অনেকদিন আগে ব্লগ লিখেছি। যা মনে আসে তাই লিখি এখানে। অনেকটা খেরো খাতা। খেরো খাতা মানে কি? যা হোক - বাংলা লিখার বা পড়ার মধ্যে আরাম আছে। এইটা লিখে বুঝানো যাবে না।
--
সেদিন পাইক্কা দোকান থেকে গরুর মগজ ভুনা কিনে আনলাম। পাইক্কাদের দোকানের এই খাবারটা অনেক মজা। পরাটা দিয়ে অনেক মজা করে খাওয়া যায়। বেশ ঝাল ঝাল। যাই হোক এইটা খাওয়ার পর চিন্তা করলাম বাসায় বানায় দেখি কেমন হয়। অনেকখন(বানান ভুল) ধরে রেসিপির বইটা খুজলাম। আরে ধুর -কাজের সময় কিছুই হাতের কাছে পাওয়া যায় না। যাই হোক। প্বথিবী আমার হাতের মুঠোয়। মুহাহা। ইউটিউব। পেয়ে গেলাম। একটা না দুইটা না। শ-খানেক। আচ্ছা দেখিত? গরুর ভুরি রান্মা করা পদ্ধতি আছে কিনা? তাও আছে। এখন খালি বাকি - গরুর মগজ খুজে বের করা আর কিনে রান্না করা। আর মনে মনে নিজের রান্না করা মগজ খেতে এত মজা যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না!
--
পোলাপান নিয়া হাটতে বের হইছি। এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি। পোলাপান গুলি ঘরে বসে থাকতে থাকতে শিকড় গজানোর অবস্হা। যাই হোক হাটতে হাটতে পেটসপের সামনে চলে আসছি। এখন মেয়ের বায়না পেটসপে ঢুকবে। আর আমিও ঢুকব না। একটা বিশ্রি গন্ধ থাকে। যহোক -মেয়ের স্বভাব - মায়ের মতো। মুখের থেকে বের হইছে তো কি-এইটাই করতে হবে। পেটসপে ঢুকলাম। এসে থামলাম - বিড়ালের খাচার সামনে। এখন একটা বিড়াল তাকে কিনে দিতেই হবে। অামি বিড়াল একদম দেখতে পারি না। আকামা একটা প্রানি। আর এটার খাওয়া, চিকিৎসার খরচ! আমার মাথায় বাড়ি। পাচ বছরের মানুষটার সাথে বাকযুদ্ধ করার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মোদিনি টাইপ। অথবা এমন কিছু একটা কথা আছে..যাই হোক..কেমন যুদ্ধ হল - কে হারল, কে জিতল সেটা নাই বা বললাম। শুধু এইটা বলি - একটা বিড়াল মিউ মিউ করে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
----
মাঝে মাঝে মনে হয় কবিদের মাথায় এত সুন্দর করে কথা কি করে আসে?
"শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র জীবন।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
অহংকারে মুছে যাবে সকল দীনতা।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
স্পর্শসুখে লিখা হবে অজস্র কবিতা।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
শুধু একবার পেতে চাই অমৃত আস্বাদ।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
অমরত্ব বন্দী হবে হাতের মুঠোয়।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
তারপর হব ইতিহাস।"
---- নির্মলেন্দু গুণ