেছে তারা নির্বোধ ও মগজহীন। ইসলাম ধর্ম আসে আরব থেকে। সেই সময় আরবে ছিলো গজব অবস্থা। পুরো আরব ছিলো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। ১৪ শ বছর আগের নির্বোধদের তৈরি কিরা নিয়মে দেশ বা বিশ্ব চলতে পারে না। সহজ হিসাব। মানুষ হবে আধুনিক। মানবিক এবং হৃদয়বান। ধার্মিক হয়ে দেশ বা সমাজের লাভ কি? হতে হবে মুক্তমনা।

সবাই টাকার জন্য জীবন দেয় না।
যাদের টাকা নেই তারাই সারাদিন টাকা টাকা করে। মূলত লোভ জিনিসটা খারাপ। লোভ থেকেই সব সমস্যার শুরু। লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। বিবেক হয়ে যায় বধির। তখন মানুষ টাকার জন্য একের পর এক অন্যায় করে যায়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা মানুষ আয় করে। সে জানে তার সুন্দর ভাবে খেয়েপড়ে বেচে থাকার জন্য এত এত টাকার প্রয়োজন নেই। তবু সে টাকা ইনকাম করে যায় সৎ-অসৎ পথে। বেশির ভাগ মানুষ লোভকে পরাজিত করতে পারে না। মানুষ যদি নিজের বিবেকটাকে জাগ্রত রাখতে পারে তাহলে সমস্ত অন্যায় থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারে। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী কালো দাগ করে ফেললে লাভ কি?

দেশে যখন অন্যায়, অত্যাচার, মন্দ কাজ আর দূর্নীতি বেড়ে যায়-
তখন দেখবেন মসজিদ আর মন্দিরে লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যায়। সমস্ত দূর্নীতিবাজ লোকেরা নিজের অপকর্ম আড়াল করার জন্য ধর্মে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ধর্ম মূলত আফিম। একটা খোলস। যুগ যুগ ধরে ধর্ম মানুষের কোনো উপকার করতে পারেনি। আজকের আধুনিক বিশ্ব তৈরি করেছে মানুষ। সেই গুহা থেকে বের হয়ে মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকের বিশ্ব সাজিয়েছে। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে গাড়ি, বাড়ি ইন্টারনেট, উড়োজাহাজ, মোবাইল ইত্যাদি আবিষ্কার করে দিয়ে যায়নি। ধর্ম ব্যবসা দারুণ মজার ব্যবসা। পুজি ছাড়া ব্যবসা। ধর্মের কারণে সেই সামন্ত যুগ থেকে আজও মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ধর্ম না থাকলে পৃথিবীটা অনেক বেশি আনন্দময় হতো। বিশ্বে মুসলিম দেশ গুলো ভালো নেই। ধর্মহীন দেশ গুলো আজ উন্নত। এবং মানবিক।

লোকজন ভিতরে ভিতরে ঠিকই জানে ধর্ম ধর্ম করে কোনো লাভ নাই।
ধর্ম তাকে কোনো বিপদআপদ রক্ষা করবে না। ধর্মের আছে শুধু মুখভরা বুলি। মৃত্যুর পর তোমাকে হেন দেওয়া হবে, তেন দেওয়া হবে, আরাম আর আরাম। হাবিজাবি লজিকহীন অনেক কথা। মানুষ জানে, মানুষ বুঝে গেছে মুখের কথায় চিড়া ভিজে না। ১৪ শ বছর আগের রুপকথাতে মানুষ বিশ্বাস করে না। এখন বিজ্ঞানের যুগ। টেকনোলজির যুগ। এই যুগে শিক্ষিত ও রুচিশীল মানুষেরা ধর্মের রুপকথা বিশ্বাস করে না। বিজ্ঞান ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। পুরো কোরআন মুখস্ত করলে কোনো লাভ নাই। আপনাকে জানতে হবে বিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, ফিজিক্স, অংক আর কেমিস্ট্রি। কোরানে হাফেজরা সমাজের জন্য বোঝা।

মানব জীবন একটাই।
তাই একজীবনে মানুষ অনেক কিছু করতে চায়। বর্তমান যুগের মানুষ মৃত্যুর পর কি হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত নয়। তারা জীবিত থাকতেই পৃথিবীর রুপ রস গন্ধ সমস্ত কিছু উপভোগ করে নিতে চায়। ধর্ম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে মানুষ তাদের বর্তমান সময়টা নষ্ট করতে চায় না। মানুষের দরকার কাজ, মানুষের দরকার টাকা। ধর্মের বুলি মানুষকে আজ সন্তুষ্ট করতে পারছে না। আধুনিক বিশ্বকে বুঝতে হলে চাই জ্ঞান। চাই পড়াশোনা। বিশ্ব কোথায় এগিয়ে গেছে সে সম্পর্কে ধার্মিকদের কোনো ধারণা নেই। ধার্মিকদের কর্মকাণ্ড বড়ই হাস্যকর। এরা ওজু করতে গিয়ে বেসিনের উপর পা তুলে দেয়। এরা প্রস্বাব করে সকলের সামনে নুনু ঘষতেই থাকে। এরা শুক্রবার রাস্তা বন্ধ করে উঠবস করে। সমাজকে কি করে এগিয়ে নিতে হবে তা ধার্মিকরা জানে না।

আমাদের দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠিত হলে কি হবে?
খুন, ধর্ষণ, চুরী, দূর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে? দেশে ভিক্ষুকদের ভিক্ষা চাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? দরিদ্র অসহায় মানুষদের রাস্তায় ঘুমানো বন্ধ হয়ে যাবে? মন্দির ভেঙে দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? সরকারি হাসপাতালে থেকে দালাল দূর হবে? দরিদ্র পিতামাতার সন্তানরা স্কুলে ভরতি হওয়ার সুযোগ পাবে? গরীব মানুষেরা চিকিৎসা পাবে? নারীরা নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবে? জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে? দেশে বেকার কমে যাবে? গার্মেন্টসের মেয়েরা ন্যায্য সেলারি পাবে? চাদাবাজী বন্ধ হবে? পরকীয়া বন্ধ হবে? ফুটপাত দখল মুক্ত হবে? চাটুকারিতা আর দালালি বন্ধ হবে? গরীবেরা তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারবে? এসব কিছুই হবে না। তাহলে মানুষ দেশে ইসলামি আইন কেন প্রতিষ্ঠিত করবে? ইসলামি আইন হলে দেশে গজব অবস্থা হবে। দেশ হয়ে যাবে আফগান। নারীরা পড়বে মহা বিপদে। কাজেই দেশে ইসলামি আইন হওয়া মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×