মধ্যবিত্তের ছাদ নেই
মধ্যবিত্তের ছাদ থাকার নিয়ম নেই
দুই অবিন্যস্ত অট্টালিকার অন্ধকারের ফাঁকে
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির নোংরা জল ছোঁয়
যে জল অট্টালিকার গা ধুয়ে বেয়ে নামে
ছিটে ফোঁটা দেয়ালের গায়ে বাধা পেয়ে ছিটকে আসে
তাতেই মনের সুখ হয়
যেন ফিরে আসে-বৃষ্টিতে গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া সেই বাল্যকাল
মধ্যবিত্ত তাতেই হাত ভিজায়
হয়তো বদনে তার ঠাণ্ডা পরশ বুলায়
মধ্যবিত্তের আকাশ দেখার বিলাসিতা নেই
তবু যে ফাঁক গলে কল্পনার আকাশ জুড়ে থাকে
উচ্চ বিত্তের বিলাসের রসদ জোগানো কারখানার
সেই ফাঁক গলে ঢুকে পরে প্রচণ্ড ঝড়ের সামান্য বাতাস
তাতেও টের পায় না বারান্দায় ঝুলে থাকা উইন্ডচাইম
তবু সান্তনা বাইরে বৃষ্টিই হচ্ছে
আর হৃদয়ে বজ্রপাত
হয়তো সেই দেয়াল ভেদ করতে পারে না মাঘের শৈত্য প্রবাহ
তবু মাথার উপরে ঘুরতে থাকে মধ্যবিত্তের বিলাসবহুল তিন ব্লেডের পাখা
১৬ জুলাই