(পূর্বকাহিণী--মাস্টারস এডমিশন এর অপেক্ষায় অতিষ্ট লেখকের আকুতি)
নারকেলের পানি
হে মহারাজা,
কোথায় তোমার তিলের খাঁজা
কুড়কুড় গন্ধে, মোহিণী আঁচে, নারকেল তেলে যা হয় ভাঁজা,
ঘ্রাণের সরষে, নীরব আসক্তিতে...গাঁজা কে হার মানায় যে খাঁজা...
কোন বন্দরে, কার অন্তরে রেখেছ তা তরতাজা,
তার হলুদাভ দ্বন্তদ্বয় কি close up দিয়ে মাঁজা?
তবে কেন?
কেন দিচ্ছ তুমি সাঁজা?
কুহিণী নরম এই মনে... কোকিলের প্রান্তিক সুর, বাঁজে না কেন রাজা?
এবার কি তবে... বসন্ত রইবে কাজা?
(Intermission)
হায়রে রাজা,
তুমি যদি দিতে তিলের খাঁজার অভয়,
দেখতে তবে চন্দ্রিমায় বসন্ত কারে কয়
সাগরে নামত ভেলা আর আকাশে wright ভ্রাত্রদ্বয়,
বৈশাখ বেলায় ধরণীর বুকে হত বর্ষার অশ্রুজয়।
হায়! নামতো বাদল, ফুটতো বকুল আর বইতো ফাগুন ধরাময়,
গাইত কোকিল প্রাপ্তির গান--“ভালবাসায় কি না হয়...”
শালিক, ঝিনুক, শশুক, বাদুর কেবলই গাইতো তোমার জয়।
ডাবের পাতায়, নীরব ব্যাথায় হত না নারকেলের পানিক্ষয়,
হায়! কি হত আর কি নয়!
মাশরাফীকে ওরা করতো ভয় আর… আশরাফুল মারতো ছয়।
হে মহারাজা,
তোমার সুরেই তো সুরভিত এই আলো-আধাঁরির লয়,
এই পাপীর ললাটে দানের মলাটে একটি খাঁজা যেন রয়।