নিশ্চয়ই যারা বলে, আমাদের রব হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি অতঃপর যারা ইস্তিকামত বা অটল থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান এনে উনাদের মত ও পথ মুবারক গ্রহণ করে যারা অটল থাকবে, তাদের জন্য জান্নাত উনার সুসংবাদ রয়েছে।
আর যারা অটল থাকতে পারবে না, তাদের জন্য লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ব্যতীত কিছুই থাকবে না।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারা (বান্দা-বান্দী, উম্মত) যদি মু’মিন হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, তারা যেনো মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট মুবারক করেন। কারণ, উনারাই হচ্ছেন সুন্তুষ্টি মুবারক পাওয়ার সমধিক হক্বদার।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মু’মিন-মুসলমানের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি এবং উনাদের মুবারক দীদার ও মুবারক যিয়ারত লাভই হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। এই মহান নিয়ামত বান্দা-বান্দী ও উম্মত দুনিয়াতেও লাভ করবে এবং আখিরাতে জান্নাত উনার মধ্যে অনন্তকাল ধরে লাভ করবে, যদি তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মত ও পথ মুবারক উনার উপর ইস্তিকামত বা অটল থাকতে পারে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই যারা বলে, আমার রব হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি অতঃপর ইস্তিকামত থাকে। তাদের প্রতি সুসংবাদ নিয়ে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নাযিল হন এবং বলেন, আপনারা কোনো ভয় করবেন না এবং চিন্তাও করবেন না। বরং আপনারা ঐ জান্নাত উনার সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যার ওয়াদা আপনাদেরকে দেয়া হয়েছে। আমরা দুনিয়াতে আপনাদের সাথী থাকবো এবং পরকালেও সাথী থাকবো। আপনাদের যা কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা রয়েছে এবং যা কিছু আপনারা চাইবেন সবই আপনাদের জন্য জান্নাত উনার মধ্যে মওজুদ রয়েছে। এসব পরম করুণাময় ও দয়ালু মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মেহমানদারী।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বান্দা-বান্দী ও উম্মত মানযীলে মাকছূদে পৌঁছার জন্য প্রধানতম শর্ত হচ্ছে ইস্তিকামত থাকা। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিল করতে হলে, জান্নাত উনার এবং উনার যাবতীয় নাজ-নিয়ামত লাভ করতে হলে হক্ব মত ও পথ মুবারক উনার উপর পরিপূর্ণরূপে ইস্তিকামত থাকতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যারা হক মত ও পথ মুবারক উনাদের উপর অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মত-পথ মুবারক উনাদের উপর ইস্তিকামত থাকতে পারে না, তারা পাপ ও গুমরাহীর পথে ধাবিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হকমত ও পথ মুবারক উনাদের উপর ইস্তিকামত থাকা মহান আল্লাহ পাক উনার এক বিশেষ নিয়ামত ও রহমত। এজন্য এ নিয়ামত ও রহমত পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার যারা প্রকৃত ওলী তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু রয়েছেন উনাদের ছোহবত গ্রহণ করতে হয়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত যারা মুহসিনীন বা আল্লাহওয়ালা উনাদের কাছে রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইস্তিকামতের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। উনারা হক পথ মুবারক উনার জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি, আহলিয়া বা আহাল পরিজন এমনকি নিজেদের জীবন কুরবানী করে দিতে পরওয়া করেননি। আর উনাদের এই কুরবানী করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমতপূর্ণ ছোহবত মুবারক উনার উছিলায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই সেই রহমতপূর্ণ ছোহবত মুবারক উনার হিসসা লাভ করতে হলে যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ক্বায়িম-মক্বাম, নায়িব ও ওয়ারিছ হিসেবে যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন উনাদের বরকতপূর্ণ ছোহবত মুবারক লাভ করতে হবে। তবেই ইস্তিকামত থাকা সহজ ও সম্ভব হবে।