নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই পাঁচ রাতে দুয়া কবুল হয়ে থাকে, ১. রজব মাসের পহেলা রাত, ২. শবে বরাত, ৩. শবে ক্বদর, ৪. ৫. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার রাত।
দোয়া কবুলের পাঁচটি বিশেষ রাত্রির মধ্যে পহেলা শাওওয়ালের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের রাতও একটি।
কাজেই বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, চাঁদ দেখে মাস শুরু করা।
স্মরণিয়, মানুষ প্রথমত: চাঁদের তারিখ গণনার ত্রুটির কারণে পহেলা শাওওয়ালের রাতের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত: পহেলা শাওওয়ালের রাতের মর্যাদা ও ফযীলত না জানার কারণে এবং এই রাতের গুরুত্ব না বুঝার কারণে, এই রাতের নিয়ামত হাছিল করতে ব্যার্থ হচ্ছে।
অতএব, সমস্ত মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, পহেলা শাওওয়ালের ফযীলত ও মর্যাদা জেনে এবং গুরুত্ব অনুধাবন করে শরীয়তবিরোধী আনন্দ-উল্লাস থেকে বিরত থেকে শরীয়তসম্মতভাবে এই রাত অতিবাহিত করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দোয়া কবুলের পাঁচটি বিশেষ রাত্রির মধ্যে পহেলা শাওওয়ালের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের রাতও একটি। কাজেই বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, চাঁদ দেখে মাস শুরু করা। স্মরণিয়, মানুষ প্রথমত: চাঁদের তারিখ গণনার ত্রুটির কারণে পহেলা শাওওয়ালের রাতের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত: পহেলা শাওওয়ালের রাতের মর্যাদা ও ফযীলত না জানার কারণে এবং এই রাতের গুরুত্ব না বুঝার কারণে, এই রাতের নিয়ামত হাছিল করতে ব্যার্থ হচ্ছে। অতএব, সমস্ত মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, পহেলা শাওওয়ালের ফযীলত, মর্যাদা জেনে এবং গুরুত্ব অনুধাবন করে শরীয়তবিরোধী আনন্দ-উল্লাস থেকে বিরত থেকে শরীয়তসম্মতভাবে এই রাত অতিবাহিত করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পহেলা শাওওয়াল-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সউদী সরকার রমাদ্বান শরীফ মাস চাঁদ না দেখে মনগড়াভাবে শুরু করাতে ত্রিশতম দিনেও সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। অথচ এটা শরীয়ত এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের আলোকে অসম্ভব একটি বিষয়। সউদী আরব ২২ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ২০শে জুলাই ২০১২ ঈসায়ী, শুক্রবার থেকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ শুরু করাতে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ তালাশ করবে ১৯ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৭ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, শুক্রবার। সউদী আরবের পবিত্র মক্কা শরীফ-এর সময় অনুযায়ী অমাবস্যা সংঘটিত হবে ১৯ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৭ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, শুক্রবার ৬টা ৫৪ মিনিটে। অথচ সেদিন মক্কা শরীফ-এ সূর্যাস্ত ৬টা ৫২ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৩২ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই চাঁদ অস্ত যাবে আবার সূর্যাস্তের পরে অমাবস্যা শুরু হবে। সুতরাং ২০ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৮ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, শনিবার থেকে সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাস শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আবার যদি সউদী আরব পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করে, তবে ২০ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৮ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, শনিবার সূর্য অস্ত যাবে ৬টা ৫১ মিনিটে আর চাঁদ অস্ত যাবে ৭টা ১৩ মিনিটে। অর্থাৎ মাত্র ২২ মিনিট চাঁদ আকাশে অবস্থান করবে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদের উচ্চতা হবে মাত্র ৪ ডিগ্রি ২৯ মিনিট। সুতরাং ত্রিশতম দিনেও চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে, সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাস সঠিক তারিখে শুরু হতে যাচ্ছে না। অর্থাৎ সেদেশে অবস্থানরত সকল মানুষ পহেলা শাওওয়ালের দোয়া কবুলের রাতের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশ পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ২০ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৮ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, শনিবার। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ২৯ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৪৪ মিনিটে অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য হবে মাত্র ১৫ মিনিট। সেদিন দিগন্তরেখার উপর চাঁদের অবস্থান হবে মাত্র ৩ ডিগ্রি ১৪ মিনিট। সেদিন বাংলাদেশে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।