ঋতি,
তোমার চিঠিতেই বুঝে নিয়েছি কেমন আছো তুমি তাই আর প্রশ্নটা নাইবা করলাম। কদিন ধরেই ভাবছি কি লিখবো তোমাকে! হা..হা..হা.. এখন তোমাকে কিছু লিখতে হলেও আমার ভাবতে হয়। কিছুই ভেবে পেলাম না (আসলে কেন যেন তোমার চিঠির উত্তর দেবার ইচ্ছাটা নষ্ট হয়ে গেছে..তবুও জোর করে লিখছি শুধু লিখার জন্য) তাই আজ লিখা শুরু করে দিলাম। ঈয়সী আজকের দিনটা তোমার মনে আছে। নাকি জোর করে ভুলে গেছ? আজ ১৯শে মার্চ আমার জন্মদিন। জানো সেই যে এক জন্মদিনে ভোরে চা বাগানের পাশে হাটতে হাটতে কথা বলেছিলাম সেটা আজও মনে পড়ে। তোমার অভ্যস ছিল ভোরে ওঠা। ভোরে ওঠে তুমি একা একা ছাদে হাটতে হাটতে আমার সাথে কথা বলতে। হঠাৎ তোমার কথা ফুরিয়ে গেল নাকি তৃষিতার কথাই সত্যি “ঈয়ষী ওকে তুই ভুলে যা , সে তোর জন্যে না। স্বার্থ ফুরিয়ে গেছে তোর।”
কিন্তু আমার কাছে কি স্বার্থ থাকতে পারে তোমার? সে তুমিই ভালো জানো।
জানো ঋতি আমি এখন প্রায় ২/৩ বছর ধরে সিগারেট খাইনা। একেবারেই ছেড়ে দিইনি ২০১১ এ ৪/৫ টা খেয়েছি। সিগারেট কি জিনিস? আমার সবচেয়ে বড় নেশা ছিলে তুমি। যখন তুমিই আমাকে ছেড়ে গেলে সেই বিচ্ছেদ যখন সইতে বাধ্য হলাম তখন আর কোন নেশার কি দুঃসাহস আমাকে কাবু করে?
এবার আসি তোমার চিঠিতে ও হ্যাঁ তার আগে ধন্যবাদ দিই তোমাকে মুলত তোমার জন্যই আমি পরিচিত হয়েছিলাম রবি'দার সাথে।
আমার সাথে থাকলে কেমন থাকতে তা একমাত্র স্রষ্ট্রাই ভালো বলতে পারে। তবে একই ছাদের নিচে থাকার অসম্মতিটা তো তোমার কাছ হতেই আসেনি?
কালপুরুষ? না ঈয়ষী আমি কখনই তা হতে চাইনি। সে যোগ্যতা আমার নেই। তাই আমি চাইনি তুমি মাধবীলতা হও। কারন তুমি যে শুধুই তুমি।
আমাকে ভালবাসো কিনা তা আমাকে নয় নিজেকে জিজ্ঞেস করো। ঠিক উত্তর পাবে। তবে জানো তুমি চলে যাবার পর জামাইবাবু আমাকে একদিন প্রচন্ড তিরষ্কার করে বলেছিলেন "ঋষি তুমি ঋতিকে যতটুকু ভালোবাসো তার ১০ ভাগও যদি ঋতি তোমাকে ভালোবাসতো তবে........" জানিনা তবে হয়তো আমি তোমাকে তোমার মতো করে ভালবাসতে ব্যার্থ হয়েছি।
তোমাকে ভালবেসেছি তাই তোমার সবটুকুকেই গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম কপোলের আর্শিবাদ...ঠোটের কোমলতা....হৃদয়ের উন্ষতা সবটুকু...কি বোকা আমি...আমি ভেবেছিলাম তোমাকে ভালবাসি তাই সে অধিকার আমার আছে। মনে আছে পাহাড়ী রাস্থার ধারে ঘাসের উপর বসে যেদিন তোমায় প্রথম আদর করতে গেলাম....আমার কি দোষ বলো একে তো হৃদপিন্ডটা এতো লাফাচ্ছিল..তার উপর জীবনে প্রথম বার কাউকে....তারপর মনে আছে এর পরের বার যা ছিল আমাদের দ্বিতীয় এবং শেষবার...সেই ক্লাবঘরের পেছনের সিড়িতে...সেখান থেকে আসার পথে রিকসায় যদিও সেগুলোর জীবদ্দশা ছিল ৪/৫ সেকেন্ডের তবুও এখনও মনে পড়লে যেন সেই মুহুর্তে ফিরে যাই...শুরু হয় টপটপ বৃষ্টি...তবে এখন আর কেউ সেই বৃষ্টি দেখতে পায়না কারন এখন সব মেঘ যে হৃদয়ের গভীরে জমে আছে..ভাবছো এতো কিভাবে আমার মনে আছে..? ঈয়ষী তুমি তোমার তোমাকে নিয়ে গেছ...কিন্তু আমার তুমিতো আমার মনের গোপন বিজন কোনে এখনও বীনা বাজিয়ে চলেছ..। ঋতি আজ এখন আর লিখতে ইচ্ছে করছে না কেন জানি খুব রাগ লাগছে...এখন গেলাম বাকিটুকু পড়ে লিখবো..
চলবে................................................
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:২২