পিকনিক যাবো....পিকনিক যাবো....কিন্তু যাওয়া তো হয়না.. !!
ভাবলাম সামুর সাথে পিকনিক হবে। কিন্তু হায় মাঝখান থেকে তিড়িং বিড়িং ২/৪ টা মন্তব্যের আপাতত পিকনিক স্থগিত..কি আর করা মনের দুঃখ সাথে প্রচন্ড শীত তাই চুপচাপ অপেক্ষা।






অবশেষে







যাত্রা শুরুঃ
মোট ২৩ টি বাস শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সকাল ৯.৩০ মিনিটে মিলিত হলো সিলেট শহরের শাহী ঈদগাহস্থ কোম্পানীর স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে। সেখান হতে প্রায় ১২০০ জনের বিশাল বাহিনী নিয়ে ১০.০০ শুরু হলো যাত্রা উদ্দেশ্য জাফলং .......বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ক্যাম্প.....
যাত্রা পথে জৈন্তা পার হয়ে একস্থানে বাস থামল কিছু সময়ের জন্য সবার হাতে পৌছে গেল ৪পিস পাউরুটি+০১টি সেদ্ধ ডিম+০১টি মিস্টি+০১টি আপেল সমৃদ্ধ নাস্তার বাক্স ও পানির বোতল।শ্রীপুর পিকনিক স্পট পার হয়ে পথের দুদিকের মনোরম পরিবেশ দেখে খেতে খেতে সারিঘাট পৌছে গেলাম চোখে পড়লো ভারতের সীমানার পাহাড়।আর একটু এগোতেই কয়লার স্তুপ ও পাথর ভাঙ্গানোর মেশিন...আরেকটু সামনে গিয়েই বামে মোড় নিয়ে ঢুকে গেলাম ক্যাম্পের পথে....
বাস থামল ১১.২০ এ নেমেই সবাই হালকা হবার জায়গা খুজতে লাগলে পাশেই ছিল পরিত্যাক্ত একটি দালান সেখানে ছুটে গেলাম আমরা সাত জন। বের হয়ে এলাম হাতে ক্যামেরা!!!!***** নিয়ে ব্যাস শুরু হয়ে গেল ছবি তোলা। বলা হলো দুপুর ২টার দিকে খাবার দেয়া হবে। তাই সবাই গেলাম ঘুরতে।
ঘোরাঘুরিঃ
এর আগেও আমরা সবাই জাফলং গিয়েছি কিন্তু ক্যাম্পে যাবার অনুমতি পাইনি তাই আগে ভালে করে ক্যাম্পের চারপাশটা একটু দেখে নিলাম। এরপর পাহাড়ী পথ ধরে হেটে চললাম জাফলং বাজারের দিকে। সাথে চলতে থাকলো মডেলিং.....পোজিং ....একরাশ দুষ্টুমি...
বাজারে গিয়ে নদীর পাশে একটু ঘুরে কাজ (!) সেরে আবার চলে এলাম পাহাড়ে। এবার গেলাম ক্যাম্পের শেষ প্রান্তে যেখান থেকে ভারতের শুরু। পাহাড়ের উপর থেকে ডাউকি নদী। নদীর উপর দিয়ে ট্রাকের চলাচল, পাথর তোলা এবং প্রকৃতি দেখতে দেখতে কেমন যেন নেশা ধরে গেল। হঠাৎ শুনতে পেলাম খাবারের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সবাই ছুটে গেলাম খাবার আনতে। খাবার নিয়ে আগে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে সবার থেকে দুরে পাহাড়ের উপর গাছের ছায়ায় চলে গেলাম। অনেক সময় নিয়ে পোলাও+রোস্ট+খাসির মাংশ দিয়ে পাহাড় ভোজন করলাম। এবার একরাশ কান্তি তাই ১৫/২০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবার মডেলিং.....পোজিং....একরাশ দুষ্টুমি... এবার এর সাথে যোগ হলো বাদরামি। ৪টার দিকে আমাদের দলটি ভাগ হয়ে গেল। একদল ব্যাস্ত থাকলো তাদের কাজে অন্যদল চলে গেল কুপন+হাউজি খেলায় অংশ নিতে। কুপনের জন্য লটারীর মাধ্যমে ২০ জনকে পুরষ্কৃত করার পর শুরুহলো হাউজি খেলা।
কুইজ ও হাউজি খেলাঃ
এটি একটি কাগজে খেলতে হয়। কাগজটিতে ০৬টি হাউজ থাকে প্রতিটি হাউজে ছোট ছোট ৩০টি ঘর থাকে এর মধ্যে ১৫টিতে থাকে ১৫ টি নাম্বার। ০৬টি হাউজে ১-৯০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলে হযবরল করে দেয়া থাকে। মাইকের নাম্বার ঘোষণার সাথে সাথে ঐ নম্বরটি কাটতে হয় এভাবে আড়াআড়ি করে একই লাইনের ০৫টি নম্বর মিলে গেলই পুরষ্কার এভাবে দুই লাইন মেলানোর পর ০৩টি লাইন বিশিষ্ট একটি হাউজ মিলে গেলেই খেলা শেষ।
ফেরার পালাঃ
কুইজ ও হাউজি খেলা শেষে বিকেল ৫ টার দিকে ফেরার ঘন্টি বাজল। সবাই যে যে বাসে করে এসেছিল ঠিক সেই বাসেই আবার তার জায়গায় হাজির। শুরু হলো ফেরার যাত্রা তবে এবার শুধু আমরাই ফিরলাম না সূর্য্যি মামাও আমাদের সাথে ফিরে গেল আবার আসবে বলে।
ও আচ্ছা এবার ছবি ও দেখাতে হবে? ওকেস...... দেখেন
সব ছবি মেলা...................
১. আরে দাড়া একটু ফিট হয়ে নিই......




২.ওরে বাপ এইডা আবার কি.....



৩.দেখেন কি সুন্দর জাফলং স্পেশাল ঘোড়া উইথ রাইডার....




৪. দেখেন একজনের প্রায় সর্বনাশে অন্যজনের হাসি....







৫. বাদরামির আবার বয়স কিসের....?





৬. এবার একটু প্রকৃতি প্রেম.......
৭. আমাদের ফেরার প্রতীক্ষায় আমাদের বাহনসমুহ....
৮. প্রধান পিকনিক ছাউনি...
৯. কি পড়া এর পর ছবি দেখা ক্ষুধা লাগছে....নো প্রবলেম সবার জন্য খাবার আছে.....
আগে আপারা সবাই বড়ই খান.........
ভ্রাতা গন আপনার রাগ করিবেন না.....আপনার আজিজুল হকের ঝালমুড়ি খান...(ঝালছাড়া-কারন আমি ঝাল খেতে পারিনা)
১০. এবার বিদায় বেলা....
১১. যারা এতো কষ্ট করে পড়ছেন লগে দেখছেন তাগো লাইগা লেখকের পক্ষ থাইকা একখান ফুল সাথে গাছ একদম ফ্রি...
১২. ওহ আইচ্ছা লেখকরে দেখেন নাই...আইচ্ছা দেখেন ওই যে R এর মাঝখানে দেখা যায়....
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৬