১/১১ এরপর আমাদের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে কম ধোয়া-মোছা চলেনি।সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীকে জেলে যেতে হয়েছে।দূর্ণীতির বিরুদ্ধে অভিযানের নামে আমাদের রাজনীতিবিদদের কম শায়েস্তা করা হয়নি। কারও কারও জীবন এখনও সংকটাপন্ন। দেশের মানুষকে দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতী আর জরুরী অবস্থার যাতাকলে কম ভোগতে হয়নি। সবশেষে আমরা আশা করেছিলাম এইবার বোধহয় রাজনীতিবিদরা একটু বদলাবেন। হয়তবা আমরা নতুন ধারায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার বুকে নিয়ে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করব। চামচামি আর লেজুর বৃত্তির অবসান চেয়েছিল সবাই।কালো টাকা আর পেশী শক্তির রাজনীতির যবানিকা দেখতে চেয়েছিল সবাই। কিন্তু তা বাস্তবে কতটুকু প্রতিফলিত হবে তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে বিশাল সংশয়।
আর তারই একটি নজির চোখে পড়ল আজ। আজ দেশে ফিরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে আওয়ামীলীগ ও তার বিভিন্ন অংগসংগঠনগুলি। এয়ার পোর্টে তাকে সংবর্ধনা দিতে ১০ লাখ লোক জড়ো করার অগ্রিম ঘোষনা আগেই দেয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনা হয়েছে। আমাকে অবাক করেছে এই লোকগুলি আনার প্রক্রিয়া। আমার বাসা এয়ারপোর্টের ঠিক পাশেই তুরাগ থানায়। এইখান থেকেও বিশাল একটি মিছিল যায় ঐ সংবর্ধনায়। আমি অন্য এলাকার কথা বলতে পারবনা তবে মিছিলের এই লোকগুলির পরিচয়টা একটু বলতে চাই। তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন রয়েছে যারা আওয়ামীলীগের নেতা, কর্মী আর বেকার সমর্থক আর বাকী বিশাল অংশের প্রায় সবাই হয় রিকসা চালক, ঠেলাগাড়ী চালক আর নয় দিনমজুর।
সমর্থক থেকে শুরু করে বাকী যে বিশাল অংশের কথা বলা হলো এদের সকলকেই টাকার লোভ দেখিয়ে আনা হয়েছে সংবর্ধনা মিছিলে, আগেও যেমনি আনা হতো। এই লোকগুলির অধিকাংশই সংবর্ধনাতে জানাতে গিয়েছে শুধুমাত্র টাকার জন্য।হাসিনা আসল কি খালেদা গেল এতে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।আর নেতারা তাদের নিয়েছেন নিজস্ব কর্মী বহর কত বড় তা দেখানোর জন্য।নেত্রীকে খুশি করা আর দলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার এই চিরাচরিত লোক জমায়েতের সিস্টেম কি কখনও শেষ হবেনা ?
কখনও কি এই ভন্ড নেতাদের লোক দেখিয়ে দল থেকে নিজের সুযোগ সুবিদা আদায় করে নেয়ার দিন শেষ হবেনা?