বছরের এই মাষ গুলো (নভেম্বর & ডিসেম্বর) আসলে আমার স্কুল জীবনের কথা খুব মনে পরে, বিশেষ করে বিকালের দিকে, বাইরে তাকালে মনে হয় ফাইনাল পরীক্ষা চলছে...। বাড়ি ফিরছি, পরীক্ষা শেষে।
কেমন যেন একটা অনুভূতি, ঠিক আপনাদেরকে বলে বুঝাতে পারবনা।
তখন আমি ক্লাস সেভেন এ পড়ি। আমাদের স্কুলে একাটা দেয়াল পত্রিকা বের হবে। সব ক্লাসে জানিয়ে দেয়া হল, যারা যারা কবিতা লিখা দিতে চায়, তারা যেনো তাদের ক্লাসের বাংলা স্যারের কাছে জমা দেয়। কবিতার বিষয় ছিল "শ্রাবণ "।
আমার খুব সখ হল যে আমি একটা কবিতা লিখা দেই, কেননা আমি কবিতা বরাবর ই খুব পছন্দ করতাম। তাই আর এই সুযোগ হাত ছারা না করে সাহষ করে লিখে দিলাম একটা কবিতা 'শ্রাবণ ঋতু' নিয়ে.. আর সেটাই আজ আপনাদের সাথে সেয়ার করছি, দয়া করে হাসবেন না প্লিজ..প্লিজ.প্লিজ.প্লিজ.প্লিজ.প্লিজ.
"শ্রাবণের খেলা"
প্রকৃতি সেজেছে এক নতুন সাঁজ
ওরে শ্রাবণ এসেছে যে আজ।
কৃষাণ বসে থাকে ঘরের কিণারায়,
আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাঁকা যে রয়।
সূর্য্য মামা উঁকি মারে কালো মেঘের ফাঁকে,
আলোর আশায় সবাই বুক বাঁধে।
মরিয়া হয়ে ওঠে সব গাছ,
ওরে শ্রাবণ এসেছে যে আজ।
চারিদিকে ঝরিছে বারি ধারা,
পাখি গুলো সব ফিরছে বাসায়, হয়ে দিশাহারা।
আকাশে একরাশ কালো মেঘের ভেলা,
নদীতে বিষম ঢেউয়ের খেলা।
মাছ ও ব্যাঙ ধরেছে নতুন নাচ,
ওরে শ্রাবণ এসেছে যে আজ।
এমন দিনে কে না ঘরে বসে রয়?
গল্প শোনার কার না ইচ্ছে হয়?
এক সময় গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যাই মোরা,
আবার শুরু হয়ে যায় শ্রাবণের ধারা।
এরুপে প্রকৃতি যখন হয় ক্লান্ত,
শ্রাবণ তখন তাকে দেয় ক্ষান্ত।
....তো সবাই কবিতা জমা দিল। যথারীতি দেয়াল পত্রিকা বের হল..কিন্তু একি আমার কবিতা ! ...আরে...
কোথায়, কই, কোথাও তো দেখছি না...
এরপর থেকে কবিতা লিখা চালিয়ে গেছি, কোথাও ছাপা হক বা না হক, তবে এই সাইট টা থাকায় আমার আশা পূর্ণ হয়ে গেছে। তার জন্য আমি আমার এক বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই, সে ই প্রথম আমাকে এই সাইটের ঠিকানা দিয়েছে। আরও ধন্যবাদ জানাই যারা এই টা ডেভেল্প করেছেন।